সন্তানের ভালো চাইলে, নীল ষষ্ঠী পুজোয় এই ৪টি কাজ করা বন্ধ করুন! না হলেই সাংঘাতিক অঘটন ঘটবে, বাবা মায়ের এই ৪ ভুলের জন্য, সন্তানদের উপর অভিশাপ পড়ে

সন্তানের ভালো চাইলে, নীল ষষ্ঠী পুজোয় এই ৪টি কাজ করা বন্ধ করুন! না হলেই সাংঘাতিক অঘটন ঘটবে, বাবা মায়ের এই ৪ ভুলের জন্য, সন্তানদের উপর অভিশাপ পড়ে

সন্তানের ভালো চাইলে,
নীল ষষ্ঠী পুজোয় এই ৪টি কাজ
করা বন্ধ করুন!

না হলেই সাংঘাতিক
অঘটন ঘটবে!

বাবা মায়ের এই ৪ ভুলের জন্য,
সন্তানদের উপর অভিশাপ পড়ে!

চরম মাশুল গুনতে হয়
নিষ্পাপ সন্তানদের!

সংসারে নেমে আসে
অমঙ্গলের দশা!

বাবা মায়েরা ঝটপট দেখে নিন
এই ৫টি কাজ কি কি

শিবরাত্রি যেতে না যেতেই আবার নীল ষষ্ঠীর পার্বণ। বাঙালিদের কাছে এটি বছরের সর্বশেষ ব্রত। তবে এইশেষ ব্রতই প্রতিটি হিন্দু মায়ের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । কারণ এদিন মা ষষ্ঠীর পাশাপাশি শিবকেও তুষ্ট করার জন্য অত্যন্ত জাগ্রত এবং শক্তিশালী একটি দিন । পঞ্জিকা অনুসারে , চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনই পালিত হয় মহা নীল ষষ্ঠী। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, এদিন সকল মায়েরা সন্তানের মঙ্গল কামনার জন্য নির্জলা উপোস রাখেন । মনে করা হয়, এদিন পুরাকালের ধর্মপ্রাণ বামুন ও বামুনী নীল ষষ্ঠীর ব্রত পালন করে সন্তান লাভ করেন। এই ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, গোটা বাংলায় সন্তানবতী মায়েরা নিয়ম রীতি মেনে মহাদেবের উপাসনা করে থাকেন । তবে জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, সকল মায়েদের চারটি কাজ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । ভুল করেও যদি এই চারটি কাজ করেন,,,,,,,, তাহলে আপনার সন্তানের কপালে জুটবে মহাদেবের অভিশাপ। শুধু মহাদেব নন রুষ্ট হবেন স্ব্যয়ং মা ষষ্ঠী। মহাদেবের অভিশাপে আপনার কোল শূন্য হয়ে যেতে পারে। এমনকি আপনাকে নিঃসন্তান হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।

কী এই বিশেষ চারটি কাজ দেখে নিন:

প্রথম কাজটি হলো, নির্জলা উপোস:

এদিন মায়েরা খাবার তো দূর পুজোর আগে অবধি জলও স্পর্শ করবেন না। মহাদেবের আরাধনায় কোনো রকমের ত্রুটি দেখা দিলে মহাদেব সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুব্ধ হবেন। তাই ভুল করেও যদি জল স্পর্শ করেন সঙ্গে সঙ্গে আপনার উপোস ভঙ্গ হবে। মাঝপথে উপোস ভেঙ্গে গেলে আপনার সন্তানের ঘোরতর অমঙ্গল ঘটবে। এরফলে আপনি হয়তো সন্তান সুখ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

দ্বিতীয় কাজটি হলো, কালো পোশাক:

মহা নীল ষষ্ঠীর দিন হিন্দু মায়েরা ভুলেও কালো পোশাক পরিধান করবেন না । কারণ কালো হচ্ছে অশুভ শক্তির বাহক। এই পবিত্র দিনে আপনি কালো পোশাক পড়ে মা ষষ্ঠীর আরাধনা করলে দেবী রুষ্ট হন। এতে করে আপনার সন্তানের জীবনে নেতিবাচক শক্তির উদ্ভাবন হয় । ফলে আপনার সন্তানকে নানা রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এই বিশেষ দিনে কালো পোশাক পড়া থেকে বিরত থাকুন।

তৃতীয় কাজটি হলো, দুপুরে পূজো দেওয়া:

পুরান শাস্ত্র অনুসারে , নীল ষষ্ঠীর দিন শিবের উপাসনা করা হয় সন্ধ্যেবেলা। মনে করা হয়, এই সময় বাবার মাথায় জল ঢাললে শিবের কৃপা লাভ করা যায়। তবে সন্ধ্যার আগে অর্থাৎ দুপুরে যদি পূজো করা হয় তাহলে সেই পূজোর কোনো অর্থই থাকে না। শাস্ত্রীয় বিধি অনুসারে সকল দেব – দেবীকে পূজো করার ব্রহ্ম মুহূর্ত থাকে। তবে মায়েরা যদি ধর্ম বিরোধী হয়ে পূজো করেন ,,,,,,তাতে আপনার সন্তানেরই ক্ষতি। তাই সন্তানের বিপদ ডেকে আনতে না চাইলে ভুলেও মায়েরা এই কাজটি করবেন না।

চতুর্থ কাজটি হলো, বাচ্চাদের বকাবকি করবেন না:

জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, এদিন সন্তানবতী মায়েরা ভুলেও নিজের সন্তানকে আঘাত করবেন না। কারণ সন্তানরা সর্বদা তার মায়েদের কাছেই সুরক্ষিত । কিন্তু এমন বিশেষ দিনে যদি আপনি সন্তানকেই আঘাত করেন ,,,,,, এতে আপনার কপালে মা ষষ্ঠীর অভিশাপ জুটবে এবং আপনি মা ডাক শোনা থেকে বঞ্চিতও হতে পারেন। তাই সন্তানদের আঘাত করার কথা ভুলেও ভাববেন না।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *