রাস্তায় ভিক্ষে করেছিলেন উত্তম কুমার! বাটি হাতে ঘুরেছিলেন দুয়ারে দুয়ারে, দুটো পয়সার জন্য করেছিলেন হাহাকার

রাস্তায় ভিক্ষে করেছিলেন উত্তম কুমার! বাটি হাতে ঘুরেছিলেন দুয়ারে দুয়ারে, দুটো পয়সার জন্য করেছিলেন হাহাকার

রাস্তায় ভিক্ষে করেছিলেন
উত্তম কুমার!

বাটি হাতে ঘুরেছিলেন
দুয়ারে দুয়ারে!

দুটো পয়সার জন্য
করেছিলেন হাহাকার!

দাঁড়িয়ে থাকতেন
টালিগঞ্জের মোড়ে!

মহানায়কের ভয়ঙ্কর দুর্দশা
শুনলে, না কেঁদে পারবেন না

উত্তম কুমার! বাংলার মহাননায়ক! তাঁর মতো নায়ক এই বিশ্বে কদাচিৎ আসে। ইনি একমাত্র অভিনেতা যাকে বাঙ্গালীরা কখনোই ভুলতে পারবে না। আজও তাঁর সিনেমা দেখলে মানুষ পর্দা থেকে চোখ সরাতে পারেন না। সেই অমলিন হাসি , সেই চুলের ছাঁট , সেই চেহারা …… এখনও কত নারীর হৃদয়কে ঘায়েল করে তা বলা দুষ্কর! তিনি শুধু মহানায়কই নন বাংলার ম্যাটিনী আইডল! অথচ এই অভিনেতাকেও এক সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষে করতে হয়েছে। বাটি হাতে পয়সা নিতে হয়েছে! সেকালে সুপারস্টার হয়েও ভিখারির মতন দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হয়েছে এই মানুষটিকে। ভাবা যায়? শুনতেও কেমন অবিশ্বাস্য লাগছে তাই না? এর পিছনে রয়েছে বিশাল এক গল্প। যা শুনলে, আপনাদের চোখের জল আটকে রাখতে পারবেন না।

সময়টা তখন ১৯৬০! কলকাতায় সেই সময় ভয়ঙ্কর বন্যা। এই বন্যায় কলকাতার মানুষের ভয়ংকর পরিণতি হয়। সেই সময় চারিদিকে শুধুই হাহাকার আর হাহাকার! এই আর্তনাদ মহানায়কের কান অবধি পৌঁছে যায়। যা শুনে নিজেকে সামলে রাখতে পারেন নি । অন্যের চোখের জল সহ্য করা মহানায়কের পক্ষে সম্ভব হয়নি । তাই দুঃস্থ ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন । কিন্তু নিজের কাছে অত পুঁজি নেই যার দ্বারা ত্রাণের কাজ পূর্ণ হবে । তাই মনে মনে স্থির করে নিলেন প্রয়োজনে তিনি ভিক্ষা করবেন ! যেমন ভাবা তেমন কাজ । নিজের সহকারীদের নিয়ে টালিগঞ্জের রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন । এবং নিজের যথাসম্ভব দিয়ে সকলের সাহায্য করেন । তাহলে ভাবতে পারছেন একজন মহানায়ক যার কিনা বিলাসবহুল ঘরে দিন কাটানোর কথা । তিনি কি না অন্যের চোখের জল মোছার জন্য নিজের আরামের জীবন ছেড়ে এমন কাজ করেছেন । শুধু এখানেই শেষ নয় কন্যাদায় গ্রস্ত পিতাকেও অর্থ দিয়ে তিনি সাহায্য করতেন । বিয়েতে যাতে কোন ত্রুটি না থাকে সেই দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে তুলে নেন । সত্যি মহানায়কের কোনও তুলনা হয় না । তিনি যে কত বড় মনের মানুষ তা আর বলতে বলতে বাকি রাখে না।  ব

আর মহানায়ক সম্পর্কে, এই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রায় অজানা দামী তথ্যটি, প্রকাশ্যে এনেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি *অতি উত্তম* সিনেমা সম্পর্কে বলতে গিয়ে, এক সংবাদমাধ্যমে তিনি, এই অজানা কথাগুলো জানান। তিনিই বোধ হয় প্রথম ব্যক্তি যিনি সবার সামনে এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ইতিমধ্যেই অতি উত্তম সিনেমায়, মহানায়ককে নতুন করে ফুটিয়ে তুলেছেন সৃজিত মুখার্জি। তার মধ্যেই মাধবী মুখোপাধ্যায়ের বলা এই কথাগুলো, মহানায়কের ব্যাপারে আরও নতুন মাত্রা যোগ করেছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *