ছিঃ ছিঃ উত্তম কুমারকে নিয়ে ব্যবসা ! 

উত্তম কুমারকে নিয়ে নোংরা ব্যাবসা! মহানায়ককে নিয়ে
চ্যাংড়ামো, রেগে বোম অভিনেতা ভাস্কর

 

উত্তম কুমারকে নিয়ে
নোংরা ব্যাবসা!

মহানায়ককে নিয়ে
চ্যাংড়ামো!

শ্রদ্ধার নামে
ধান্দাবাজি!

কিংবদন্তি নায়ককে
নিয়ে চলছে কেনা বেচা!

ক্ষেপে লাল
অভিনেতা ভাস্কর

 

উত্তম  কুমার ! বাঙ্গালীর কাছে ইমোশন । তার মতো নায়ক এই বিশ্বে কদাচিৎ আসে। তাঁর হাঁটার ধরন , সুখ টানের স্টাইল আজও অসংখ্য নারীদের মনে ঝড় তোলে । এই বিশ্বে উত্তম কুমারের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী আছে কিনা বলা দুষ্কর। আজও তার সিনেমা দেখতে বসলে পর্দা থেকে চোখ যেন সরতেই চায় না । কিন্তু এবার মহানায়ককে নিয়ে শুরু হয়েছে নোংরা ব্যবসা। উত্তম কুমারকে বিক্রি করে লালে লাল হচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষ। ভাবা যায় , যে নায়ক কিনা আমাদের বাংলার কিংবদন্তি !  তাকে নিয়েও শেষপর্যন্ত চলছে রমরমিয়ে ব্যবসা। আর এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে টেলি দুনিয়ার অতি পরিচিত মুখ অভিনেতা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমত ক্ষেপে লাল হয়ে গেছেন অভিনেতা !

 

ঘটনার সূত্রপাত , *অতি উত্তম* সিনেমাকে কেন্দ্র করে । টলিপাড়ায় এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই সিনেমা। পরিচালক সৃজিত মুখার্জির হাত ধরে নতুন করে বেঁচে উঠেছেন মহানায়ক। আর এই নিয়ে দর্শকদের মধ্যে চলছে এক আলাদাই উত্তেজনা । ইতিমধ্যেই এই সিনেমা পুরো বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে । প্রতিদিন টিকিট কাউন্টারের সামনে ঝুলছে হাউজফুল নোটিস । কিন্তু এই  সিনেমাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক ! পরিচালকের কাজের সুনামের পাশাপাশি  রটেছে বদনাম। আর এই সিনেমা নিয়ে তীব্র মন্তব্য করেছেন অভিনেতা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি স্পষ্ট জানান এই সিনেমা বাংলা সিনেমার অপমান ! বিশেষ করে মহানায়কের অপমান। পরিচালক সৃজিত মুখার্জির কাজ  অবশ্যই প্রশংসনীয় ।  কিন্তু কোথাও গিয়ে মহানায়কের অভাব ধরা পড়েছে এই সিনেমায়। পরিচালক নিজের অজান্তেই মহানায়কের অবমাননা ঘটিয়ে গেছেন। অভিনেতার মতে এই ছবিতে কোন গল্প নেই , কোন প্লট নেই ।  শুধু তাই নয় এখানে কারোর অভিনয়ও চোখে লাগার মতো নয় । এরকম চলতে থাকলে এরপর যেকোনো সিনেমায় চার্লি চ্যাপলিন,রাজ কাপুর, ঋষি কাপুরকেও দেখা যাবে ।  সিনেমা জুড়ে শুধু মহানায়ককে *আমি আছি আমি আছি * বলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সত্যি কি তিনিই আছেন ? এই নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে  অভিনেতা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মহানায়ককে দেখাতে গিয়ে পুরো সিনেমাই বিকৃত করে ফেলা হয়েছে । তার চেয়েও বড় কথা আজ উত্তম কুমারের মহানায়ক হয়ে ওঠার পিছনে শুধু তাঁর একার হাত নেই । সেই সময়ের গীতিকার, গায়ক, প্রযোজক সকলের জন্য তিনি আজ বাংলার মহানায়ক। কোথায়  তাদের ভূমিকা তো এখানে দেখানো হয়নি । ভাস্করবাবুর মতে, এই সিনেমা নিয়ে রীতিমতো ব্যবসা করা হয়েছে । সৃজিত মূখার্জীর মত এতো গুণী পরিচালক যদি মহানায়ককে নিয়ে এমন কাজ করেন………এরপর তো উঠতি পরিচালকেরাও এমন কাজ শুরু করে দেবে। এরফলে সিনেমার মানদণ্ডই হারিয়ে যাবে। শুধু তাই নয় এই সিনেমায় উত্তম কুমারের  নাতিকেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে । তার পাশাপাশি  গোটা পরিবারকেও পর্দার মাঝে দেখা যায় । কিন্তু তিনি আশ্চর্য হয়ে গেছেন এই সিনেমার হয়ে কেউ প্রতিবাদ  করেনি………বরং সমর্থন করেছেন । অভিনেতার কাছে এই সিনেমা মোটেও প্রশংসা যোগ্য নয়। মহানায়ককে নিয়ে তামাশা করা হয়েছে বলে ভাস্কর বাবুর মনে হয়েছে ।

অভিনেতার মতামত শুনে আপনাদের কি মনে হচ্ছে ? সত্যি কি মহানায়ককে নিয়ে নোংরা ব্যবসা করা হয়েছে ? সৃজিত মূখার্জি কি সত্যি উত্তম কুমারকে অপমান করেছেন ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য কমেন্ট করে জানান ।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *