গার্ডেনরিচ কাণ্ডের মূল ভিলেন মহম্মদ ওয়াসিম !
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের মূল
ভিলেন মহম্মদ ওয়াসিম!
আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
গড়েছেন একের পর এক বাড়ি !
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এই প্রোমোটারের এক ইশারায়
কাঁপে গোটা গার্ডেনরিচ !
কিসের এত প্রতাপ ?
কিসের এত তেজ?
কার দৌলতে তার
তার এত বাড়বাড়ন্ত ?
চলুন দেখে নিই একনজরে !
শাহজাহানের পর এখন বাংলা কাঁপাচ্ছে আরও একটি নাম। গার্ডেনরিচের হেভিওয়েট প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম! খবরের শিরোনামেও এখন এই একটি নাম বারংবার উঠে আসছে। গার্ডেনরিচের বহুতল আবাসন ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকেই এই একটি নামই আলোচনার অন্দরে অন্দরে ঘুরে বেড়াচ্ছে । আর ঘুরবে নাই বা কেন ! এই মুহূর্তে গার্ডেনরিচে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে মানুষের আর্তনাদ , হাহাকার! আপনজনকে হারানোর বেদনা । এই সমস্ত কিছুর পিছনে রয়েছে একজন ব্যক্তি, নাম তার খলনায়ক মহম্মদ ওয়াসিম । শুধুমাত্র ক্ষমতা খাটিয়ে , নিজের জোর দেখিয়ে অনুমোদনহীন বহুতল বানিয়েছেন তিনি । এরফলে নিরীহ মানুষগুলি আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন । তবে এখন বাংলার মানুষ জানতে চাইছে কে এই মহম্মদ ওয়াসিম ? কীভাবেই বা তিনি প্ল্যানপাশ না করিয়ে একের পর এক বহুতল গড়ে তুলেছেন ? তার মতো চুনোপুঁটির কীসের এতো জোর ? প্রশ্নের জবাব চাইছে গোটা বাংলা। আজকের প্রতিবেদনে মহম্মদ ওয়াসিম সম্পর্কে আপনাদের বেশ কিছু অজানা তথ্য জানাব
প্রথমেই জেনে নিই তার বংশ পরিচয়ঃ
মহম্মদ ওয়াসিমের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে , তিনি প্রোমোটারের আগে দুধ ব্যবসায়ী ছিলেন । রাজারবাজারে তার ব্যাপক নামডাক । দুধ ব্যবসা থেকে তিনি বেশ ভালো টাকা ইনকাম করতেন । কিন্তু তাতেও তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না । তাই অতিরিক্ত লাভের আশায় শুরু করেন পরিবহণ ব্যবসা। এই লাইনে এসেই কাড়ি কাড়ি টাকা উপার্জন করেন । কিন্তু ঐ যে টাকার নেশা ! টাকার নেশায় তিনি এতই মত্ত হয়ে ওঠেন যে এরপর শুরু করেন প্রোমোটারি ব্যবসা। আর এই ব্যবসাই তাকে একেবারে কোটিপতি বানিয়ে দেয় । দুধ ব্যবসায়ী থেকে হয়ে ওঠেন নামজাদা প্রোমোটার । এই ব্যবসাই তার কাছে সোনার খনি । শোনা যায় , গার্ডেনরিচে তার এতই দাপট যে তাকে ছাড়া একটি আবাসনও নির্মাণ করা যায় না। শুধু তাই নয় , তার আদেশ ছাড়া ঐ এলাকার কোনও বাড়ি কেনা বেচা করা মোটেও সহজ নয়। ওখানকার সমস্ত কিছুই তার নখদর্পণে । গত দশ বছরে তিনি এতোটাই প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন যে তার নাম নিতে পর্যন্ত এখানকার সকলেই ভয় পায় ! তবে এই প্রোমোটারের নামে রয়েছে একাধিক অভিযোগ । তিনি পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই বহুতল বিল্ডিং বানাতেন । শুধু গার্ডেনরিচই নয় এই তালিকায় রয়েছে একাধিক জায়গা। এমন বেআইনি কাজ করে তিনি নিজের কোষাগার দিব্যি ভরিয়েছেন। আলিশান গাড়ি ,আলিশান বাড়ি সবই নিজের ইয়ত্বে ।
এবার জানাই তিনি এই অবৈধ ব্যবসার পিছনে রয়েছে কোন বড় বড় মাথা ?
ঘটনাসূত্রে উঠে আসছে একের পর এক রহস্যে ঘেরা কাহিনী । শোনা যায় তার মাথার ওপর রয়েছে তৃনমূল শামস ইকবালের হাত । কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নং ওয়ার্ডের শামস ইকবালের সাথে তার ওঠাবসা রয়েছে । এমনকি একসময় এই নেতার ব্যবসাও নাকি তিনি সামলাতেন । এক কথায় বলা যায় দুজনের সাথে গলায় গলায় ভাব । আর এই নেতার দৌলতেই নাকি তার এত বাড় বাড়ন্ত । এমনকি শোনা যাচ্ছে তার আদেশেই নাকি এই ওয়াসিম একাধিক জায়গায় অবৈধ ভাবে একের পর এক বিল্ডিং তুলতে পেরেছেন । শুধু তাই নয় , এই ব্যক্তি এতই ধুরন্দর যে তিনি টাকার খেল দেখিয়ে নিজের কাজ হাসিল করে নিতেন ।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবী , এই কর্মকাণ্ডের পিছনে শুধু শামস ইকবালই নন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমেরও বড়সড় হাত রয়েছে । এই নিয়েও বেশ ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে । এই অসাধু থুড়ি সাধু ব্যক্তি ওয়াসিমর কর্মকাণ্ড সত্যি অবাক করার মতো ।
Leave a Reply