লক্ষ্মীর ভান্ডারের পর এবার সরস্বতী ভান্ডার! বাংলা কাঁপাচ্ছে এই ১টি প্রকল্প

লক্ষ্মীর ভান্ডারের পর এবার সরস্বতী ভান্ডার! বাংলা কাঁপাচ্ছে এই ১টি প্রকল্প

লক্ষ্মীর ভান্ডারের পর
এবার সরস্বতী ভান্ডার!

বাংলা কাঁপাচ্ছে
এই ১টি প্রকল্প!

কাদের জন্য এই
নয়া প্রকল্প?

কত টাকা পাবেন
এই প্রকল্পে?

দেখুন

 

রাজ্যের জনপ্রিয় প্রকল্পও গুলির মধ্যে অন্যতম প্রকল্প হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের হাত ধরে উপকার পাচ্ছেন রাজ্যের লাখ লাখ মহিলা । লোকসভা ভোটের আবহে এই প্রকল্পকে নিশানা করেছে রাজ্য সরকার। ৫০০ এর বদলে প্রত্যেক মেয়েদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ১০০০ টাকা । তবে এবার আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়। লক্ষ্মীর বোন সরস্বতী মর্ত্যে হাজির হয়েছে । অর্থাৎ রাজ্য জুড়ে চালু হয়েছে সরস্বতী ভাণ্ডার। লোকসভা ভোটের আগে একদম মাস্টার স্ট্রোক ! মানুষের মনে এই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতূহল । কি এই সরস্বতী ভাণ্ডার ? এই প্রকল্পের মাধ্যমে কত টাকা ঢুকবে অ্যাকাউন্টে ? নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজ্যবাসির মনে । তবে জানিয়ে রাখি এটা কোন সরকারী প্রকল্প নয় । কিংবা এর দ্বারা কোন টাকাও পাওয়া যাবে না । এটি হচ্ছে এমনই একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে অশালীন ভাষার বিরোধ করা যাব । শুধু তাই নয় মার্জিত ভাষার পাঠ পড়ান হবে।

সামনেই লোকসভা ভোট ! তারই আগে ভাষা প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বিভিন্ন শিল্প সাহিত্যিক ও অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তাদের হাত ধরেই শুরু হয়েছে সরস্বতী ভাণ্ডার । সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে অশালীন ভাষার বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠেন তারা । বিশেষ করে মডেল তথা অভিনেত্রী, শিল্পী ঝর্ণা ভট্টাচার্যকে সরস্বতী ভাণ্ডারে সামিল হতে দেখা গিয়েছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই সরস্বতী ভাণ্ডার আসলে কি?

এই সরস্বতী ভাণ্ডার হচ্ছে একধরনের ব্যঙ্গ প্রতিবাদ ! এটি বাংলার মা বোনেদের জন্য অর্থ প্রকল্প নয়। এই প্রতিবাদের মাধ্যমে  রাজনীতিবিদদের চোখ খুলে দেওয়া হবে । তাদের মধ্যে লজ্জা সৃষ্টির  জন্য এই সরস্বতীর  ভাণ্ডার। বিশেষ করে , নির্বাচনী প্রচারের আগে অশ্লীল ভাষার ব্যবহার বন্ধ করার জন্য এই পথ বেছে নেওয়া।

কেন এই সরস্বতী ভাণ্ডারের মত ভাবনা সামনে আনা হল ?

রাজনীতি মানেই অকথা , কুকথা লেগেই থাকে । এটা কোন নতুন বিষয় নয় । কিন্তু ভোটের সময় যেন এই  কুরুচিকর ভাষার ব্যবহার একটু বেশিই বেড়ে যায় । শাসক থেকে বিরোধী দল কেউ কাউকে ছোট করতে থামে না। একে অপরকে খোঁচা দেওয়ার জন্য সকলকে অত্যন্ত নিম্নজনক , অশালীন ভাষা প্রয়োগ করতে দেখা যায়। তবে বিষয়টা বঙ্গ রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না । এর রেশ পৌঁছে যায় নির্বাচন কমিশনের অন্দরে।  নির্বাচনীর আইন বিধি অনুসারে, কোন রাজনীতিবিদ কোন দলকে কুরুচিকর মন্তব্য করতে পারবে না । নিজের দলকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করার জন্য কখনোই অশ্লীল ভাষার ব্যবহার করা যাবে না । আর তাই এই ভাষার বিরোধিতা করার জন্য এই পথ অবলম্বন।

প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এই প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেছেন শিল্পীরা । প্ল্যাকার্ডে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা হয়েছে অশালীন ভাষার ব্যবহার বন্ধ করুন। যদিও এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন  শিল্পী ঝর্ণা ভট্টাচার্য। তার মতে, এই কটুকথার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে বাচ্চাদের ওপর । বাচ্চারা যা দেখে তাই শেখে। কার্টুন দেখতে দেখতে ভুল করেও বাচ্চারা যদি খবরের চ্যানেল দেখে নয়………আর সেখানে যদি রাজনীতিবিদদের এসমস্ত কথা বলতে শোনে। সেগুলি তাদের ভাষা আচার- আচরণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে । তাই আগামী প্রজন্ম সুন্দর করে তোলার জন্য অবশ্যই এই নিম্নজনক ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে । তাই এই পথ বেঁচে নেওয়া ।

 

 

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *