জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলী, আমাদের ৫টি শিক্ষা দিয়ে গেলেন! যা বাঙ্গালীর শিরদাঁড়া সোজা করে দেবে, অপরাধীদের প্রাণে ভয় ধরিয়ে দেবে

জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলী, আমাদের ৫টি শিক্ষা দিয়ে গেলেন! যা বাঙ্গালীর শিরদাঁড়া সোজা করে দেবে, অপরাধীদের প্রাণে ভয় ধরিয়ে দেবে

জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলী,
আমাদের ৫টি শিক্ষা দিয়ে গেলেন!

যা বাঙ্গালীর শিরদাঁড়া
সোজা করে দেবে!

অপরাধীদের প্রাণে
ভয় ধরিয়ে দেবে!

অভিজিৎ গাঙ্গুলীর, এই ৫টি শিক্ষা
আপনারও জানা উচিত!

এগুলো যে কারো
জীবন পাল্টে দিতে বাধ্য!

এক নজরে দেখুন
কোন ৫টি শিক্ষা জাস্টিস গাঙ্গুলী
আমাদের দিয়ে গেলেন

প্রথমেই তিনি যে শিক্ষাটি দিয়েছেন, সেটি হল মিথ্যের কাছে হার না মানা। জাস্টিস গাঙ্গুলী একেবারে শুরু থেকেই, এই শিক্ষাটি বাংলার মানুষকে দিয়ে যাচ্ছেন! এই মানুষটির হাত ধরেই বাংলায় দীর্ঘদিন ঘটে চলা, চাকরি ও শিক্ষা দুর্নীতির মুখোশ খুলে গিয়েছিল। এই মানুষটির দৌলতেই হাজার হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থী যারা দুর্নীতির কারণে চাকরি পায়নি, তারা যেন আবার বাঁচার রসদ খুঁজে পেল। চাকরি দুর্নীতির মামলা করতে গিয়ে জাস্টিস গাঙ্গুলীকে বারে বারে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। হাজারো প্রতিকূলতা, মিথ্যের প্রশ্রয়, লোভ, প্রলোভনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু একটি বারের জন্যও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজের আইডল থেকে সরে দাঁড়াননি। তিনি বুক ফুলিয়ে মিথ্যেকে ধবংস করে, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

জাস্টিস গাঙ্গুলী, আমাদের যে দ্বিতীয় শিক্ষাটি দিয়েছেন সেটি হল – মানব সেবাই প্রকৃত ধর্ম। আপনারা ইতিমধ্যেই সকলেই জানেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কাল কোট আর সাদা শার্টে তাকে আর দেখা যাবে না। এই মানুষটিকে আর দেখা যাবে না অর্ডার অর্ডার বলে রায় দিতে। অভিজিৎ গাঙ্গুলী একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ। বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর,,,, তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই কথাটি স্বীকার করেছেন। তাকে বলতে শোনা গিয়েছে তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। ধর্মপ্রাণে মানুষটি, মানবসেবা কে মূল ব্রত বলে মনে করেন। জাস্টিস গাঙ্গুলীর কাছ থেকে এই শিক্ষাটি আমাদের সকলেরই শেখার আছে। চাকরি দুর্নীতির মামলার রায় দিতে গিয়েও এই মানুষটি বারে বারে উল্লেখ করেছেন,,, চাকরি দুর্নীতিতে যে মানুষগুলোর সঙ্গে অবিচার হয়েছে তিনি তাদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দেবেন। এখান থেকেই ,,,,,, মানব ধর্মের প্রতি, মানব সেবার প্রতি, তার যে টান রয়েছে সেটি বারে বারে পরিস্ফুটিত হয়।

জাস্টিস গাঙ্গুলী আমাদের যে তৃতীয় শিক্ষাটি দিয়ে গেছেন সেটি হল সত্যের জন্য লড়াই। আপনারা জানেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নানা ভাবে হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে! চাকরি দুর্নীতির বিচার করতে গিয়ে, এই মানুষটিকে বারে বারে শাসকদলের চক্ষুশূল হয়ে উঠতে হয়েছে। কখনো অভিজিৎ গাঙ্গুলির অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জি, কখনো জাস্টিস গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি নাকি কেবলমাত্র অভিষেক ব্যানার্জিকেই টার্গেট করেন, এখানেই শেষ নয় জাস্টিস গাঙ্গুলী নাকি অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন এমন অভিযোগও কিন্তু এই মানুষটির বিরুদ্ধে উঠেছে। অর্থাৎ একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাচ্ছে শাসকদলের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে অভিজিৎ বাবুকে নানাভাবে অপমানিত হতে হয়েছে। কিন্তু এই মানুষটি শাসকের রক্ত চক্ষুকে একটিবারের জন্যও ভয় পাননি, বরং বুক ফুলিয়ে গর্বের সঙ্গে সত্যকে বারে বারে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ভারতে এমন বিচারপতি একেবারেই ব্যতিক্রম।

জাস্টিস গাঙ্গুলী আমাদের যে চার নম্বর শিক্ষাটি দিয়েছেন সেটি হল, চ্যালেঞ্জকে ভয় না পাওয়া। বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার পর জাস্টিস গাঙ্গুলি নিজের মুখেই এই কথাটি বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন বিচারপতি থাকাকালীন শাসকদলের অঘোষিত এক যুবরাজ তাকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন রাজনীতির ময়দানে আসার। ইস্তফা দেওয়ার পরেই তিনি এই প্রসঙ্গ টেনে জানান – চ্যালেঞ্জকে তিনি ভয় পাননি এবার, এবার রাজনীতির ময়দানে নেমে সমস্ত চ্যালেঞ্জের জবাব দেবেন। শাসক দলকে শায়েস্তা করতে কোনও বিচারপতিকে রাজনীতির ময়দানে নামতে খুব কম দেখা গিয়েছে। সেই তালিকায় বিচারপতি গাঙ্গুলী একজন।

জাস্টিস গাঙ্গুলির থেকে সর্বশেষ শিক্ষণীয় বিষয়টি হল, আদালতই হল জনগণের আসল মন্দির! বিচারপতি অভিযোগ গাঙ্গুলি বারে বারে ভারতীয় বিচারব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন। তিনি সর্বসাধারণের কাছে ভারতীয় বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা রাখার অনুরোধ করেছেন। ইস্তফা দেওয়ার পর জাস্টিস গাঙ্গুলির মুখে শোনা যায় -সুপ্রিম কোর্ট যুগ যুগ জিও! আর একটু সহজ ভাবে ভেবে দেখলে দেখবেন আদালতেই আমাদের আসল মন্দির। যখন আমরা পুলিশের কাছে বিচার পাই না তখন আমাদের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে আদালত।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *