ভুলেও বাড়িতে লাগাবেন না এই ১টি গাছ! প্রেগন্যান্ট মহিলা থেকে ছোট বাচ্চারা এই গাছের ধারে কাছেও আসবেন না!

ভুলেও বাড়িতে লাগাবেন না এই ১টি গাছ! প্রেগন্যান্ট মহিলা থেকে ছোট বাচ্চারা
এই গাছের ধারে কাছেও আসবেন না!

ভুলেও বাড়িতে লাগাবেন না
এই ১টি গাছ!

এই গাছেই লুকিয়ে আছে
মারাত্নক মৃত্যু ফাঁদ!

সাংঘাতিক বিষে ভরা
এই গাছের প্রতিটি পাতা!

প্রেগন্যান্ট মহিলা থেকে ছোট বাচ্চারা
এই গাছের ধারে কাছেও আসবেন না!

এই গাছটি সম্পর্কে
যে সমস্ত তথ্য বেরিয়ে এসেছে,

না জানলেই পস্তাবেন

দু কামরার ঘর হোক কিংবা ফ্ল্যাট সাজাতে কে না পছন্দ করেন,,,,,,,,, তাই সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আজকাল সকলেই শখ করে গাছ বাড়িতে লাগিয়ে থাকেন। বিশেষ কিছু গাছ রয়েছে যেগুলি ঘরের এক কোণে রাখলেই বাড়ীর সৌন্দর্য অনায়াসে বৃদ্ধি পায় । তবে এর মধ্যে এমন একটি গাছ রয়েছে যা বাড়ীতে রাখলে ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতি করে। নিজের অজান্তেই আপনি বাড়ীতে দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পুষছেন । কারণ এই গাছের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে মৃত্যুর ফাঁদ। এই গাছটির নাম হলো ডায়ফেনবাসিয়া ( Dieffenbachia) । শহুরে জীবনের এই একঘেয়েমি আদব কায়দা থেকে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস পাওয়ার জন্য সকলেই এই গাছ রাখতে ভালোবাসেন। তবে জানেন বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে নিজের জীবনকেই ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এই গাছগুলি বাড়ীতে থাকলে গুনে গুনে পাঁচটি মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সেগুলি কী কী জেনে নিন :

এক , মৃত্যু :

এই গাছ এতোই ভয়ঙ্কর যে , এই গাছের বিষ একবার শরীরে প্রবেশ করলে মৃত্যু হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারে না। বিশিষ্ট গবেষকদের মতে, এই গাছের মধ্যে রয়েছে এক প্রকার অদৃশ্য রস ,,,,,, যার মধ্যে রয়েছে বিষাক্ত পদার্থ । এর ফলে গাছে হাত দেওয়ার সময় এই রস আপনার হাতে লাগলেও আপনি ঘুণাক্ষরেও টের পান না । আর এখানেই ঘটে সর্বনাশ,,,, ভুল করেও যদি হাত না ধুয়ে মুখে হাত দেন তাহলে আপনার মৃত্যু অনিবার্য। এই বিষাক্ত পদার্থ পেটে যাওয়া মাত্রই প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে দেয় । শরীরে ঝাঁকিয়ে খিঁচুনি শুরু হয়,,,, এরপর একে একে আপনার শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেবে। পাক্কা পনেরো মিনিটের মধ্যে হয়তো আপনার মৃত্যুও ঘটতে পারে। তাই এই বিষয়ে সকলের সচেতন থাকা উচিত।

দুই, ফুসফুস সংক্রমণ:

দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে এই গাছটি থাকলে মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টও সৃষ্টি হতে পারে। গবেষকদের মতে, এই গাছে রয়েছে কিছু সূক্ষ ব্যাকটেরিয়া যা সচরাচর চোখে দেখা যায় না। তবে এই ব্যাকটেরিয়া গুলি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। বাড়িতে থাকতে থাকতে এই গাছে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এবং ব্যাকটেরিয়া গুলি শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে আপনার শরীরে প্রবেশ করে।
এই ব্যাকটেরিয়া গুলি শরীরে প্রবেশ করলে তা সরাসরি প্রভাব ফেলে হৃদপিণ্ডে। এতে হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক ছন্দ ক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে,,,,, ফলে শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা দেখা দেয়।

তিন, অন্ধত্ব:

এই পাতাবাহার গাছ থেকে শুধু শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি হয় তা নয় ,,,, এই গাছের ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে যেকোনো ব্যক্তি সারাজীবনের মতো অন্ধও হয়ে যেতে পারে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, এই গাছে হাত দেওয়ার পর সেই হাত যদি চোখে দেওয়া হয় তাহলে অন্ধত্ব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এতে থাকা অদৃশ্য রসই সবথেকে বেশি ক্ষতিকর,,,,,, যা চোখের মতো সংবেদনশীল জায়গায় লাগলে চোখে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে চোখের মধ্যে থাকা রেটিনা যেটি চোখের মূল অংশ তাতে বেশি প্রভাব পড়ে। ফলে চোখ লাল হয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তাই এই গাছ বাড়িতে রাখলে অবশ্যই এই বিষয়ে বিশেষ সতকর্তা অবলম্বন করুন ।

চার, চর্ম রোগ:

এই পাতাবাহার গাছটির পাতায় থাকে এপ্রকার বিরল ব্যাকটেরিয়া। এগুলি ত্বককে ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতি করে। চিকিৎসকদের মতে , এই গাছে থাকা ব্যাক্টেরিয়া গুলি থেকে একধরনের লালা নিঃসরণ হয়। আর এই লালাতেই রয়েছে বিষাক্ত উপাদান। যা ত্বকে লাগলেই চুলকানি, লাল ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়া তৈরি হয় । এই চুলকানি, ঘা দীর্ঘস্থায়ী থাকার ফলে শরীরের নানা অঙ্গে প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।

পাঁচ, গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের জন্য ক্ষতিকর:

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডায়ফেনবাসিয়া ( Dieffenbachia) গাছে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলি বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। গবেষকদের মতে , শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম থাকে। ফলে এর ব্যাকটেরিয়া শিশুদের শরীরে প্রবেশ করলেই সঙ্গে শরীর কাবু করে নেয়। । তথ্য সুত্রে জানা গিয়েছে ,,,, একটি বাচ্চার শরীরে এই গাছের কোনো অংশ পেটে গেলে ঠিক এক মিনিটের মধ্যে বিষাক্ত পদার্থটি বাচ্চাটির শরীরের কাজ করা শুরু করে দেয় । এবং ওই সময়ের মধ্যেই বাচ্চার প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে। আর গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে। তাই সর্বদা আপনারা এই বিষয়ে সচেতন থাকুন

আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং এরকম আরো তথ্য পেতে চোখ রাখুন বাংলা হান্ট ভিডিও পেজে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *