বাংলাদেশের কাঞ্চন মল্লিককে চেনেন? নাম তার খন্দকার মুশতাক, বয়স ৬৫, বিয়ে করেছেন হাঁটুর বয়সী তরুণী সিন্থিয়া তিশাকে! কারা এরা? দেখুন
বাংলাদেশের কাঞ্চন
মল্লিককে চেনেন?
নাম তার খন্দকার মুশতাক!
বয়স ৬৫!
বিয়ে করেছেন হাঁটুর বয়সী তরুণী
সিন্থিয়া তিশাকে!
চুটিয়ে চালাচ্ছেন,
প্রেমলীলা!
যা নিয়ে তোলপাড়
গোটা বাংলাদেশ!
হৈ চৈ কান্ড নেট পাড়ায়
কথায় আছে প্রেমের জন্য বয়স কখনোই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না । তার জলজ্যান্ত উদাহরণ আমরা পেয়েছি কাঞ্চন শ্রীময়ীকে দেখে । তবে কাঞ্চন শ্রীময়ী শুধু নয়, এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশের আরেক কাঞ্চন মল্লিক ওরফে খন্দকার মুশতাক! যিনি কাঞ্চন মল্লিকের থেকে কম কিছু নন। এই মুহূর্তে বাজার কাঁপাচ্ছেন এই মুস্তাক সাহেব এবং তার তরুণী স্ত্রী সিন্থিয়া । তাদের মাখো মাখো লাভস্টোরি শুনলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন । এতদিন বহু প্রেমের গল্পও আপনারা শুনে থাকলেও এহেন প্রেমের কাহিনী নিশ্চয়ই শোনেননি । ভালো তো সকলেই বাসতে জানে তবে অন্ধ ভাবে ভালোবাসতে কজন পারে । পারে পারে ! সিন্থিয়া পারে । তাই তো প্রেমিক মুস্তাফার ডাক অগ্রাহ্য করতে না পেরে ছাদ টোপকে পালায় সিন্থিয়া। তরুণীর সাহস সত্যিই প্রশংসা করার মত । এসবে শুনে নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে হচ্ছে কে এই সিন্থিয়া ? কে এই মুস্তাক ? কি তাদের কাহিনী ?
তাহলে দেরী না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক তাদের জনপ্রিয় প্রেম কাহিনী ।
বছর ৬৫ যুবকের প্রেমে কাবু অষ্টাদশী সিন্থিয়া । কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী সিন্থিয়া ইসলাম তিশা , আর প্রেমিক হচ্ছেন বছর ষাট ঊর্ধ্ব খান্দাখার মুস্তাক আহমেদ । হাঁটুর বয়সীই মেয়েকে বিয়ে করেছেন সিনিয়র সিটিজেন কাকু ।বিয়ে নয়! একেবারে প্রেম করে বিয়ে । যদিও মুস্তাক কোন যে সে ব্যক্তি নন, ঢাকায় তার বেশ পরিচিতি। পেশায় তিনি ঢাকার আইডল স্কুল এবং কলেজ –এর পরিচালন কমিটির সদস্য ।আর তারই প্রেমে হাবুডুবু এই তরুণী । অষ্টাদশী সিন্থিয়া মুস্তাকার প্রেমে এতোটাই পাগল যে বাড়িতে কাউকে না জানিয়েই তড়িঘড়ি করে লুকিয়ে বিয়ে সেরে ফেলেন। কিন্তু সিন্থিয়াই মুস্তাকের জীবনে প্রথম স্ত্রী নন । সিন্থিয়ার আগে ষাট ঊর্ধ্ব এই ব্যক্তির জীবনে এসেছিল একাধিক নারী । একটা নয় দুটো নয় একেবারে চার চারটি বিয়ে করেছেন তিনি । তবে একটি বউয়ের সাথেও সংসার করতে পারেননি । এখন তিনি ঘর পেতেছেন সিন্থিয়ার সাথে । তবে তাদের এই প্রেম কাহিনী নিয়ে রয়েছে একাধিক জল্পনা । মুস্তাক যে কলেজের সদস্য ছিলেন তার তিনটি শাখা ,,,,, তারই মধ্যে ঢাকার ছাত্রী ছিলেন সিন্থিয়া। সেখানেই দুজনের আলাপ । প্রথম থেকেই মুস্তাকের নজরে নজরে ছিল সিন্থিয়া । শোনা যায়, সিন্থিয়াকে দেখে তার মনে বসন্তের ছোঁয়া লাগে । তাকে একঝলক দেখার জন্য প্রতিদিন কলেজে ছুটে আসতেন বছর ৬৫ এর যুবক । তবে জানা যায়, সিন্থিয়াকে পাওয়ার লোভে তরুণীকে তিনি কুপ্রস্তাব দেন । শুধু তাই নয় , তরুণীর মন জেতার জন্য দামী দামী জিনিসের প্রলোভন পর্যন্ত দেখান । আর এই প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে তার সাথে শারীরিক ভাবে কুকর্মে লিপ্ত হন সিন্থিয়া । তবে সিন্থিয়ার বাবা এই খবর শোনা মাত্রই পুলিশের কাছে গিয়ে অপহরণ এবং শারীরিক ভাবে হেনস্থা মামলা করেন । এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে মুস্তাকের নামে ছিঃ ছিঃ পড়ে যায় ঢাকা চত্বরে । তার এহেন কুকীর্তি সমাজের চোখে তাকে ছোট করে তোলে। প্রেমিকের অপমান সহ্য করতে না পেরে মাঠে নামেন খোদ সিন্থিয়া। সকলের সামনে এসে বলেন তিনি প্রাপ্তবয়স্ক একজন মেয়ে, তার ওপর কোন রকম জোর জবরদস্তি করা হয়নি । তবে মেয়ের এহেন কাণ্ড দেখে হতবাক তার পরিবারের লোকজন । তবে বিষয়টি এখানেই থেমে থাকে না,,,,,শোনা যায় তার এই কীর্তি দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন তার পিতা । সিনেমার হিটলার বাবাদের মতই তাকে ঘর বন্দি করে রাখেন । তবে এতে কোন লাভ হয় না,,,,, তরুণী সুযোগ বুঝে বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান । এবং পালিয়ে গিয়ে তারা বিয়ে করেন । নিজের বাবার থেকেও বড় যুবককে বিয়ে করেন অষ্টাদশী তরুণী । বাংলাদেশে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সকলের মাথায় হাত । গোটা নেট দুনিয়া জুড়ে রীতিমত হুলস্থুলু কাণ্ড পড়ে যায় ।
Leave a Reply