বাড়িতে হার্ট অ্যাটাক হলে, এই ৫টি কাজ ভুলেও করবেন না! তাহলেই সাংঘাতিক বিপদ, বাঁচার চান্স ১০০% কমে যাবে

বাড়িতে হার্ট অ্যাটাক হলে, এই ৫টি কাজ ভুলেও করবেন না! তাহলেই সাংঘাতিক বিপদ, বাঁচার চান্স ১০০% কমে যাবে

বাড়িতে হার্ট অ্যাটাক হলে,
এই ৫টি কাজ ভুলেও করবেন না!

তাহলেই সাংঘাতিক বিপদ!

প্রাণ নিয়ে টানাটানিতে
পরে যাবেন!

বাঁচার চান্স
১০০% কমে যাবে!

এই ভুলগুলো কি কি
দেখুন

হার্ট অ্যাটাক, এই দুটি শব্দেই কেঁপে উঠে গোটা শরীর!! এই দুই শব্দের প্রতি পরতে পরতে লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর মৃত্যুঝুঁকি! যে মৃত্যুঝুঁকি থেকে রেহাই পাওয়া দুষ্কর! ১০০ জনের মধ্যে, ২০ জন হয়তো এই মৃত্যুঝুঁকি এড়িয়ে যেতে পারেন। হার্ট অ্যাটাকে বেঁচে যাওয়া রোগীর সংখ্যা হয়ত আরো বেশি হত, যদি মানুষ বেশ কিছু ভুল থেকে বিরত থাকত। চিকিৎসকরা বলছেন হার্ট অ্যাটাক রাস্তাঘাটে যেমন হয় তেমন বাড়িতেও হয়। রাস্তাঘাটে হলে , ছোটাছুটি করে রোগীকে তৎক্ষণা নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে যখন কারো হার্ট অ্যাটাক হয় সেক্ষেত্রে বিষয়টা হয়ে দাঁড়ায় অন্যরকম। অনেকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগের রোগীকে বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন। ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য অনেকেই রোগীকে সেলফ সিপিআর দিয়ে থাকেন। সেলফ সিপিআর,,,, একে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীকে বাঁচানোর, একটি পদ্ধতি বলে মানা হয়। হার্ট অ্যাটাক হলে রোগীর দম বন্ধ হয়ে যায়, রোগীর হার্ট চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়, রোগী তখন আর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে না, ফলে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে। এই পরিস্থিতি থেকে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে self cpr দেয়া হয়। এর সাহায্যে রোগীর বুকে, জোরে জোরে বল প্রয়োগ করে চাপ দিয়ে, রোগীর হার্টবিটকে সচল রাখার একটি প্রচেষ্টা চালিয়ে দেওয়া হয়।
তবে এই সেলফ সিপিআর এর মতন প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে গিয়েই অনেকে করে বসেন মারাত্মক ভুল। এর ফলে একজন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীর প্রাণ বাঁচানোর সম্ভাবনা থাকলেও সেটা এক্কেবারে কমে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় বাড়ির লোকেরা মর্মান্তিক ৫টি ভুল সবচেয়ে বেশি করেন। যদি এই ভুলগুলো এড়ানো যায় সেক্ষেত্রে রোগীর প্রাণ বাঁচানোর সুযোগ বহুগুণ বেড়ে যায়। ঝটপট দেখুন এই পাঁচটি ভুল কি কি –

১, বডি অত্যধিক নড়াচড়া করা –

হার্ট এটাকে আক্রান্ত রোগীকে কখনোই অত্যাধিক নাড়াচাড়া করাবেন না। এতে করে রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি আরো বেগতিক হয়ে পড়ে। বাড়িতে কারো হার্ট অ্যাটাক হলে, সেই মানুষটিকে কোনও একটি জায়গায় শুইয়ে দেবেন। তারপর হাসপাতালে নেওয়ার আগে পর্যন্ত, জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করবেন।

২, প্যানিক করা –

দেখুন বাড়িতে প্রিয়জনের কারও আচমকা হার্ট অ্যাটাক হলে, বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা একটু ঘাবড়ে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। এই ধরনের মর্মান্তিক করুন পরিস্থিতিতে অনেক সময় বাড়ির লোকেরা মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে প্যানিক করে বসেন। যা রোগীর জন্য একেবারেই শুভ ফলপ্রদায়ক নয়। আপনার চোখের সামনে কেউ হার্ট অ্যাটাক হলে, প্যানিক না করে চেষ্টা করুন রোগীকে সাহস জোগানোর। মনে রাখবেন আশেপাশের মানুষকে প্যানিক করতে দেখলে হার্ট অ্যাটাক রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩, ভুলভাল সিপিআর –

আজকাল হার্ট অ্যাটাক রোগীকে বাঁচানোর জন্য সেলফ সিপিআর নামক প্রাথমিক চিকিৎসার কথা প্রায়শই শোনা যায়। সেলফ সিপিআর একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার সাহায্যে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীর হার্টবিট চালু রাখা হয়। অন্তত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এই সেলফ সিপিআর রোগীকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। মূলত বুকের উপর জোরে জোরে চাপ দিয়ে রোগীর শ্বাস প্রশ্বাস সচল রাখার পদ্ধতির নামই হল সেলফ সিপিআর। তবে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে গিয়ে অনেকেই রোগীর বারোটা বাজিয়ে বসেন। তাই আপনারা যারা হার্ট এটাকে আক্রান্ত রোগীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য সেলফ সিপিআর দিতে যাবেন তারা অবশ্যই এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করে রাখবেন।

৪, এসপিরিন দেওয়ার আগে সতর্কতা –

এটি একটি ওরাল ট্যাবলেট। যেটি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীকে দেওয়া হয়। এই ট্যাবলেটটি রোগীকে খাওয়ালে বিপদ অনেকটাই সামাল দেওয়া যায়। তবে না জেনে না বুঝে রোগীকে এই ট্যাবলেট মুখে পুরে দেবেন না। কারণ অনেকেরই এস্পিরিন ট্যাবলেটে অ্যালার্জি থাকে। রোগীর এলার্জি হিস্ট্রি না জেনে রোগীকে এ ধরনের কোন ট্যাবলেট খাইয়ে দেবেন না। এতে করে রোগীর স্বাস্থ্য সংকটের ঝুঁকি হাজার গুণ বেড়ে যেতে পারে।

৫, রোগীকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলবেন না

. হার্ট এটাকে আক্রান্ত রোগী এমনিতেই শক পেয়ে থাকে। জীবনের ঝুঁকি আন্দাজ করতে পেরে রোগীর হালাত অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়। এই সময় রোগীর মানসিক পরিস্থিতি যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে রোগের আশেপাশের মানুষেরা আচার-আচরণ করুন। সেবার শুশ্রূষা কারীরা এমন কোন আচরণ কিংবা আলাপ-আলোচনা করবেন না যার রোগীর মধ্যে ভয় ভীতি ও উদ্বেগ ঘটাতে পারে। হার্ট এটাকে আক্রান্ত রোগীর মানসিক স্থিতিশীলতা যদি নষ্ট হয়ে যায় তারও একটি বিরাট প্রভাব পুনরায় হার্টে গিয়ে পড়ে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *