বাচ্চাদের হাতে এই খাবারটি এখনও দিচ্ছেন ? তাহলে আজই  বন্ধ করুন এই খাবার ! 

বাচ্চাদের হাতে এই খাবারটি এখনও দিচ্ছেন ? তাহলে আজই  বন্ধ করুন এই খাবার !

 

বাচ্চাদের হাতে এই

খাবারটি এখনও দিচ্ছেন ?

 

তাহলে আজই  বন্ধ করুন এই খাবার !

 

এই খাবারেই লুকিয়ে রয়েছে

প্রাণঘাতী বিষ!

 

এই খাবারটি পেটে যাওয়া মাত্রই

কাবু করবে ক্যান্সারের জীবাণু !

 

বাচ্চাদের শরীর

হয়ে যাবে নীল !

 

গবেষণায় বেরিয়ে এল

চাঞ্চল্যকর তথ্য !

 

এই বিষাক্ত খাবারটি কি?

দেখে নিন

 

আজকাল ঘরে ঘরে রোগ বালাই ! ৮ থেকে ৮০ সকলেই রোগে কাবু । কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বাচ্চারা। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে , ক্যান্সার থেকে শুরু করে হার্ট অ্যাটাক কোন কিছুই বয়সের বাঁধা মানছে না । ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে অগণিত বাচ্চারা এই সকল রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে । তবে বিশেষজ্ঞদের মতে , বাচ্চাদের এই রোগের কারণ হিসেবে উঠে আসছে বিষাক্ত কিছু খাবার ।  তবে তার মধ্যে বিশেষ একটি খাবারের নাম বার বার উঠে আসছে ! শিশু বিশেষজ্ঞরা, বাচ্চাদের হাতে এই খাবার না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন । আর এই খাবারটি হচ্ছে পেপসি ! এই পেপসি কিন্তু বোতলের কোল্ড ড্রিঙ্কস নয়……… এটি হচ্ছে বরফ গোলা পেপসি । অনেক সময় ঘণ্টা বাজিয়ে কিংবা হাঁক দিতে দিতে এই খাবার বিক্রি করতে আসেন বিক্রেতারা। আর বাচ্চারাও এই স্বাদের টানে জেদ করে বসেন । তবে অভিভাবকেরা বাচ্চাদের জেদ রাখতে গিয়ে ভুল করে বসছেন । কারণ এই খাবারের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে মারাত্মক বিষ। বিশিষ্ট গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই বরফ গোলা জলে রয়েছে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ । যা বাচ্চাদের শরীরে গিয়ে লিভার থেকে হৃদপিণ্ড সব ধ্বংস করে দিচ্ছে ।

কিভাবে এই বরফ গোলা পেপসি থেকে ক্যান্সার সহ আরও বড় বড় রোগ ছড়াচ্ছে ? এতে থাকা মারাত্মক উপাদান গুলি কি কি দেখে নিনঃ

এক , ফুড কালারঃ

এই খাবারটি তৈরি হয় ভয়ঙ্কর পদ্ধতিতে ! তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর উপাদান হচ্ছে ফুড কালার। লক্ষ্য করবেন , এই খাবারটি খাওয়ার পর ঠোঁট , জিভ , গাল একেবারে রঙিন হয়ে ওঠে। তার কারণ হচ্ছে এই ফুড কালার । মূলত এই কৃত্রিম উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় অ্যালুরা রেড , ইন্ডিগো কারমাইনের মত বিশেষ কয়েকটি উপাদান । গবেষকদের মতে, এই উপাদানগুলি তৈরি করা হয় কিছু ভয়ঙ্কর কেমিক্যাল দিয়ে । যা বাচ্চাদের শরীরে গিয়ে ক্যান্সার থেকে শুরু করে ত্বকে অ্যালার্জি  সৃষ্টি করে ।

দুই, নোংরা জলঃ

বিক্রেতারা বিক্রি করার স্বার্থে  পেপসি তৈরির জন্য অপরিশোধিত জল ব্যবহার করে থাকেন। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই নোংরা জল কতোটা ক্ষতিকর তা আপনার ধারণার বাইরে । শুধু তাই নয় অস্বাস্থ্যকর বরফের কুচিও ব্যবহার করা হয় । এগুলিই হচ্ছে জীবাণু তৈরির আঁতুড় ঘর ! এই নোংরা জল বাচ্চাদের পেটে গিয়ে মারাত্মক প্রভাব তৈরি করে । পাকস্থলীকে এই জীবাণু গুলি আক্রান্ত করে ফুড পয়জনের মত সমস্যা সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয় এর প্রভাবে কিন্তু ডায়রিয়া, আমাশার মত সমস্যা সৃষ্টি হয় ।

তিন, চিনিঃ

ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক স্বার্থে অত্যন্ত নিম্নদামের চিনি ব্যবহার করেন । যা বাচ্চাদের শরীরের পক্ষে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয় । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় , এই চিনির পেটে যাওয়ার ফলে দাঁতে পোকা, পেটে ব্যথা, লিভার ক্ষতিগ্রস্তর মত সমস্যা দেখা দেয় ।

ক্যান্সার এবং পেটেব্যথা ছাড়া আর কি কি রোগ  হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?

এই রঙিন পেপসি খেলে ক্যান্সার ছাড়াও আরও ভয়ঙ্কর কিছু রোগ সৃষ্টি হয় । সেগুলি হচ্ছে – হাইপারসেন্সটিভিটি ,ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক , কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো বিভিন্ন সমস্যা। এমনকি এর ফলে বাচ্চাদের মৃত্যুর ঝুঁকিও কয়েকগুন বৃদ্ধি পায় । তাই আজ থেকেই এই বিষয়ে সতর্ক হয়ে যান ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *