কে এই শিবু ও উত্তম!! কিসের ক্ষমতার জের এদের !!!

কে এই শিবু ও উত্তম!! কিসের ক্ষমতার জের এদের !!!

কে এই
শিবু ও উত্তম!!

কিসের ক্ষমতার
জের এদের !!!

তাহলে কি তাসের
জোকার শাহজাহান !!

আর রাজা
উত্তম ও শিবু!!!!

অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি । ক্ষোভে ফুঁসছেন বাংলার মা মাটি মানুষ। শেখ শাহজাহানের হাত ধরে আজ খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। এই মুহূর্তে সন্দেশখালির মহিলাদের নিয়ে যে সমস্ত খবর প্রায় উঠে আসছে তা বাংলার জন্য অত্যন্ত নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক। রাজ্যের গায়ে কলঙ্কের দাগ সৃষ্টি করেছে এই সন্দেশখালি। সন্দেশখালির এই ঘটনায় বার বার নাম উঠে এসেছে দুই ধুরন্দর ব্যক্তির । একজন উত্তম সর্দার অপরজন শিবু হাজরা। তাদের কুকীর্তির কথা ফাঁস করছে সন্দেশখালির ভুক্তভোগী অসহায় মহিলারা । ভুক্তভোগী মহিলারা এই দুই ব্যক্তির দিকে আঙুল তুলে বলছেন তাদের জন্যই মান ইজ্জত নষ্ট হয়েছে । এখন গোটা বাংলা জানতে চাইছে স্বনামধন্য এই দুই ব্যক্তি কারা? এদের বংশ পরিচয় কি ? কার দৌলতে এদের এত বাড় বাড়ন্ত ? প্রশ্নের জবাব চাইছে বাংলার মানুষ।

বাংলা হান্টের আজকের প্রতিবেদনে একেবারে সোজা বাংলায় শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বংশ পরিচিতি থেকে শুরু করে তাদের উত্থানের কাহিনী তুলে ধরবো।

তথ্য সূত্রে জানা যায় , সন্দেশখালির শাসকদলের নিবিড় ঘনিষ্ঠ এই দুই ব্যক্তি। তৃণমূলে বেশ ভালো পদেই আছেন তারা। আর এই জায়গা করে দিয়েছে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। স্থানীয়দের দাবী, এই দুজনই শাহজাহানের চোখের মণি । এদের নামে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। এমনকি , এই দুজনের অনুমতি ছাড়া গাছের পাতা পর্যন্ত নড়তে পারে না । এদের কাহিনী আরো খোলসা করে জানাই। সন্দেশখালী ২- এর জেলা পরিষদের সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা। অন্যদিকে, সন্দেশখালির ১-এর সভাপতি উত্তম সর্দার। এই দুজনকে হাতিয়ার করে সন্দেশখালিতে শাহজাহান নিজের ঘাঁটি স্থাপন করেন। যদিও উত্তম সর্দারের উত্থান কংগ্রেসের হাত ধরে। বসিরহাট কলেজের কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদে প্রথম নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি যোগদান করেন তৃণমূলে । শাহজাহানের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে তিনি লিপ্ত থাকায় শাহজাহানের বিশ্বস্ত হয়ে ওঠেন । এরপর শেখ শাহজাহানের ছত্রছায়ায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দায়িত্বে আসেন তিনি । অন্যদিকে , শিবপ্রসাদ হাজরার জন্ম বামফ্রন্টের নেতৃত্বে। কিন্তু এখানে বেশিদিন থাকতে না পারায় তিনিও তৃণমূলে নাম লেখান । শাহজাহানের কাছে হয়ে ওঠেন আদরের শিবু। মাথার ওপর কর্তা শাহজাহানের দুহাত বর্ষিত থাকায় অনায়াসে পঞ্চায়েতের টিকিট পেয়ে যায় । পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে হয়ে ওঠেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এবং পরে জেলা পরিষদ। এরপর থেকেই শুরু হয় সন্দেশখালির মানুষদের ওপর চোখ রাঙানি। ওপরে বসে আদেশ দিতে থাকেন শাহজাহান, আর তার নির্দেশে সন্দেশখালির প্রতিটিই মানুষের ওপর জোর জুলুম বাজি শুরু করেন এই দুই কুখ্যাত ব্যক্তি। নিজেদের মনের তৃপ্তি মেটাতে বিশেষ করে মহিলাদের নোংরা খেলায় যুক্ত করেন । সব রকমের দুর্নীতির সাথে যুক্ত এরা । আর এই দুর্নীতির জেরে বাড়িয়েছে কালো ধনের বহর । শিবপ্রসাদের কালোধনের বহর দেখলে চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসবে । বাড়ি থেকে গাড়ি কি নেই !!! শুধু শিবু নন ,,,অধম থুড়ি উত্তম সর্দারেরও ধনের বহর ভালোই। গাড়ী বাড়ি, বাংলো সবই নিজের পকেটে। তাহলে বুঝতেই পারছেন সন্দেশখালিতে এদের ক্ষমতা ঠিক কতোটা জোরালো। অনেকের দাবী, শাহজাহান বেতাজ বাদশা হলে , উত্তম ও শিবু দুজনে সন্দেশখালির ছোটো বাদশা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *