বিয়েতে আমন্ত্রিত ৫০ হাজার মানুষ! কনের পরনে ১৭ কোটির শাড়ি! এটাই ভারতের সবচেয়ে, ব্যয়বহুল বিয়ে, যার কাছে মুকেশ আম্বনিও বাচ্চা
বিয়েতে আমন্ত্রিত
৫০ হাজার মানুষ!
কনের পরনে
১৭ কোটির শাড়ি!
গা ভর্তি
৯০ কোটির গয়না!
৫০ জনেরও বেশি মেক আপ আর্টিস্ট
সাজিয়েছেন কনেকে!
অতিথি আপ্যায়নে ব্যবহৃত হয়েছে,
৪০টি গরুর গাড়ি!
এটাই ভারতের সবচেয়ে,
ব্যয়বহুল বিয়ে!
যে বিয়ে হার মানাচ্ছে,
আম্বানির ছেলের বিয়েকেও!
ধনকুবের আম্বানিও এত
খরচ করতে পারেননি!
জানেন?
ভারতের এই সবচেয়ে ব্যয়বহুল
বিয়ের বর কনে কারা ছিলেন?
এই বিয়েটি সম্পূর্ণ হয়েছে আজ থেকে ৬ বছর আগে, কিন্তু আজও এই বিয়ে নিয়ে আলোচনা হয়। এই বিয়ের গল্প, আজও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই রকম ব্যয়বহুল বিয়ে,, আজ পর্যন্ত,,, দেশের কোনও মন্ত্রী বা অভিনেতা অভিনেত্রীরা করতে পারেননি। এই বিয়েকে কেন্দ্র করেই সেই সময় সাংসদেও ব্যাপক ঝড় উঠেছিল। এই একটি বিয়ে,,, গোটা দেশ জুড়ে এক্কেবারে হইচই ফেলে দিয়েছিল। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের ৬ তারিখ এই বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছিল। এই বিয়ের পাত্রী তথা কনের পড়েছিল,,, ১৭ কোটি টাকা দামের একটি কাঞ্জিভরম শাড়ি। শাড়িটির পার থেকে শুরু করে আঁচল সমস্ত জায়গায় দামি দামি রত্ন বসানো ছিল। গোটা শাড়িতে ছিল সোনার সুতোর কাজ। এক কথায় বলা যায় একেবারে সোনা দিয়ে মোড়ানো ছিল শাড়িটি। এমন শাড়ি ভারতের আর কোনও বউ পরেছিল কিনা সন্দেহ আছে। হেভি ওয়েট এই কনেকে সাজাতে, মুম্বাই থেকে ৫০ জনেরও বেশি, খ্যাতনামা মেকআপ আর্টিস্ট এসেছিলেন। আর বউকে সাজাতে মেকআপ আর্টিস্টদের পারিশ্রমিক ছিল মোটে ৩০ লক্ষ টাকা। কনের গায়ে ছিল বিশ্বের সবথেকে দামি দামি রত্নখচিত গয়না। মাথার টায়রা, টিকলি থেকে শুরু করে কোমর বন্ধনী পুরোটাই ছিল দামি দামি হীরে জহরতে মোরা। এমনকি চুলের যে ফুল ব্যবহার করা গিয়েছিল, সেগুলোও ছিল সম্পূর্ন সোনার। কনের গায়ে একটিও ফাঁকা জায়গা ছিল না, যেখানে সোনা বা হীরে ছিল না। এক কথায় বলা যেতে পারে কনেকে একেবারে সোনার পুতুল সাজানো হয়েছিল।
টানা পাঁচ দিনব্যাপী এই বিবাহ অনুষ্ঠান চলেছিল। বিয়েতে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি অতিথি আমন্ত্রিত ছিল। এই বিয়ের আমন্ত্রণ কার্ডটি এতটাই সুন্দর ছিল যে, যা বলে বোঝানো মুশকিল! বিয়ের কার্ডটিতে একটি সুন্দর
এল – ই – ডি স্ক্রিন লাগানো ছিল। কার্ডটি খোলা মাত্রই সেই এল-ই-ডি স্ক্রিনটিতে ফুটে উঠতো মিউজিক ভিডিও। সেই ভিডিওতে দেখা যেত, করজোড়ে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। অতিথিদের বিয়ের গেট থেকে শুরু করে বিবাহ বাসর পর্যন্ত নিয়ে আসার জন্য ৪০টি বিলাসবহুল চোখ ধাঁধানো গরুর গাড়ি রাখা হয়েছিল। অতিথিদের আসা-যাওয়ার জন্য ২ হাজারেরও বেশি ক্যাব বুক করা হয়েছিল এবং ১৫টি হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এই বিয়ের বিবাহ আসর তৈরি করেছিলেন বলিউডের বিখ্যাত সেট ডিজাইনার। বিজয়নগর মন্দিরের আদলে এই বিয়ের মন্ডপ নির্মাণ করা হয়েছিল। তাছাড়া খাবার-দাবারের জায়গাটি তৈরি করা হয়েছিল বেল্লারি গ্রামের আদলে। এই বিয়ের জন্য ৫টি ফাইভ স্টার হোটেল এবং ৩টি থ্রি স্টার হোটেল সম্পূর্ণ বুক করা হয়েছিল। যেহেতু এই বিয়েটি কোন সাধারণ বিয়ে ছিল না, এই বিয়েতে ছিল মোটা অংকের টাকার খেলা, তাই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তিন হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মীকে ২৪ ঘন্টা পাহারায় রাখা হয়েছিল।
আর এতক্ষন যার বিয়ের কথা আপনারা শুনছিলেন তিনি আর কেউ নন কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী জনার্দন রেড্ডি একমাত্র আদুরে কন্যা ব্রাক্ষ্মনী। জনার্দন রেড্ডিই হলেন সেই বাবা, যিনি মেয়ের বিয়েতে কোটি কোটি টাকা উড়িয়েছেন। বলা যেতে পারে একেবারে জলের মতন টাকা ঢেলেছিলেন। তিনি সেই সময় ভারতীয় জনতা পার্টির মন্ত্রী ছিলেন। তার কন্যার এই অসামান্য জমকালো বিয়ে নিয়ে তাকে সেই সময় যতেষ্ট সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। যেহেতু মেয়ের বিয়ের আগে তিনি অবৈধ খনন কার্যের জন্য ৩ বছর জেলে ছিলেন, তাই তার মেয়ের বিয়ের খরচ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। অনেকে আবার এমনও মন্তব্য করেন তিনি নাকি কালো টাকা সাফ করতেই মেয়ের বিয়েকে হাতিয়ার করেন। তবে সত্য মিথ্যা যাই হোক না কেন, জনার্দন রেড্ডির মেয়ের বিয়ের মতন আরেকটি বিয়ে, ভারতের ইতিহাসে ঘটেনি!!!
Leave a Reply