ক্যান্সার রোগীরা সাবধান! বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে, ক্যান্সারে নকল মেডিসিন, এগুলো ভুলেও খাবেন না

ক্যান্সার রোগীরা সাবধান! বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে,
ক্যান্সারে নকল মেডিসিন, এগুলো ভুলেও খাবেন না

ক্যান্সার রোগীরা
সাবধান!

বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে,
ক্যান্সারে নকল মেডিসিন!

এগুলো ভুলেও
খাবেন না!

এগুলো খেয়েই মারা যাচ্ছে
অগণিত ক্যান্সার রোগী!

আরো মারাত্মকভাবে
ছড়িয়ে পড়ছে ক্যান্সার!

আতঙ্কে শিহরিত ক্যান্সার রোগীরা!
কিভাবে ঘটছে এমন কাণ্ড,
দেখুন !

একে রামে রক্ষে নেই তার উপর সুগ্রীব দোসর! সাম্প্রতিক সময়ে ক্যান্সারের বাড় বাড়ন্ত নিয়ে মানুষের মধ্যে চিন্তার শেষ নেই। এই মারণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মানুষ কখন কি করবে কূলকিনারা খুঁজে পান না। তারই মধ্যে দেশজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছে ক্যান্সারের জাল ওষুধ। আপনারা বিশ্বাস করে যে ওষুধ খাচ্ছেন তারই মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে মৃত্যু ভয়। আজকাল বাজারে ক্যান্সারের বিভিন্ন সাপ্লিমেন্টারি ওষুধ পাওয়া যায়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্যান্সারের ওষুধের ছাপ্পা মেরে বিক্রি করা হচ্ছে ভুয়ো ওষুধ। শুধু দেশেই নয় বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ওষুধের ব্যবসা। মানুষ ঠকিয়ে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন এই ব্যবসায় নিযুক্ত ব্যক্তিরা। আর এই ওষুধ খেয়ে ইতিমধ্যে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। এর ফলে মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি হয়েছে ।

ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যান্সারের ওষুধ বলে যে গুলো বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলি আসলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, মানুষকে বোকা বানানোর জন্য এই শিশিগুলি ওপর ক্যান্সারের ওষুধের নাম ব্যবহার করতেন । শুনলে আরো অবাক হবেন! এই ওষুধগুলির দাম মাত্র ১০০ টাকা ! আর সেখানে পাচারকারীরা বাজারে এক একটি ওষুধের মূল্য রাখে দু থেকে তিন লাখ টাকা। আর এই সূত্রকে কাজে লাগিয়ে , তদন্তে নামেন দিল্লী পুলিশ আধিকারিকেরা। তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। সেই পর্দায় ফাঁস করেছেন তারা । তথ্যসূত্রে জানা যায়, এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত ৭ জনকে আপাতত গ্রেফতার করেছেন দিল্লি পুলিশ অফিসারেরা। তবে এর মধ্যে দুজন স্বাস্থ্যকর্মী! যদিও প্রথম গ্রেফতার করা হয় মোতিনগর এলাকার বাসিন্দা ভিপিল জৈনকে। তাকে ধরেই সুরজ শাহ সহ একের পর এক বড় বড় মাথা বেরিয়ে আসে। তবে জৈন এবং শাহের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে ১৩৭টি ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, ১৯৭টি খালি শিশি, ৮৬৪টি প্যাকিং বাক্সের হদিস মেলে। তবে তাদের এই ব্যবসা শুধু তাদের দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি । একেবারে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে । আমেরিকা , চীনের মত দেশ গুলিতেও এই ওষুধের পাচার করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই তাদের কাছ থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা উদ্ধার করেন পুলিশ। ঘটনার সূত্রে আরও জানা যায়, এই ব্যবসা টানা দুবছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা । দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রামের মত জায়গায় তাদের এই জালিয়াতি ব্যবসার কারবার রয়েছে । এমনকি তারা এই দুবছরে সাড়ে সাত হাজারের বেশি ইঞ্জেকশন বিক্রি করে ফেলেছে। শোনা গিয়েছে , অনেকের ওপর এই ওষুধের ভয়ংকর প্রভাব পড়েছে। কেউ কেউ রীতিমত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। একেই ক্যান্সারের মত ভয়ংকর রোগ ! আর তার ওপর এই জাল ওষুধ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *