ছিঃ! রূপঙ্কর বাগচী, ছিঃ! আবারও এত বড় নোংরামো? ইংরেজিতে কুরুচিকর গালমন্দ, সাংঘাতিক মারমুখী VIP অ্যাটিটিউড, সরকারি অফিসে রুপঙ্করের চরম দাদাগিরি!
ছিঃ! রূপঙ্কর বাগচী, ছিঃ!
আবারও এত বড় নোংরামো?
এবার সরকারি কর্মীদের সাথে,
জঘন্যতম কান্ড ঘটালেন বিতর্কিত গায়ক!
ইংরেজিতে কুরুচিকর গালমন্দ,
সাংঘাতিক মারমুখী VIP অ্যাটিটিউড!
সরকারি অফিসে
রুপঙ্করের চরম দাদাগিরি!
গায়কের কাণ্ডে রেগে আগুন
নেট জনতা
কেকে-কে নিয়ে যে জঘন্যমূলক কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন স্বনামধন্য গায়ক রুপঙ্কর বাগচী,,,, তার জল বহুদূর গড়ায় । তার এই কাজ আজও মানুষ অক্ষরে অক্ষরে মনে রেখেছে। জনমানসের কাছে এখনো তাকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য শুনতে হয় ! কেকে-র কাণ্ডের রেশ এখনো কাটেনি …… তারই মধ্যে তিনি ঘটিয়ে বসলেন আরও একটি ঘটনা ! আবারো সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী । রীতিমতো নোংরামো করেছেন তিনি । আর এই নোংরামি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত রেগে ফেটে পড়েছে আম জনতা । তার এই সাহস দেখে ক্ষুব্ধ লাল নেট জনতা। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সকলকে অবাক করে দিয়েছে । একজন শিল্পী এমন আচরণ কি করে করতে পারেন ? প্রশ্ন তুলছে নেটপাড়া ।
সামাজিক মাধ্যমে একটি পোষ্ট ঘিরে রীতিমত জল্পনা শুরু হয়েছে । আর এই জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী এবং তার স্ত্রী চৈতালি লাহিড়ী ! এই পোষ্টটি করেছেন সরকারী কর্মচারী দেবারতি দেবী । তিনি এই পোষ্টে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরেছেন। তার পোস্টের মাধ্যমে জানা গিয়েছে , গায়কের স্ত্রী আধারের কাজ করার জন্য আধার অফিসে যান । তবে তিনি আর সাধারণ পাঁচটি মানুষের মতো লাইনে দাড়িয়ে কাজ করাতে নারাজ । তাই সেখানে কর্মরত অফিসারকে রীতিমত আদেশ দেন তার কাজ সবার আগে করে দিতে হবে । কারণ তিনি রাজ্য সরকার মহিলা সুরক্ষা দপ্তরের কর্মী ……যদিও পরে জানা যায় তিনি রূপঙ্কর বাগচীর স্ত্রি ! কিন্তু সেখানকার কর্মচারী বলেন তিনি একাজ করতে পারবেন না । এখানে যারা দাঁড়িয়ে আছেন তারা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে । তাদের কাজ শেষ হওয়ার পর তার কাজ করে দেবেন । একথা শুনে মুখ ভার হয়ে যায় রূপঙ্কর পত্নীর ……… তিনি বলে যান দেড়টার পর এসে কাজ করাবে । কথামত তিনি দেড়টায় অফিসে আবার হাজির হন তবে এবার বগলদাবা করে নিয়ে আসেন তার স্বামী অর্থাৎ রূপঙ্কর বাগচীকে । কিন্তু দেড়টার বদলে কাজ করতে কিছু মিনিট দেরি হয়ে যায় । এজন্য অহংকারী চৈতালি সরকারি কর্মচারীদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ফেটে পড়েন ! গলা ফাটিয়ে বলেন , মুড়ি মুড়কি এক করলে চলবে না, বুঝতে হবে কাকে আগে সুবিধা দেওয়া উচিত!! তার এই ইঙ্গিতে স্পষ্ট ধরা পড়ে অহংকার ! এমনকি তাদের কাজ দেরি হওয়ায় সম্মানে ঘা লাগে গায়কের । তাই কর্মচারীদের সাথে যাচ্ছেতাই ব্যবহার শুরু করেন ,,,,,,, শুধু তাই নয় কর্মচারীদের ইংরেজিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পর্যন্ত করেন ! এই আচরণ দেখে অন্যান্য কর্মচারীরা প্রতিবাদ করতে আসলে তাদের বিরুদ্ধেও লাগামছাড়া শব্দ ব্যবহার করেন । তার এই আচরণ সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হতে না হতেই রীতিমত সাবান জলে ধুয়ে দেন নেটিজেনরা । তার স্ত্রীর এমন মন্তব্য শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে নেট জনতা। শুধু তাই নয় সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এই অশালীন আচরণ করা নিয়ে প্রশ্ন তোলে জনগণ । একজন শিক্ষিত এবং সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত মানুষ কিভাবে এই আচরণ করতে পারে ? তার এই আচরণ নির্বোধতার পরিচয় দিয়েছে এমনটাই দাবি জনগণের ।
Leave a Reply