নিজের চামড়া দিয়ে মায়ের জন্য বানিয়ে দিলেন জুতো ! আবার সেই জুতোই নিজের হাতে মাকে পড়িয়ে দিলেন ! 

নিজের চামড়া দিয়ে মায়ের জন্য বানিয়ে দিলেন জুতো ! আবার সেই জুতোই নিজের হাতে মাকে পড়িয়ে দিলেন !

 

নিজের চামড়া দিয়ে মায়ের

জন্য বানিয়ে দিলেন জুতো !

 

আবার সেই জুতোই নিজের

হাতে মাকে পড়িয়ে দিলেন !

 

ছেলের এমন কাণ্ড দেখে

মায়ের চোখে জল !

 

এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই

রীতিমতো অবাক সকলে !

 

 

 

পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক হচ্ছে মা ছেলের সম্পর্ক। মায়ের পায়ের নীচে সন্তানদের বেহস্ত ! সন্তানেরা মায়ের জন্য কি না করে থাকে। মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সন্তানরা পারলে পায়ের নীচে চাঁদ পর্যন্ত হাজির করে দেয় । তবে এবার ভারতের বুকে এমনই এক ছেলে নিজের মায়ের জন্য যা করলেন……… তা এর আগে কেউ করতে পারেনি। হাজার হাজার মা ভক্তরাও এমন কাজ করতে পারে না । মাকে খুশি করার জন্য নিজের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো বানিয়ে দিলেন । হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনছেন! মায়ের জন্য উৎসর্গ করলেন নিজের চামড়া দিয়ে তৈরি জুতো। এ যেনো পৃথিবীর বুকে নবম আশ্চর্য ! ইতিহাস ঘাটলেও এমন কাহিনী কোথাও খুঁজে পাবেন না।

কলিযুগে দাঁড়িয়ে যেখানে বৃদ্ধাশ্রমের মত কলঙ্কের দাগ সৃষ্টি হচ্ছে এ পৃথিবীর বুকে। সেই কলিযুগে দাড়িয়েই মায়ের প্রতি এই ছেলের ভালোবাসা যেনো দুর্গা গণেশের উদাহরণ । মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর বাসিন্দা রৌনক গুর্জর । রৌনক একজন ধর্মপ্রাণ এবং ঈশ্বরবিশ্বাসী প্রকৃতির ব্যক্তি। সকাল সন্ধ্যে নিয়ম করে পূজো পাঠ করেন । শুধু তাই নয় নিয়ম করে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করতে তিনি ভোলেন না । যত কাজই থাকুক না দিনের যেকোনো একটি সময় তিনি রামায়ণ পাঠ করবেনই করবেন । এই ধর্মগ্রন্থ তার জীবনের একটি অন্যতম অংশ । ধর্মগ্রন্থ পড়ে তিনি তার জীবনের উপলব্ধি করেন। শোনা যায় তিনি একসময় মধ্যপ্রদেশের দাগী আসামি ছিলেন। এমনকি বহু  অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। তবে এই সমস্ত কিছু থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন শুধুমাত্র ধর্মগ্রন্থের জন্য। এই ধর্মগ্রন্থেই তাকে একজন আদর্শবান মানুষে পরিণত করেছে। শুধু তাই নয় রামায়ণের একটি অংশ তাকে এতটাই অনুপ্রাণিত করে যে……….. তিনি সে কথাটি বাস্তবে প্রতিফলিত করেন । রামায়ণের রাম বলেছিলেন, মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য যা কিছুই করি না কেন সব কিছুই অতি সামান্য। এমনকি মায়ের পায়ে নিজের চামড়া দিয়ে জুতো তৈরি করলেও আনলেও সেটাও অতি তুচ্ছ। কারণ এ জগতে মায়ের ঋণ কেউ শোধ করতে পারে না। আর এই একটি কথাটি যেনো রৌনকের মাথায় গেঁথে যায়। ভগবান রামের কথা বাস্তবে রূপান্তরিত করতে …….. মায়ের জন্য নিজের শরীরের চামড়া দিয়ে জুতো তৈরি করলেন । তথ্যসূত্রে জানা যায়, রৌনক অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকাকালীন একসময় পুলিশের হাত থেকে পায়ে গুলি খেয়েছিলেন। আর  অস্ত্রোপচার করার সময় তিনি  ডাক্তারকে বলে নিজের উরুর কিছু অংশ কেটে বের করে নেন । সুস্থ হওয়ার পর তিনি ওই চামড়া মুচির কাছে নিয়ে যান। এবং সেই চামড়া দিয়ে মায়ের পায়ের মাপের জুতো বানিয়ে দিতে বলেন। মুচিও আদেশ মত ওই মাপের জুতো বানিয়ে দেন । আর সেই জুতো বাড়ি নিয়ে এসে মায়ের পায়ে পড়িয়ে দেন এই যুবক। একথা তার মা জানতে পেরে রীতিমতো আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন । ছেলের কাণ্ড দেখে চোখে জল চলে  আসে তার ।  রৌনককে নিজের বক্ষে আগলে নিয়ে আদরে আদরে ভরিয়ে দেন তিনি ।  তিনি বলেন, নিশ্চয়ই গত জন্মে কোন পূর্ণ করেছিলেন তার জন্যই রৌনকের মত ছেলে তিনি  গর্ভে ধারণ করতে পেরেছেন । আর কথা প্রকাশ্যে আসতেই  সকলে রীতিমতো অবাক হয়ে গেছেন। এযুগে রৌনকের মতো ছেলে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর । এমন ছেলে যেন ঘরে ঘরে ঘরে হয় ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *