প্যারট ফিভার! অচেনা ১টি রোগ, কাড়ছে প্রাণ, লক্ষণ দেখা যাওয়ার ২ মাসে মধ্যেই মৃত্যু ঘটছে রোগীর, কি এই প্যারট ফিভার?

প্যারট ফিভার! অচেনা ১টি রোগ, কাড়ছে প্রাণ, লক্ষণ দেখা যাওয়ার ২ মাসে মধ্যেই মৃত্যু ঘটছে রোগীর, কি এই প্যারট ফিভার?

প্যারট ফিভার!

অচেনা ১টি রোগ, কাড়ছে প্রাণ!

লক্ষণ দেখা যাওয়ার
২ মাসে মধ্যেই মৃত্যু ঘটছে রোগীর!

একবার যে আক্রান্ত হচ্ছে,
সে আর বেঁচে ফিরে আসতে পারছে না!

কি এই প্যারট ফিভার?

আচমকাই একটা খবর যেন সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছে । গোটা বিশ্বজুড়ে থাবা বসাচ্ছে প্যারোট ফিভার । হূ হূ করে ছড়াচ্ছে এই রোগের ভাইরাস । দুর্ভাগ্যবশত, এই রোগের কবলে যেই পড়ছে সে আর বাড়ি ফিরে আসতে পারছে না,,,, মৃত্যুই হচ্ছে এই রোগের শেষ ঠিকানা । ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় দেশগুলিতে এই রোগের সঙ্ক্রমণ তরতরিয়ে বাড়ছে। তবে এই রোগের সঠিক কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। এই রোগ থেকে ছুটকারা দিতে বিশ্বের বড় বড় বিশেষজ্ঞরা নিত্যদিন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। । চিকিৎসকেরা হাজার চেষ্টা করেও এই রোগের কোন কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না । হুট করেই যেন এই রোগের আতঙ্ক মানুষকে গ্রাস করে ফেলেছে । তবে এই রোগটি আসলে কি সে সমন্ধে অনেকেই জানেন না । আমাদের আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরবো প্যারট ফিভার রোগের যাবতীয় তথ্য।

কি এই প্যারট ফিভার রোগ ?

প্যারোট ফিভার রোগটি কোন সাধারণ রোগ নয় । এই রোগের আর একটি নাম রয়েছে বিজ্ঞানী ভাষায় একে বলা হয় সিটাকোসিস । বিশিষ্ট গবেষকদের মতে, ক্লেমাইডিয়া সিটাকি নামক ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া থেকেই প্যারোট ফিভারের জন্ম ।এই রোগটি মুলত টিয়া পাখির শরীরে বাসা বাঁধে । এছাড়াও হাঁস, মুরগীর মত পাখিদের শরীরেও এই রোগটি দেখা যায়। একমাত্র এই রোগে আক্রান্ত পাখিদের সংস্পর্শে আসলেই মানুষের শরীরে হানা দেয় এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস ।

কিভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে হানা দিয়েছে প্যারট ফিভার ?

পাখিদের শরীরে এই রোগের লক্ষন দেখা না দিলেও , মানুষের শরীরে এই রোগের লক্ষন ভয়ানক ভাবে ধরা পড়ে ।

এক , এই ভাইরাস শরীরে হানা দেওয়ার ঠিক পাঁচ ছয় দিনের মাথায় এই রোগের প্রভাব বোঝা যায় । এই মারন ভাইরাস্ সবার আগে ফুসফুসকে সংক্রমণ করে ।
দুই , এরপরই শরীরে আসে কাঁপিয়ে জ্বর , তার সাথে শুরু হয় তীব্র মাথা ব্যথা, গাঁটে ব্যাথা । শুধু তাই নয় হঠাত হঠাত করে পেশিতে খিঁচুনি ধরা বুঝিয়ে দেবে আপনি প্যারোট ফিভারে আক্রান্ত।

তিন , ঘন ঘন বমি, পেটে ব্যাথা এই রোগের অন্যতম লক্ষন ।

চার , এছাড়াও শরীরে ক্লান্তি ভাব , দুর্বলতা , খাবারে অনীহা এগুলিও এই রোগের বিশেষ লক্ষন । এই লক্ষন দেখামাত্রই চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন ।

তবে সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে এই রোগ! ছড়াচ্ছে কিভাবে ?

যাদের বাড়িতে পোষা টিয়াপাখি রয়েছে তাদের এই রোগ্ হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি । এছাড়াও যাদের বাড়িতে হাঁস, মুরগী ছাড়া অন্যান্য পাখি রয়েছে তাদেরও এই রোগ হওয়ার প্রবনতা রয়েছে । গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পাখির বিষ্ঠা থেকেই এই রোগ ছড়ায় । পাখির বিষ্ঠাতে থাকা ভয়ঙ্কর ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে গিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এর ফলে শরীরে প্যারোট ফিভারের জীবাণু বাসা বাঁধে । শুধু তাই নয় অনেকসময়, পাখি কামড় থেকেও এই রোগের জন্ম হয়। তাই যাদের বাড়িতে পোষা পাখি রয়েছে তাদের অবশ্যই সাবধান থাকা উচিত ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *