পাপের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে চান? তাহলে আজ থেকেই এই ৫টি জিনিস অন্যকে দেওয়া বন্ধ করুন!

পাপের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে চান? তাহলে আজ থেকেই এই ৫টি জিনিস অন্যকে দেওয়া বন্ধ করুন!

পাপের বোঝা থেকে
মুক্তি পেতে চান?

তাহলে আজ থেকেই এই ৫টি জিনিস
অন্যকে দেওয়া বন্ধ করুন!

নাহলেই ঘোর বিপদ!
অভিশাপে অভিশাপে ধবংস হবে জীবন!

মৃত্যুর পর ঠাঁই পাবেন
সোজা নরকে!

এই ৫টি জিনিস কি কি?
ঝটপট দেখুন

তালিকায় প্রথমে রয়েছে বাসি বা নষ্ট খাবার :

কথিত আছে দান ধর্ম মহৎ ধর্ম। কিন্তু এমন কোনো দান করা উচিত নয় যাতে করে পাপ লাগে । কথায় আছে অন্ন দানের চেয়ে বড় দান আর কিছু হয় না কোনো দরিদ্র, ভিক্ষুকদের খাবার দান করলে স্বয়ং দেবী অন্নপূর্ণার কৃপা লাভ করা যায় । তবে আপনি যদি বাসি বা নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার দান করেন তাহলে আশীর্বাদের বদলে কপালে জোটে দেবীর অভিশাপ। শুধু অন্নপূর্ণা নয় মা লক্ষ্মীও রুষ্ট হন । কেউ যদি কোনো ক্ষুধার্থ ব্যাক্তিকে এমন খাবার দান করেন তাহলে তার ঘর থেকে লক্ষ্মী ছেড়ে পালায় । তাই ভুলেও কখনো দরিদ্র বা অভুক্ত ব্যক্তিদের বাসি বা নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার দান করবেন না

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সর্ষে তেল :

শাস্ত্র অনুসারে কখনোই সর্ষে তেল দান করা উচিত নয়। রান্নার জন্য ব্যবহৃত তেল দান করলে নাকি ঘরে অন্নের অভাব দেখা দেয় । এমনকি জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, সর্ষে তেল দান করলে শনিদেব ক্ষুব্ধ হন। আর শনিদেবের রোষানলে একবার পড়লে জীবন একেবারে তছনছ হয়ে যায়। তাই শনিদেবের হাত থেকে বাঁচতে হলে সর্ষে তেল কখনোই দান করবেন না।

তৃতীয় জিনিসটি হলো বিদ্যা:

বিদ্যা অর্থাৎ বই কখনোই দান করা উচিত নয়। বিদ্যা এমনই একটি জিনিস যার ভাগ কাউকে দেওয়া যায় না। একমাত্র এই বিদ্যার মাধ্যমে জ্ঞানের সঞ্চার ঘটে । আর এই জ্ঞানের দ্বারাই সকলের মধ্যে বিচার বিবেচনা করার ক্ষমতা জাগ্রত হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বিদ্যা দানের মাধ্যমে মা সরস্বতীকে অবহেলা করা হয় ।যারা দেবী সরস্বতীকে অবেহেলা করেন তাদের জীবনে শিক্ষার চরম অভাব দেখা দেয় । তাই ভুলেও বিদ্যা দান করবেন না।

চতুর্থ জিনিসটি হলো ঝাড়ু :

বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, ঝাড়ু কখনও কাউকে দান করা উচিত নয়। ঝাড়ু এমনই একটি জিনিস যার দ্বারা সমস্ত খারাপ জিনিস ঘর থেকে দূর করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, অনেকে ঘরে বিপদ কাটানোর জন্য বা কুনজর যাতে না লাগে তার জন্য ঘরে পুরানো ঝাড়ু ঝুলিয়ে রাখেন । কিন্তু এই ঝাড়ুই যদি কেউ দান করেন তাহলে ঘরে নেতিবাচক শক্তির আবির্ভাব ঘটে। যার ফলে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই সংসার সমস্যা মুক্ত রাখতে কখনোই কাউকে ঝাড়ু দান করবেন না।

তালিকায় শেষে রয়েছে সিঁদুর:

বিবাহিত মহিলারা কখনোই সিঁদুর দান করবেন না। আয়স্থি স্ত্রীদের কাছে সিঁদুরের মাহাত্ম্য বিশাল। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে , স্বামীর মঙ্গলের জন্যই স্ত্রীরা সিঁথিতে সিঁদুর পড়েন। তাই যদি কখনো ভুলেও সিঁদুর দান করেন তাহলে আপনি স্বামী সুখ থেকে যেমন বঞ্চিত হবেন, তেমনই স্বামীর মঙ্গল কামনায় ব্যাঘাত ঘটবে। তাই ভুলেও সিঁদুর দান করবেন না।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *