জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো পাঠ করতে পারবেন হিন্দুরা !

জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো পাঠ করতে পারবেন হিন্দুরা !

 

জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো পাঠ

করতে পারবেন হিন্দুরা !

 

সকাল সন্ধ্যে ঘণ্টা কাঁসর বাজিয়ে করতে

পারবেন ভগবানের আরাধনা !

 

এমনটাই জানানো হয়েছে

শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে !

 

বাবরি মসজিদের পর আরও একটি বিতর্কিত মসজিদ হচ্ছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মন্দির নাকি মসজিদ এই নিয়ে হিন্দু-মুসলিম ভাইদের মধ্যে টানাপোড়নের শেষ নেই । জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে কিসের আওয়াজ পাওয়া যাবে ? কাঁসর ঘণ্টা নাকি আজানের এই নিয়ে চলছে বিস্তর তর্ক বিতর্ক । হিন্দুদের দাবি , এখানে সৃষ্টি কর্তা শিবের বাস । আবার মুসলিমদের দাবি এখানে , স্বয়ং ধর্মপ্রাণ আল্লাহার বাস।  তবে এত কিছু তর্ক – বির্তকের অবসান ঘটাল শেষপর্যন্ত শীর্ষ আদালত । একেবারে বড়সড় রায় ঘোষণা দেওয়া হল সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে । এই পবিত্র স্থানে শুধু নামাজ পাঠই নয় ! তারই সঙ্গে সকাল সন্ধ্যা নিয়ম মেনে পুজো আরতি করা হবে। সেই সঙ্গে, ধুপ ধুনোর গন্ধে ভরে উঠবে এই মসজিদের চত্বর । এরপর থেকে এখানে পুজো করার জন্য কেউ বাঁধা পর্যন্ত দিতে পারবে না । এমনটাই জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ।

 

বিগত কয়েক দশক ধরে এই মসজিদ জুড়ে  দুই ধর্মের মধ্যে চলছে বাক-বিতণ্ডা । তবে চলতি বছরে এই বাক-বিতণ্ডার মাত্রা দ্বিগুন বাড়িয়ে দেয় বারানসী আদালত । চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই বারানসী আদালতের তরফ থেকে  মসজিদে হিন্দুদের পুজো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । তবে এই সিদ্ধান্তে হিন্দু ধর্মের ব্যক্তিরা খুশি হলেও……… মুসলিম ভাইয়েরা বিন্দুমাত্র তুষ্ট হননি। কেন তাদের মসজিদে পুজো করবেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা ? এই নিয়ে বৃহৎ দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় । এমনকি নিম্ন আদালতের এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদের আদালতে দ্বারস্থ হন মুসলিমরা। কিন্তু ফেব্রুয়ারী মাসে এলাহাবাদ আদালতও এই সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখে । একের পর এক সিদ্ধান্ত হিন্দুদের দিকে ঘুরে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন তারা । তবুও হাত গুটিয়ে বসে থাকেন না মুসলিম গোষ্ঠীর ভাইয়েরা । তাদের দাবি নিয়ে পৌঁছায় সুপ্রিম কোর্টের দোরগোড়ায়।  তাদের দাবি একটাই,  ১৯৩৭ সালে এই মসজিদের রায় মুসলিমদের পক্ষেই দেওয়া হয় । এমনকি সেই সময় তারা তাদের বিরুদ্ধে সঠিক প্রমাণও দেখিয়েছিল । তাহলে ২০২৪-এ দাঁড়িয়ে কেন সেই রায়ের পরিবর্তন ঘটছে । এমনকি কেন নতুন করে আবার সমীক্ষা চালানোর কথা উঠছে । সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্ট এই রায়ের মামলা ঘোষণা করে । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়াল  এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের তরফ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয় । সেখানে জানান হয় , জ্ঞানবাপী মসজিদের ব্যাস তেহখানায় হিন্দুরা পুজো আরতি চালিয়ে যেতে পারবেন । কোনোরকম ভাবেই এই মুহূর্তে পুজো পাঠ বন্ধ করা যাবে না। তবে এই পুজো পাঠ এই তেহখানার মধ্যেই সীমা বদ্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আরও জানা গিয়েছে , এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে  চলতি বছরের জুলাই মাসে ।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *