বিশ্বের এই ১টি মানুষের কোনও ফুসফুস ছিল না! ৭২ বছর ধরে লোহার ফুসফুসের।সাহায্যে নিঃশ্বাস নিয়েছেন তিনি

বিশ্বের এই ১টি মানুষের কোনও ফুসফুস ছিল না! ৭২ বছর ধরে লোহার ফুসফুসের।সাহায্যে নিঃশ্বাস নিয়েছেন তিনি

বিশ্বের এই ১টি মানুষের কোনও
ফুসফুস ছিল না!

৭২ বছর ধরে লোহার ফুসফুসের
সাহায্যে নিঃশ্বাস নিয়েছেন তিনি!

বেঁচে ছিলেন লোহার
খাঁচার ভিতর!

সেই মানুষটি আজ আর নেই!
মারা গিয়েছেন মর্মান্তিকভাবে!

কিভাবে বেঁচে ছিলেন তিনি?
দেখুন সেই হাহাকার দৃশ্য

আপনি শ্বাস প্রশ্বাস কিভাবে নেন? উত্তরে আপনি নিশ্চয় বলবেন, আমরা ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে থাকি। কিন্তু যদি বলি এই ফুসফুস ছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যায়! ফুসফুস ছাড়াও বেঁচে থাকা যায়! কি অবাক হচ্ছেন তো? আপনি অবাক হলেও এই ঘটনাকেই সত্য করে দেখিয়েছেন এক ব্যক্তি। যার কোন ফুসফুস ছিল না। পৃথিবীতে ইনিই একমাত্র মানুষ যিনি ফুসফুস ছাড়াই দিব্যি বেঁচে ছিলেন। এই মানুষটির নাম পল আলেকজান্ডার। যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা।

পলের যখন ছয় বছর বয়স,, তখন তিনি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটি রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যার নাম পোলিও। এই একটি অসুখের কবলে পড়ে,,,, পলের গোটা দেহ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সবার আগে নষ্ট হয়ে যায় পলের ফুসফুস। বিকল হয়ে অকেজো হয়ে যায় গোটা শরীর। ছোট্ট পলকে নিয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন পলের বাবা মা। পলের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে। পলের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে সে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। খাওয়া দাওয়া মলমূত্র ত্যাগ সবই বিছানার উপরেই করতো ছোট্ট পল। চিকিৎসকেরা পলকে নিয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারা পলের বাবা মাকে ছেলের মৃত্যু ঘণ্টা বেঁধে দিয়েছিলেন। আর তখনই পলের জন্য শেষ চেষ্টাটি করে দেখান আরেকজন চিকিৎসক। তিনি পলকে বাঁচানোর জন্য একটি লোহার ফুসফুস তৈরি করেন। সেখানেই তিনি পলকে রেখে দেন। যেহেতু পলের নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না, তাই তাকে বাঁচানোর জন্য সেই কৃত্রিম লোহার ফুসফুস বানানো হয়েছিল। চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে পলকে সেই লোহার ফুসফুসের ভিতরে ঢুকিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। তবে পলের এই বেঁচে থাকার যাত্রাপথে সবথেকে আশ্চর্য এবং বিস্ময়কর বিষয় হলো, চিকিৎসকেরা বলেছিলেন পল হয়ত বেশিদিন বাঁচবেন না। কিন্তু সকলকে টাক লাগিয়ে দিয়ে বল টানা ৭৮ বছর বেঁচেছিলেন। তবে এই জীবন সংগ্রামী মানুষটি আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। চলতি বছরের মার্চের 11 তারিখ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ফলের জীবন সংগ্রাম সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বল যে সংগ্রাম লড়েছেন তার সকলের শেখা উচিত। আজকের এই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী পরলকগামী পল আলেকজান্ডারকে আমরা শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালাম ….


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *