চার চারটি সন্তান থেকেও মিঠুন চক্রবর্তী কখনও বাবা ডাক শোনেননি! একটি সন্তানও অভিনেতাকে বাবা বলে স্বীকার করেন না!
চার চারটি সন্তান থেকেও
মিঠুন চক্রবর্তী কখনও বাবা ডাক শোনেননি!
একটি সন্তানও অভিনেতাকে
বাবা বলে স্বীকার করেন না!
ছেলে মেয়েরা মিঠুনকে
যা ডাকেন শুনলে চমকে উঠবেন!
শুধু মাত্র ১টি কারণ
অভিনেতার আজ এই করুণ দশা !
চরম আক্ষেপে বুক
ফেটে যায় মিঠুনের!
কি সেই কারণ?
যা আজও অনেকেই জানে না!
টলিউড হোক কিংবা বলিউড সর্বত্রই মিঠুন চক্রবর্তীর জয় জয়কার। অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন আদর্শ স্বামী এবং একজন আদর্শ বাবাও। সবেতেই তিনি একাই একশো । একজন স্বামী হিসেবে যেমন সমস্ত কর্তব্য পালন করেন তেমনি একজন বাবা হিসেবে তিনি সন্তানদের আগলে রাখতে জানেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও বছর ৭৩ এর এই অভিনেতা একদিন বাবা ডাক শুনতে পাননি। এক জন নয় দুজন নয় রয়েছে চার চারজন সন্তান তাসত্ত্বেও একদিনও কেউই মিঠুন চক্রবর্তীকে মুখ ফুটে বাবা বলে ডাকেননি । ক্যারিয়ারে সাফল্য পেলেও ব্যক্তিগত জীবনে কি আদৌ তিনি সুখী ? কেন তিনি আজও শুনতে পাননি বাবা ডাক? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাই।
যোগিতা বালিকে নিয়ে অভিনেতার ভরা সংসার। রয়েছে তিন ছেলে এবং এক মেয়ে । বড়ো ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী ওরফে মিমো , মেজো ছেলে উশ্মে চক্রবর্তী আর ছোট ছেলে নমশি চক্রবর্তী এবং কন্যা দিশানী চক্রবর্তী। ছেলে মেয়ে তার বড্ড ভালো। বাবা ভক্ত সন্তান তারা , কিন্তু একদিনও তারা তার বাবাকে বাবা বলে ডাকেন নি । আর এই কথাই নিজে মুখে স্বীকার করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোতে এসে তিনি নিজে বলেছেন যে আজ পর্যন্ত তিনি কোনোদিনও তার চার সন্তানদের মুখ থেকে বাবা ডাক শোনেনি । এর বদলে সকলেই তাকে মিঠুন বলে ডাকে। এর নেপথ্যে যদিও তিনি সদুত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার বড় ছেলে মিমোই প্রথম তাকে মিঠুন বলে ডাকে । ছোটবেলায় মিমোর কথা বলতে অসুবিধা হতো । যেখানে সব বাচ্চারা ২ বছর বয়স থেকে কথা বলতে শিখে যায়, সেখানে মিমোর চার বছর হওয়ার পর কথা বলতে শেখে। ছোট্ট মিমো তখন আদো আদো ভাষায় মিঠুন বলে বাবাকে ডাকতে শুরু করে। কিন্তু বাবা বলা কোনোমতেই শিখতে পারে না। তখনই অভিনেতা চিন্তিত হয়ে ডাক্তারী পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার আশ্বস্থ করে বলেন বাচ্চারা যে কথা শোনে সে কথাই রপ্ত করে তাই শিশু মিমোও বাবার আগে মিঠুন শব্দটি রপ্ত করেছে । এই ভাবেই মিমো বাবাকে মিঠুন ডাকা শুরু করে , এবং তার দেখা দেখি তার ছোটো ছোটো ভাই বোনেরাও একই কাজ করতে থাকেন । এমনকি জানা যায় , অভিনেতার সাথে ছেলে মেয়েদের এতটাই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যে তারা মিঠুন ডাকটিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং আরো বেশি করে বন্ধুত্বের ছোঁয়া পায়। আর ঠিক এই কারণেই অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এখনো বাবা ডাক শোনেননি। তিনি নিজেও এই মিঠুন ডাকটিতে এক আলাদা মিষ্টতা খুঁজে পায়, ফলে তিনিও কোনদিন তাদের ছেলে মেয়েদের এই ভাবে নাম ধরে ডাকাতে বাঁধা দেননি ।
Leave a Reply