মাত্র ১০০ টাকায় মিলবে ক্যান্সারের ট্যাবলেট! একবার খেলেই আর ক্যান্সার হবে না! গ্যারান্টি দিয়েছেন
খোদ রতন টাটা
মাত্র ১০০ টাকায় মিলবে
ক্যান্সারের ট্যাবলেট!
একবার খেলেই
আর ক্যান্সার হবে না!
শরীরে ক্যান্সারের বিষ থাকলে,
সাথে সাথে মারা যাবে!
ধারে কাছে ঘেঁষবে না
মারণ রোগের জীবাণু!
গ্যারান্টি দিয়েছেন
খোদ রতন টাটা!
ক্যান্সার পেশেন্টদের বাঁচাতেই
এই নয়া উদ্যোগ!
১০০ রুপিতেই
প্রাণে বাঁচবে অগণিত মানুষ!
কিভাবে কাজ করবে
এই ট্যাবলেট?
কোথায় পাওয়া যাবে?
ক্যান্সার নাম শুনলেই গলা শুকিয়ে যায়!! এই রোগ যার হয়, কেবল সেই জানে এই রোগের জ্বালা যন্ত্রণা ঠিক কতটা ভয়ংকর! সাংঘাতিক এই রোগ কেবলমাত্র রোগীর জীবনই কেড়ে নেয় না, সেই সঙ্গে রোগীর অর্থনৈতিক কাঠামোকেও ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। রোগীর পরিবার ও নিকট আত্মীয়দেরও একেবারে তছনছ করে দেয়। ক্যান্সারের মতন ভয়ংকর এই অসুখটিকে সমূলে বিনাশ করার জন্য এবং এই রোগের চিকিৎসা খরচ কমানোর জন্য গোটা বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে। তবে এবার এই গবেষণার মাত্রাকে নতুন রূপ দিয়েছেন ভারতের শিল্পপতি রতন টাটা। রতন টাটা ক্যান্সার আক্রান্তদের ফাটাফাটি সুখবর শুনিয়েছেন।
রতন টাটার, টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে, ক্যান্সার তাড়ানোর জন্য একটি ট্যাবলেট আবিষ্কার করা হয়েছে। এই ট্যাবলেটটির দাম ভারতীয় মুদ্রায় মাত্র ১০০ রুপি অর্থাৎ ১০০ টাকা। ভাবতে পারছেন যেখানে একজন ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা খরচ শুরু হয়,,,, লাখ থেকে কোটি টাকা দিয়ে,,, সেখানে টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে আবিষ্কৃত ক্যান্সার ট্যাবলেট এর দাম রাখা হয়েছে মাত্র ১০০ টাকা। নিঃসন্দেহে টাটা মেডিকেলের এই ট্যাবলেট আবিষ্কার,,, এক কথায় যুগান্তরকারী আবিষ্কার হিসেবে গণ্য হচ্ছে। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে,, অবিশ্বাস্য এই ট্যাবলেটটি আবিষ্কারের জন্য টাটা ইনস্টিটিউট এর তরফে ১০ বছর সাধনা এবং কঠোর গবেষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০০ টাকা দামের এই ক্যান্সার ট্যাবলেটকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিস্তর কৌতুহল শুরু হয়েছে। সত্যিই কি এই ১০০ টাকা দামের ট্যাবলেটে ক্যান্সার সেরে যাবে? কি এমন আছে এই ট্যাবলেটে?
টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক ডক্টর রাজেন্দ্র বাদভে জানিয়েছেন, এই ট্যাবলেটটির নাম আর সি ইউ। এটি রেসভেরাট্রোল ও কপার দিয়ে তৈরি। এই ট্যাবলেটের সাহায্যে একদিকে যেমন শরীরে ক্যান্সারের বাসা বাঁধাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে,,,, একই সঙ্গে রেডিয়েশন এবং কেমো থেরাপির যে সাইডএফেক্ট,,, সেটিও ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এছাড়াও এই ট্যাবলেটটির আরো একটি বেনিফিট হতে চলেছে, যে সমস্ত রোগীরা একবার ক্যান্সার আক্রান্ত হন,,, তাদের পুনরায় ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। এই দ্বিতীয়বার অর্থাৎ পুনরায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিও এই ট্যাবলেটের সাহায্যে আটকানো যাবে।
এই ট্যাবলেটটি ঠিক কিভাবে কাজ করবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে এই ট্যাবলেটটি আসলে একটি প্রিঅক্সিডেন্ট ট্যাবলেট। এটি যখন শরীরে প্রবেশ করবে তখন এই ট্যাবলেট শরীরের ভেতরে থাকা ক্রোমোটিন কোষগুলোকে ধ্বংস করতে শুরু করবে। শরীরের রক্ত রসের সঙ্গে মিশে এই ট্যাবলেটটি অক্সিজেন তৈরি করবে। আর এই অক্সিজেন প্রোটিনই ক্যান্সার কোষগুলিকে সমূলে বিনাশ করতে সাহায্য করবে। এভাবেই এটি ক্যান্সারের বাড় বাড়ন্তকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এর ফলে শরীরে ক্যান্সারের কোষ সহজে তৈরি হতে পারবেনা। এছাড়াও যে সমস্ত ক্যান্সার পেশেন্ট কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন তাদের শরীরেও এই ট্যাবলেট দারুন ভাবে কাজ করবে। কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপির পর ক্যান্সার পেশেন্টের শরীরে যে টক্সিন তৈরি হয় সেটিও এই ট্যাবলেট এর মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে।
লেটেস্ট আপডেট অনুযায়ী এই ট্যাবলেটটি ভারতের ফুড সেফটি এবং সিকিউরিটি অথরিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তাছাড়া বাকি সমস্ত দিক থেকেই এই ট্যাবলেটটি সবুজ সংকেত পেয়েছে। সর্বোপরি সমস্ত অফিসিয়াল অনুমোদন নিয়ে এই ট্যাবলেটটি বাজারে এলে,, ক্যান্সার রোগীদের খরচের বহর অনেকটাই কমে যাবে। লাখ লাখ কোটি কোটি টাকার পরিবর্তে মাত্র ১০০ টাকায় ক্যান্সার রোগীরা জীবন ফিরে পাবেন।
সত্যি রতন টাটার এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানালেও কম হবে….. রতন টাটার ইনস্টিটিউশন যা করে দেখিয়েছে তা অত্যন্ত গর্বের বিষয়
Leave a Reply