শিবলিঙ্গের উপর ভুলেও এভাবে জল ঢালবেন না! নইলে মহাদেবের অভিশাপে ছারখার হয়ে যাবে জীবন

শিবলিঙ্গের উপর ভুলেও এভাবে জল ঢালবেন না! নইলে মহাদেবের অভিশাপে ছারখার হয়ে যাবে জীবন

শিবলিঙ্গের উপর ভুলেও
এভাবে জল ঢালবেন না!

নইলে মহাদেবের অভিশাপে
ছারখার হয়ে যাবে জীবন!

কপাল চাপড়ালেও
রেহাই পাবেন না!

অধিকাংশ শিব ভক্তরা, জল নিয়ে সোজা শিবের মাথায় ঢেলে দেয়। সাত পাঁচ ভাবেন না। কিন্তু আপনারা কি জানেন শিবলিঙ্গের সামনে দিকটা, অর্থাৎ হাতের মত অংশটি দুভাগে বিভক্ত থাকে। এই দু ভাগে বিভক্ত অংশটির বাম দিকে থাকেন ভগবান শ্রী গনেশ এবং ডানদিকে থাকেন ভগবান শ্রী কার্তিক। আর এই গণেশ এবং কার্তিক রেখার মাঝখানে যে অংশটি যায় সেটিকে বলা হয় অশোক সুন্দরী দেবীর বাসস্থান। একই সঙ্গে শিবলিঙ্গের মাথা অর্থাৎ লিঙ্গটির চারিপাশে যে গোল রেখাটি দেখা যায় সেটিকে বলা হয় মা পার্বতীর হাত। এবার আপনাদের বলি শিবলিঙ্গে জল ঢালার সময়,, এই যে,, দেব দেবীর নামগুলো আপনাদের বললাম সেগুলো মাথায় রাখতে হয়। শিবলিঙ্গের জল ঢালার সঠিক নিয়ম এই দেব-দেবীদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।

শিবলিঙ্গে কখনোই সরাসরি জল ঢালবেন না। হিন্দু শাস্ত্রমতে শিবলিঙ্গের জল ঢালার আগে প্রথমে জল ঢালতে হয়, এই যে শিবলিঙ্গে থাকা গণেশ এবং কার্তিকের উপর। এরপর জল ঢালতে হয় অশোকসুন্দরী দেবীর উপর। আর এরপর জল ঢালতে হয় শিবলিঙ্গের মাথা অর্থাৎ লিঙ্গকে জড়িয়ে ধরা পার্বতীর উপরে। এটাই হলো শিবলিঙ্গ স্নান করানোর কিংবা মহাদেবের মাথায় জল ঢালার সঠিক এবং শাস্ত্রীয় নিয়ম। এভাবেই জল ঢাললে মহাদেব খুশি হন, সন্তুষ্ট হন। মহাদেবের কৃপা লাভ করা যায়। কিন্তু অধিকাংশ শৈব ভক্তরা, এই নিয়ম না জানার কারণে, ভুল ভাবে জল ঢেলে, মহাদেবের অভিশাপের শিকার হন।

কি তাহলে বুঝতে পারলেন তো তাহলে? আজ থেকে এভাবে মহাদেবের মাথায় জল ঢালবেন। যদি এই নিয়ম মেনে মহাদেবের মাথায় জল ঢালতে পারেন, তাহলে আপনাকে মহাদেবের আশীর্বাদ থেকে, কেউ আর বঞ্চিত করতে পারবে না। প্রতি সোমবার ভোরবেলা স্নান করে এই নিয়মবিধি মেনে মহাদেবের মাথায় জল ঢালার চেষ্টা করুন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই শিব ঠাকুরের আশীর্বাদে আপনার জীবন ধন্য হয়ে উঠবে


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *