সন্দেশখালির সঙ্গে মহানায়ক উত্তম কুমারের নাম, জড়িয়ে আছে! শাহজাহান নয়, মহানায়কের হাত ধরেই সন্দেশখালি প্রথম আলোচনায় আসে
সন্দেশখালির সঙ্গে মহানায়ক
উত্তম কুমারের নাম, জড়িয়ে আছে!
শাহজাহান নয়, মহানায়কের হাত ধরেই
সন্দেশখালি প্রথম আলোচনায় আসে!
কিভাবে জানেন?
শুনলে অবাক না হয়ে
পারবেন না
সন্দেশখালি ——- এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় করে রেখেছে এই একটি নাম! মহিলাদের সাথে নোংরামো, জমি লুট, সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার …. এই রকম আরো অনেক অভিযোগে বিদ্ধ সন্দেশাখালি! তবে এই সন্দেশখালিকে সবার প্রথমে সামনে এনেছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা কিংবা উত্তম সর্দার নয়, সন্দেশখালির বর্ণনা প্রথমবার জনসম্মুখে আসে মহানায়কের হাত ধরে। কি অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এ আবার কিভাবে সম্ভব?
হ্যাঁ এমনটাই সম্ভব হয়েছিল মহানায়ক উত্তম কুমার অভিনীত, শক্তি সামন্ত পরিচালিত, অমানুষ সিনেমার মাধ্যমে। উত্তম কুমারের এই সিনেমাটিতে একটি গ্রাম দেখানো হয়েছিল। যেটি ছিল সন্দেশখালি। ১৯৭৪ সালে অমানুষ ছবিটির শুটিং হয়েছিল। সেই সময় গ্রাম্য দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্য সন্দেশখালিকে বেছে নেওয়া হয়। সেখানকার পথ-ঘাট, নদী, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সমস্ত কিছুই ধরা পড়ে অমানুষ সিনেমাটির পরতে পরতে। এখানেই শেষ নয়, উত্তম কুমারের আরো একটি সিনেমা — আনন্দ আশ্রম — তারও শুটিং সন্দেশখালিতেই হয়েছিল।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, অমানুষ সিনেমার টিম ২১ দিনের জন্য লঞ্চ ভাড়া করে সন্দেশখালিতে শুটিং করেন। সেই সময় একটি ঘটনা ঘটে। যা আজও ভোলার নয়। শ্যুটিং চলাকালীন একদিন সন্ধ্যা হয়ে আসে। সেই সময় সিনেমার অন্যান্য কলা কুশলী সহ উত্তম কুমার লঞ্চে আটকে পড়েন। সন্ধ্যার ঘুটঘুটে অন্ধকারে লঞ্চ চালক দিক খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অবশেষে একটি আলো দেখতে পেয়ে উত্তম কুমারদের শুটিং এর লঞ্চ সেদিকে এগিয়ে যায়। গিয়ে দেখতে পান একটি ছোট্ট ঝুপড়ি দোকান। সেখানে গিয়ে পরিচালক শক্তি সামন্ত ক্ষুদা মেটানোর জন্য কিছু শুকনো খাবার খোঁজেন। দোকানদারও বেশ আতিথেয়তার সঙ্গে এক ধামা মুড়ি লাঞ্চের ভিতর দিয়ে যান। আর এই মুড়ি দিতে এসেই তিনি দেখতে পান মহানায়ক উত্তম কুমারকে। এরপর আর কি, ওই দোকানদার তখন সকলকে অনুরোধ করেন একটু দাঁড়াতে। এই বলে তিনি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর দেখা যায়,,, নদীর পারের দিকে শত শত মানুষ হাতে হারিকেন নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে আসছে। আর সকলের মুখেই তখন শোনা যাচ্ছে – উত্তম কুমার , উত্তম কুমার ধ্বনি! সকলেই তখন চিৎকার করে মহানায়ক উত্তম কুমারকে একটিবার সামনে আসার আহ্বান জানান। শেষমেশ পরিচালক শক্তি সামন্তের অনুরোধে মহানায়ক সকলের সামনে এসে দেখা দেন।
Leave a Reply