ঘুমানোর সময় এই ভুলগুলি কক্ষনও করবেন না!!
তাহলেই বিপদ!
ঘুমানোর সময় এই ভুলগুলি
কক্ষনও করবেন না!!
তাহলেই বিপদ!
এই ভুলের কারণেই
বয়স বেড়ে যায়!
ত্বকের চামড়া ঝুলে যায়,
কুড়িতেই লাগে তুরতুরে বুড়ি!
কি এই ভুল?
যা প্রায় সবাই করে?
ঘুম তো প্রত্যেকটি মানুষেরই অপরিহার্য অংশ। কিন্তু ঘুমনোরও বেশ কিছু সঠিক নিয়ম কানুন রয়েছে । ভুল ভাবে ঘুমাতে গিয়ে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ,শুধুমাত্র ভুল ভাবে ঘুমানোর কারণে আমরা নিজেদের বয়স্ক বানিয়ে ফেলি, কম বয়সেই নিজেদের একবারে ৮০র দোরগোড়ায় টেনে আনি । নিজেদের রূপ সৌন্দর্য ধ্বংস করে ফেলি । চিকিৎসকদের মতে আমরা ঘুমোনোর সময় গুনে গুনে তিনটি ভুল করে থাকি । এই তিনটি ভুলের কারণে ত্বকের চামড়া কুঁচকে যায়, মুখে বলিরেখা ফুটে ওঠে, চোখের তলায় কালি পড়ে এমনকি শরীরে বিভিন্ন ভয়ঙ্কর রোগের বাসা বাঁধে। কি এই তিনটি ভুল দেখে নিন –
প্রথম ভুলটি হলো একপাশে ঘুমানো:
আমরা অনেকেই আছি যারা সারারাত একপাশে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিই। এই অভ্যাসটি প্রায় সকলের মধ্যে দেখা যায়। অভ্যাসটি সাধারণ হলেও ত্বকের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয় । কারণ একপাশে ঘুমানোর ফলে চাপটা গালের একপাশেই পড়তে থাকে । দীর্ঘক্ষণ এরকম থাকার ফলে ত্বকে দাগ সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের কোলাজেন নষ্ট হয়ে যায় ফলে এই দাগ অনেকসময় বলিরেখাতেও পরিণত হয়, শুধু তাই নয় অনেকক্ষেত্রে কাঁধে ও ঘাড়েও ব্যথা সৃষ্টি হয়।
ঘুমানোর দ্বিতীয় ভুলটি হলো পেটে চাপ দিয়ে ঘুমানো:
পেটে চাপ দিয়ে ঘুমানো সবথেকে বেশি ক্ষতিকর। কারণ এতে করে যেমন নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তেমনই ত্বকের রক্ত সঞ্চালনে বাঁধা সৃষ্টি হয়। ফলে ত্বকের সেলগুলি উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে অক্ষম হয়ে পড়ে । এরফলে ত্বক অত্যন্ত রুক্ষ, শুষ্ক নিষ্প্রাণ দেখায় । সবথেকে বড় বিষয় পেটে চাপ দেওয়ার ফলে অনেক সময় তার প্রভাব পড়ে পাকস্থলীতে , এরফলে পরিপাক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে।
তৃতীয় ভুলটি হলো বালিশে মুখ উপুড় দিয়ে ঘুমানো:
বালিশে মুখ উপুড় দিয়ে ঘুমনোর ফলে শ্বাস নেওয়াতে বিরাট সমস্যা দেখা দেয় । অনেক সময় শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। এভাবে ঘুমানোর ফলে ত্বকে ঘষা লাগে, এবং মুখে বড়ো বড়ো ব্রণ সৃষ্টি হয় ।
এতো গেলো ঘুমোনোর ভুল পদ্ধতি , এবার জেনে নিন ঘুমোনোর সঠিক পদ্ধতি গুলো :
সোজা হয়ে ঘুমানো:
ঘুমানোর সঠিক অবস্থান হলো সোজা হয়ে ঘুমানো। এতে করে শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে হয়। নিশ্বাসও ঠিক ভাবে নেওয়া যায় । এমনকি ত্বকের ওপর কোনো খারাপ প্রভাব পড়ে না ।
মাথা বালিশে রেখে ঘুমানো:
মাথা বালিশে রেখে ঘুমালে কাঁধ ঘাড়ের আরাম পাওয়া যায়। এমনকি ত্বকের রক্ত সঞ্চালনও ঠিক থাকে, ত্বক ফুলেও যায় না ।
বার বার পজিশন বদলে নেওয়া :
একপাশে না ঘুমিয়ে বারে বারে স্থান পরিবর্তন করে ঘুমানো উচিত। এতে করে শরীরের যেকোন একটি অঙ্গে চাপ তৈরি হয় না , আর শরীরে ব্যাথা সৃষ্টি হয় না ।
Leave a Reply