জানেন কিভাবে শিব মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হল? আবার কিভাবে সেই জ্ঞানবাপী মসজিদ ভেঙ্গে, শিব মন্দির তৈরি হল? ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনই জানেন না!

জানেন কিভাবে শিব মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হল? আবার কিভাবে সেই জ্ঞানবাপী মসজিদ
ভেঙ্গে, শিব মন্দির তৈরি হল? ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনই জানেন না!

জানেন কিভাবে শিব মন্দির ভেঙে
জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হল?

আবার কিভাবে সেই জ্ঞানবাপী মসজিদ
ভেঙ্গে, শিব মন্দির তৈরি হল?

মন্দির নাকি মসজিদ?
আসলে কোনটা আগে ছিল?

১০০ জনের মধ্যে
৯০ জনই জানেন না!

সত্যিটা জানলে
শিউরে উঠবেন

বাবরি মসজিদের পর ভারতের আরও একটি আলোচিত মসজিদ হল জ্ঞানবাপী মসজিদ। বাবরি মসজিদ অবশ্য এখন আর নেই সেই জায়গায় তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। তবে কাশির বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন জ্ঞানবাপী মসজিদ এখনো অটুট রয়েছে। অটুট থাকলেই বা কি হবে এই মসজিদকে ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। কিছুদিন আগেই বারাণসী আদালতের পক্ষ থেকে, জ্ঞানবাপী মসজিদর বেসমেন্টে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিয়েছে। সেই নিয়ে হিন্দু এবং মুসলমান ভাইদের মধ্যে এখনো মন কষাকষি চলছে। এমনকি জ্ঞানবাপীতে হিন্দুরা কেন পুজো করবে? হিন্দুরা পুজো করতে পারবে না!! এমন আর্জি নিয়েও নিম্ন আদালতের রায়কে কড়া ভাবে চ্যালেঞ্জও জানিয়েছেন মুসলিম ভাইয়েরা। কিন্তু আপনারা কি জানেন কেন এত বিতর্ক জ্ঞানবাপী মসজিদকে ঘিরে?

এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আজকের ভিডিওটিতে। এই সম্পূর্ণ ভিডিওটি ধাপে ধাপে দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন ঠিক কি ঘটেছিল

জ্ঞানবাপী মসজিদকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত ঘটে ১৯৩৬ সাল থেকে। সহজ ভাবে বলা যেতে পারে, ইংরেজ আমল থেকেই, এই মসজিদকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় দাঙ্গা হাঙ্গামা বেঁধে আসছে! এরপর ১৯৯১ সালে জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে আদালতে মামলা ওঠে। যে মামলা শেষ হওয়ার নয়!!! জ্ঞানবাপী মসজিদকে নিয়ে মামলা মোকদ্দমা হওয়ার মূল কারণ, হিন্দুদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ আসলে হিন্দুদের মন্দির। এই মসজিদ কোনভাবেই মুসলমানদের হতে পারে না, এমনটাই দাবি করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা। তাদের মতে, হিন্দুদের মন্দির ধবংস করে মুসলিমরা জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণ করেছেন। যা তাদের মতে হিন্দুদের প্রতি অবিচার!!! এই নিয়েই দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বাক – বিতণ্ডা, হাতা – হাতি, ঝামেলা, মামলা মোকদ্দমা!

জ্ঞানবাপী যে হিন্দুদের মন্দির, সেই নিয়ে বিস্তর প্রমাণও দেন বিভিন্ন স্বনামধন্য ঐতিহাসিকরা। তারা ব্যাখ্যা দেন জ্ঞানবাপী মসজিদের জায়গায় হিন্দুদের শিব লিঙ্গ ছিল। তারা যুক্তি দিয়ে বলেন, কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরের ১২টি শিবলিঙ্গের মধ্যে,,, একটি শিবলিঙ্গ ছিল জ্ঞানবাপী মসজিদের জায়গায়। যে শিবলিঙ্গটি বহু শতাব্দী প্রাচীন! যার বয়স অনেক অনেক পুরনো! ঐতিহাসিকদের অনেকেই জোর দিয়ে বলেন এই শিবলিঙ্গটিকেই মহম্মদ ঘোরি প্রথম ভেঙে ফেলেন। তিনি শিবলিঙ্গটিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে, হিন্দুদের অস্তিত্ব মুছে সেখানে মসজিদ গড়ে দেন।

এরপর ১১৯৪ সালে আবারো সেখানে মন্দির গড়ে তোলেন হিন্দুরা!!! কিন্তু সেই মন্দিরও রক্ষা পায়নি!! ১৪৪৭ সালে আবারো মুসলিম সুলতানের হাতে সেই মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে ওঠে! অবশ্য তাতেও দমে যাননি হিন্দুরা।
মুসলিমদের চোখে চোখ রেখে তথ্য প্রমান নিয়ে আবারো সনাতনী ভাইয়েরা সেখানে মন্দির গড়ে তোলেন। সেই বছরটি ১৫৮৫ সাল। এই বছরেই আকবরের সেনাপতি রাজা মানসিং এবং অর্থমন্ত্রী রাজা টোডর মলের সাহায্যে হিন্দুরা পুনরায় মন্দির গড়ে তোলেন!

কিন্তু দুঃখের বিষয় এই মন্দিরটিও মুসলমান শাসকের নজরে পড়ে যায়। এবার মন্দিরটিকে ধ্বংস করেন শাসক ওরঙ্গজেব। তিনি এবার হিন্দুদের মন্দিরটিকে তছনছ করে দিয়ে সেখানেই গড়ে তোলেন জ্ঞানবাপি মসজিদ। শাসক ঔরঙ্গজেব মন্দিরটিকে এমন ভাবে ধ্বংস করেন যাতে পুনরায় আর সেখানে মন্দির গড়ে তোলার কাঠামো না থাকে। জ্ঞানব্যাপী মসজিদের আরও একটি নাম রয়েছে সেটি হল আলমগীর মসজিদ।

বর্তমানে জ্ঞানবাপী মসজিদ সত্য নাকি হিন্দুদের মন্দির সত্য – সেই নিয়ে বিস্তর মতভেদ রয়েছে! অনেক ইতিহাসবিদরা বলেন ঔরঙ্গজেব একজন কঠোর শাসক ছিলেন । তার পক্ষে মন্দির ভাঙ্গার মতন স্বৈরাচারী কাজ করা ছিল জলভাত। ইতিহাসবিদরা যুক্তি দিয়ে বলেন যেসময় হিন্দুদের মন্দির ভেঙ্গে জ্ঞান বাপি মসজিদ তৈরি করা হয় সেই সময় ঔরঙ্গজেবের শাসনকাল ছিল। আর তাই ইতিহাসবিদদের একাংশ জোরালোভাবে ঔরঙ্গজেবের মাধ্যমে মন্দির ভাঙ্গার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এছাড়াও কৈলাসনাথ কাটজু নামক এক লেখকও জ্ঞান বাপি মসজিদে শিব লিঙ্গ পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

তবে এই জ্ঞানবাপী মসজিদে অধিকার কার হিন্দু নাকি মুসলমানের? সেই বিষয়টি এখনো বিতর্ক সাপেক্ষ! তবে আমাদের অনুরোধ থাকবে ধর্মকেন্দ্রিক যে কোন বিষয় নিয়েই উস্কানিমূলক ভ্রান্ত ধারণা না দেওয়া! জ্ঞানবাপী মসজিদের অধিকার যে ধর্মেরই থাকুক না কেন …… সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে তা যেন সকলের সামনে চলে আসে এটাই আমাদের একমাত্র কামনা


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *