শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংদেব, কোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন জানেন? অত্যন্ত সাংঘাতিক এবং প্রাণঘাতী সম্পন্ন একটি ক্যান্সার! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী মারা যায়

শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংদেব, কোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন জানেন? অত্যন্ত সাংঘাতিক এবং প্রাণঘাতী
সম্পন্ন একটি ক্যান্সার! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী মারা যায়

শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংদেব, কোন
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন জানেন?

গালের ভিতরে হয়
এই ক্যান্সার!

অত্যন্ত সাংঘাতিক এবং প্রাণঘাতী
সম্পন্ন একটি ক্যান্সার!

এই ক্যান্সারের ছোবল থেকে
বেঁচে ফেরা মুশকিল!

ভগবানতুল্য হয়েও বেঁচে
ফিরতে পারেননি গদাধর!

আপনি কি এই রোগের
হাত থেকে বাঁচতে চান?

আপনি কি চান রামকৃষ্ণদেবের
মতন পরিস্থিতিতে না পড়তে?

তাহলে এই রোগটির যাবতীয়
খুঁটিনাটি সম্পর্কে এক্ষুনি জেনে নিন

দেরি করলেই সর্বনাশ

যিনি রাম… তিনি কৃষ্ণ….. তিনিই রামকৃষ্ণ। ধর্মপ্রাণ, দৈবিক ক্ষমতা সম্পন্ন রামকৃষ্ণ আধুনিক সমাজে আজও পূজিত। বিশ শতকে দাড়িয়েও তার বাণী আজও মানুষকে দিশা দেখিয়ে যাচ্ছে। তবে ঈশ্বরতুল্য এই মানুষটিকে ধরণীর কোল থেকে কেড়ে নেয় বিষাক্ত ক্যান্সার। হ্যাঁ একদম তাই। ক্যান্সারের মারণ ছোবলের হাত থেকে রেহাই পাননি ভগবান স্বরূপ রামকৃষ্ণ। সাধারণ মানুষের মতন এই দেবতুল্য মানুষটিও ক্যান্সারের বিষে বিষাক্ত হয়ে উঠেছিলেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েই তিনি মারা যান। কিন্তু রামকৃষ্ণের এই রোগ নিয়ে নানা তর্ক বিতর্ক রয়েছে। কেউ বলে ক্যান্সার তো কেউ বলে আলসার। তথ্য সূত্রে জানা যায়, রামকৃষ্ণ দেবের গলায় এক প্রকার বিষাক্ত ঘা হয়, আর সেখানে থেকেই ক্যান্সার হয়। আর এখান থেকেই, পরমহংস দেবের ক্যান্সার হয়েছে নাকি ঘা হয়েছে সেই নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।

সেইসময় যারা যারা তার চিকিৎসা করেছিলেন ,,,,, তাদের মধ্যে একাংশের দাবী তাঁর গলায় সাঙ্ঘাতিক ঘা হয়। আবার কোনো কোনো চিকিতসক দাবি করেন গলায় ক্যান্সার হয়। যদিও রামকৃষ্ণ মারা যাওয়ার প্রমাণ পত্রে, গলায় ঘায়ের উল্লেখ রয়েছে। এই নিয়ে, নানা মুনির নানা মত থাকলেও, সর্বজন গৃহীত মতামত অনুযায়ী, রামকৃষ্ণ ঠাকুরের ক্যান্সার হয়েছে বলেই ধরা হয়। অনেকেই এই পরিপ্রেক্ষিতে অনেক যুক্তি ও কারণও দেখিয়েছেন। রামকৃষ্ণ ঠাকুর সেই সময় গলার যন্ত্রণার কারণে ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে পারতেন না। খাবার গিলতে ঠাকুরের কষ্ট হতো। যন্ত্রণায় তিনি ছটফট করতেন। মা সারদা দেবী সেই সময় ঠাকুরকে বাচ্চা ছেলের মতন যত্ন করে খাওয়ার চেষ্টা করতেন। রামকৃষ্ণ ঠাকুরের জীবনী থেকে জানা যায়, তার গলায় ঘায়ের মাত্রা এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে, অধিকাংশ সময়ই গলা দিয়ে গল গল করে রক্ত বেরোতো। অনেক সময় দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজও নির্গত হতো। ঠাকুর এ সমস্ত কষ্টের জ্বালায় কখনো কখনো বমি করে ফেলতেন। ঠাকুরের শরীরে বাসা বাঁধাক ক্যান্সারটির বিজ্ঞানসম্মত নাম ওরাল ক্যান্সার।

বাংলা হান্টের আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরবো এই মারণ রোগের বিস্তারিত তথ্য।

এই ওরাল ক্যান্সার আসলে কি ? রামকৃষ্ণ দেবের শরীরে কীভাবে বাসা বাঁধে?

কর্কট রোগের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে তার মধ্যে এটি সাংঘাতিক। আদিকাল থেকে শুরু করে আজও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন। ওরাল ক্যান্সার মূলত মুখের ভিতরের ক্যান্সার। মুখ থেকে জিভ, এরপর জিভ থেকে ধীরে ধীরে গলায় পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় । এই রোগটি মূলত নির্ভর করে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস, ধুমপানের অভ্যাস, মুখ অপরিষ্কার রাখা ইত্যাদি ওপর।

তথ্য সুত্রে জানা গিয়েছে , রামকৃষ্ণ দেবের মারাত্মক হুকোর নেশা ছিল । প্রতিদিন এক বার করে হলেও তিনি হুকোয় টান দিতেন। এই বদভ্যাসই তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল। হুকোর মতো সাঙ্ঘাতিক নেশা থেকেই রামকৃষ্ণ দেবের গলায় ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। প্রথম থেকে এই রোগের সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার কারণে এই মারণব্যাধী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে ।

এই রোগের মূল লক্ষনগুলি কি কি ?

চিকিৎসকদের মতে , এই রোগের লক্ষণ খুব সহজেই ধরা পড়ে,, তবে দেরীতে। এই রোগের মূল লক্ষণগুলি হচ্ছে ঘন ঘন রক্ত বমি, খেতে অসুবিধা , কথা বলার সময় অসুবিধা হওয়া , দাঁতে এবং মাড়িতে ঘা এগুলিই এই রোগের মূল লক্ষন।

আর এই সমস্ত লক্ষন ধরা পড়ে, দেবতুল্য গদাইয়ের শরীরে। সর্বপ্রথম তার গলা থেকে রক্ত ক্ষরণ হতে শুরু করে ,,,,,, এই লক্ষ্মণ দেখামাত্রই তিনি চিকিতসকের শরণাপন্ন হন। কিন্তু তখন সাধারণ ঘা বলে চিকিৎসা করা হয় । তবে পরবর্তীকালে খেতে গেলে সমস্যা, কথা বলতে সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকেরা বলেন গলায় ক্যানসার হয়েছে।

কেনো এই রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান?

এই রোগে আক্রান্ত হয়ে তার জীবনে সব কিছু হারিয়ে যায়। পেটুক স্বভাবের গদাই খাবার দেখলে হামলে পড়তেন,, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে যেনো খেতেও ভয় পেতেন। তবে জানা গিয়েছে , নিজের গাফিলতির জন্য এই করুন দশা হয়েছিল তার । চিকিৎসকদের কথা মানা তো দুর তিনি ওষুধ পর্যন্ত খেতেন না । শুধু তাই নয়, তাকে চিকিৎসকরা রীতিমত বেশি কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা আরো বেশি বেশি করে কথা বলতেন। যার ফলে এই মারণ রোগ একসময়ে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে এবং শেষ পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব।

তাহলে বুঝতেই পারলেন কিভাবে রামকৃষ্ণদেব এই কর্কট রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ঠাকুরের মতন এমন করুন পরিস্থিতির শিকার হতে না চাইলে, অবশ্যই এই লক্ষণগুলো দেখা মাত্র চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *