কোটিপতি থেকে আজ ফকির অনিল আম্বানি !

কোটিপতি থেকে আজ ফকির অনিল আম্বানি !

বিশ্বের ধনকুবের
অনিল আম্বানি কে চেনেন!

একসময় এই বিত্তশালী ব্যক্তি
আদানি , জুকেরবার্গকেও টেক্কা দিতেন !

বিলিনিয়ার থেকে তিনি
এখন পথের ভিখিরি!

পকেট তার
গড়ের মাঠ !

খুইয়েছে তার
রাজপ্রাসাদ !

আজ একেবারেই
নিঃস্ব তিনি!

অনিল আম্বানির একটা ভুলই
পুরো পরিবারকে পথে এনে দাঁড় করায়!

কিভাবে তার এই
করুণ দশা তৈরি হলো?

চলুন দেখে নিই

 

ভাগ্যের নির্মম পরিহাস একেই বলে ! অনিল আম্বানিকে না দেখলে বোঝাই যেত না , খারাপ সময় কাকে বলে ! এক সময় তিনি ছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের আর আজ পথের ভিখারি । সামান্য দোকানে যাওয়ার জন্য যার হেলিকপ্টারের প্রয়োজন পড়ত ……… আজ তার সামান্য অটো ভাড়া দেওয়ার টাকা নেই । একসময়ে যে মানুষটির প্রাসাদে গণ্ডায় গণ্ডায় চাকর ঘুরে বেড়াতো, , , , , বোতল থেকে সামান্য জল গড়িয়ে খেতে লোকের দরকার পড়ত । আজ সেই ব্যক্তিটি অন্যের কাছে কাজ পাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন । শুধু কী তাই এই অনিল আম্বানি এতো বড়লোক ছিলেন যে তার জুতোর ঝলকানিতে মুখ দেখা যেত । তবে এখন তার পায়ে হাওয়াই চপ্পল ! অনিল আম্বানি এমন বিত্তশালী ব্যক্তি ছিলেন যে নিজের দাদা মুকেশ আম্বানিকেও ……… দশবার কিনে নিতে পারতেন । তবে এখন তার অবস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে । দেনার দায়ে চোখের ঘুম উড়ে গিয়েছে । ব্যাঙ্ক তো দূর পকেটেও তার একটাকা নেই । ধন দৌলতের বহরের জেরে তিনি একসময় সংবাদের শিরোনামে থাকতেন । আর আজ তিনি থেকেও নেই । কোথায় যেন হাড়ীয়ে গেছেন ! খুবই মর্মান্তিক এবং করুন পরিনতি হয়েছে এই মানুষটির ।

উত্থান পতন সকলের জীবনেই লেগে থাকে । তবে অনিল আম্বানির পতন যেন চোখে লাগার মতো । ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় অনিল আম্বানি ব্যবসায়িক পরিবারের ছেলে । সেই সুত্রে ব্যবসা তার কাছে জলভাত । তিনি ব্যবসায় এতটাই তুখর ছিলেন যে দাদা মুকেশ আম্বানিকেও ব্যবসার দিক থেকে টক্কর দেন । ২০০৮ সালের কথা সেই সময় তার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা । তার টাকার অঙ্কের ধারেপাশেও ছিলেন না মুকেশ আম্বানি । শুধু তাই নয় সেই সময় বিশ্বের ধনকুবেরের তালিকায় তিনি ৬ নম্বরে ছিলেন । তার বিলাসবহুল জীবনযাপন দেখার মতো । চোখ ধাঁধানো রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে ………… গ্যারেজে থরে থরে সাজানো ছিল নক্ষত্রখচিত গাড়ি । BMW থেকে শুরু করে রেঞ্জ রোভার, ল্যাম্বরগিনি গ্যালার্দোরোলস , মার্সিডিজ সবচেয়ে দামী দামী গাড়ি শোভা পেত তার গ্যারেজে । শুধু কি তাই নিত্যদিনের বাহন হিসেবে কিনেছিলেন কোটি টাকার হেলিকপ্টার । তবে হঠাতই তার জীবনে ধ্বস নামতে শুরু করে । ২০০২ সাল ! তখন মুকেশ আম্বানি এবং অনিল আম্বানির বাবা ধীরুভাই আম্বানি মারা যান । বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ভাইয়ের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয় । সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝামেলা দেখতে না পেরে ……… ধীরুভাইয়ের স্ত্রী কোকিলাবেন কঠিন সিদ্ধান্ত নেন । দুজনের নামে সম্পত্তি ভাগ করে দেন । মুকেশ আম্বানির ভাগে পড়ে তেল শোধনাগার ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসা , আর অন্যদিকে অনিল আম্বানির ঝুলিতে আসে টেলিকম, ফিন্যান্স ও এনার্জি ইউনিট । প্রথম প্রথম অনিল বেশ কায়দা করেই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন । ব্যবসায় বেশ লাভও হচ্ছিল ………ব্যাঙ্কের কোষাগার ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে । তবে তার একটা সিদ্ধান্তই তার জীবনকে তছনছ করে দেয় । শোনা যায় , একটি সাউথ আফ্রিকান কোম্পানির সাথে চুক্তি করেন । এবং সেই কোম্পানির জন্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি । আর এখানেই ঘটে বিপত্তি । একবারে মুখ থুবড়ে পড়েন অনিল । সব টাকাই জলে চলে যায় । কোম্পানি এতোটাই লস খায় যে ………… কোম্পানিকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য তিনি আবারো ঋণ নেন । একের পর এক ঋণ তাকে দেউলিয়া করে দেয় । এই ঋণ শোধ করার জন্য অনিল আম্বানি নিজের রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে পক্ষীরাজ সবই একে একে বিক্রি করে দিতে থাকেন । সব বিক্রি করেও তিনি ঋণ শোধ করতে পারেন না । এমনকি শোনা যায় , একসময় তার নামে জালিয়াতির মামলা পর্যন্ত করা হয় । তার এমন ফকির অবস্থা হয়ে যায় ……… যে মামলা লড়ার জন্য রীতিমতো বৌয়ের গয়না বিক্রি করে টাকা জোগাড় করতে হয় । আসলে অনিল আম্বানি স্মার্ট ওয়ার্ক করে ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন । তবে তিনি সঠিকভাবে ব্যবসায় বুদ্ধিপ্রয়োগ করতে পারেননি । যার জেরেই তিনি আজ নিঃস্ব , , , , , , , সেই যে একবার ব্যবসায় চিড় ধরা শুরু করে । এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেন না তিনি ! অন্যদিকে মুকেশ আম্বানিকে দেখুন একের পর এক সাফল্য সবই তার ঝুলিতে । বর্তমানে তিনি এখন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *