মহিলাদের শরীরে ছড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর এক ক্যান্সার! ইতিমধ্যেই এই ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন অনেক মহিলা, এই ১টি ক্যান্সার তছনছ করে দিচ্ছে মহিলাদের মা হওয়ার ক্ষমতা

মহিলাদের শরীরে ছড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর এক ক্যান্সার! ইতিমধ্যেই এই ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন অনেক মহিলা, এই ১টি ক্যান্সার তছনছ করে দিচ্ছে মহিলাদের মা হওয়ার ক্ষমতা

মহিলাদের শরীরে ছড়াচ্ছে
ভয়ঙ্কর এক ক্যান্সার!

ইতিমধ্যেই এই ক্যান্সারে
মারা গিয়েছেন অনেক মহিলা!

এই ১টি ক্যান্সার তছনছ করে দিচ্ছে
মহিলাদের মা হওয়ার ক্ষমতা!

ধবংস করে দিচ্ছে
মাতৃশক্তিকে!

কি নাম এই ক্যান্সারটির?
কিভাবে ছড়ায় এটি?

এই ক্যান্সারে
মোট কতদিন পর্যন্ত বাঁচা যায়?

মহিলারা এই মুহূর্তে সুরক্ষিত নেই! মহিলাদের শরীরের ক্রমশ থাবা বসাচ্ছে ক্যান্সারের একটি শক্তিশালী ভার্সন!! যার কবলে পরে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন মহিলারা! গবেষণায় দেখা গিয়েছে,,, মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সারের এই শক্তিশালী ভার্সনটির বাড় বাড়ন্ত ভয়ংকর ভাবে বেড়েছে! আর এই ক্যান্সারটির নাম হল ওভারিয়ান ক্যান্সার। যা মহিলাদের পেটে তলদেশের দিকে হয়। আরেকটু সহজ ভাবে যদি বলা যায় তাহলে বলতে হয়, যেখানে মহিলারা তাদের অনাগত ছোট্ট সোনাকে ধারণ করেন, সেই স্থানের ক্যান্সারকে ওভারিয়ান ক্যান্সার বলা হয়। ঠিক ক্যান্সার মহিলাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই ক্যান্সারটি এতটাই ভয়ঙ্কর যে ,,,, এটি নারী জাতিকে প্রাণসংকটের সম্মুখীন করার সাথে সাথে ,,,,,,, নারীদের মাতৃ শক্তিকেও সম্পূর্ণরূপে বিনাশ করে দেয়!!! নারীর সন্তান ভাগ্য ধ্বংস করে দেয়। বিশেষ করে যারা অবিবাহিত মহিলা তাদের যদি এই ক্যান্সার হয় তাহলে তো কথাই নেই! অবিবাহিত মহিলাদের মা হওয়ায় আগে, এই ক্যান্সারটি হলে, মা হওয়ায় মতন পরম সৌভাগ্যটি চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আরো বেশি দুঃখের বিষয় এই ক্যান্সারটি সময় থাকতে ধরা না পড়লে রোগীকে প্রাণে বাঁচানো মুশকিল। এখন প্রশ্ন হল এই ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণগুলো ঠিক কি কি ?

প্রথম লক্ষণটি হল অস্বাভাবিক ভাবে খিদে কমে যাওয়া। খাওয়া দাওয়াই অরুচি, জিভের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া। এগুলো এই ক্যান্সারের প্রাথমিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ লক্ষণ।

দ্বিতীয় লক্ষণ টি হল মেয়েদের শরীর খারাপের ডেট আগুপিছু হয়ে যাওয়া। আপনারা জানেন প্রতিটি নারীরই মাসে তিন থেকে চার দিন ধরে শরীর খারাপ হয়। এটি একটি সাধারণ এবং স্বাভাবিক সাইকেল অনুসরণ করে হয়ে থাকে। কিন্তু যখনই কোন নারীর দেহে ওভারিয়ান ক্যান্সার বাসা বাঁধে তখনই তাদের এই শরীর খারাপের ডেট আগুপিছু হয়ে যায়। এই লক্ষণটি দেখামাত্র সাবধান হোন।

তৃতীয় লক্ষণটি হল ডায়রিয়া। ঘনঘন পেট পরিষ্কার হওয়া, পেটের মল পাতলা হয়ে যাওয়া এগুলো এই ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে পড়ে।

চতুর্থ লক্ষণ টি হল, প্রেগনেন্ট মহিলার মতন পেটের সামনের দিক দিয়ে উঁচু হয়ে যাওয়া। এই লক্ষণটিকে মেজর লক্ষণ বলে বিবেচনা করা হয়। ওভারিয়ান ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অনেক সময় নারীদের পেটের সামনের দিকটি বীভৎস রকমের ফুলে ওঠে। এক ঝলক দেখলেই মনে হবে পেটে যেন সন্তান ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তেমনটা নয়। বাইরে থেকে দেখে যেটা সন্তান মনে হয় সেটা আসলে পেটের মধ্যে বাড়তে থাকা ভয়ানক সিস্ট। ওভারিয়ান ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই সিস্ট হয়ে থাকে।

কেন এই ক্যান্সারের ঝুঁকি এত বাড়ছে?

এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ আমরা নিজেরাই। অনিয়মিত জীবনযাপন, বিশৃঙ্খল খাদ্যাভ্যাস এই সবের জন্যই এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

কিভাবে এই ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাবেন ?

দেখুন আজকাল যে কোনও ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য, অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। ঠিক তেমনি মহিলাদের এই ক্যান্সারের জন্য যথেষ্ট সু চিকিৎসা রয়েছে। যদি প্রাথমিক অবস্থায় এই ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়, তাহলে রোগ শনাক্তের মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই রোগীকে একেবারে ৯০ শতাংশ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

এই ক্যান্সারে চিকিৎসায়, রক্ত পরীক্ষা আল্ট্রা সাউন্ড স্ক্যানিং, লাভারসকপি, সিরাম টিউমার মার্কার টেস্ট ও ইমিনউনোলজিক্যাল টেস্ট এর মতন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে।

তবে এই প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে প্রতিটি নারীর কাছে একটাই বার্তা এই রোগের লক্ষণ গুলো দেখলে অবশ্যই সতর্ক হোন এবং নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মনে রাখবেন যদি বেঁচে থাকতে চান তাহলে নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকুন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *