বাচ্চাদের হাতে ভুলেও দেবেন না এই ১টি খাবার! এই খাবারেই লুকিয়ে ক্যান্সারের মারণ বিষ!
বাচ্চাদের হাতে ভুলেও দেবেন না
এই ১টি খাবার!
এই খাবারেই লুকিয়ে
ক্যান্সারের মারণ বিষ!
বিষাক্ত প্রাণঘাতী রসায়ানিক দিয়ে
তৈরি হয় এই খাবার!
এই খাবার বাচ্চার পেটে গেলেই,
সাংঘাতিক বিপদ!
হুড়মুড়িয়ে বেড়ে যাবে
মৃত্যু ঝুঁকি!
কিন্তু এই খাবারটিই
বাচ্চারা বেশি খায়!
এই বিষাক্ত খাবারটি
আসলে কি?
যা বাচ্চাদের যম?
কেউ বলে বুড়ির চুল , কেউ বা বলে হাওয়াই মিঠাই, আবার কেউ বলে কটন ক্যান্ডি। সে যা যাই বলুক খেতে কিন্তু দারুণ । মুখে দিলেই নিমিষে গলে যায়, জিভ হয়ে যায় গোলাপী। বড়োই মজাদার খাবারটি। বাচ্চারা বুড়ির চুলের ভীষণ বড়ো ফ্যান । রাস্তার মোড়ে হোক কিংবা পার্কে বুড়ির চুল দেখলেই তাদের চাই চাই। বয়স তো দোহাই মাত্র , এই খাবার দেখলে জিভে জল আসে বুড়োদেরও। তুলোর মত নরম খাবারটি তৈরী করতে লাগে কয়েক সেকেন্ড। তার ওপর দামে একবারেই কম , এক কথায় বলা যায় দামে কম স্বাদে অতুলনীয়। কিন্তু জানেন দামে কম এই খাবারটি মানে ঠিক কতটা খারাপ। এই খাবার কিনে যেমন নিজেদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন তেমনি বাচ্চাদের জীবনেও ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনছেন । এই খাবারেই লুকিয়ে রয়েছে ক্যানসারের মারণ বিষ। যা আপনার অজান্তেই আপনার পেটে গিয়ে ধীরে ধীরে ক্যান্সারের বীজ বপন করছে। সম্প্রতি গবেষনায় উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই তথ্য অনুসারে জানা গেছে, এই জনপ্রিয় কটন ক্যান্ডি মানুষের শরীরে গিয়ে ক্যানসার সৃষ্টি করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই কটন ক্যান্ডি কীভাবে মানুষের শরীরে ক্ষতি করছে ? কিভাবে এটি ক্যানসারের মত ভয়ঙ্কর রোগ সৃষ্টি করছে? চলুন এবিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানাই।
প্রথমে জানাই বুড়ির চুল আসলে কি?
এটি অত্যন্ত লোভনীয় একটি খাবার। এটি মূলত গোলাপী এবং সাদা রংয়ের হয় । বিশেষ করে এটি মিষ্টি হওয়ায় সকলেই এই খাওয়ারের প্রতি আকর্ষিত হয়।
এটি কী ভাবে তৈরি হয় ?
এই খাবারটি একটি যন্ত্রের সাহায্য তৈরি করা হয়। প্রথমে যন্ত্রটির দ্বারা চিনিকে গলিয়ে চিনির সিরাপ তৈরি করা হয়। এরপর এতে মেশানো হয় ফুড কালারসহ আরো নানাধরনের উপাদান যার দ্বারা খাবারটির স্বাদ এবং গন্ধ আরো বাড়িয়ে তোলে। এরপর এটিকে মেশিনের সাহায্যে একবারে সূক্ষ সুতোয় পরিণত করা হয় এবং কাঠি দিয়ে সেই সুতো গুলো জড়িয়ে জড়িয়ে তৈরি করা হয় হাওয়াই মিঠাই।
কেন এটি ক্ষতিকারক?
সম্প্রতি গবেষনায় দেখা যাচ্ছে, তুলোর মতো নরম এই খাবারটির মধ্যে রয়েছে ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধির উপাদান। এই বিষয়টি জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর গবেষকরা। তারা গবেষণায় যে তথ্য পেয়েছেন তা থেকে জানা গেছে, হাওয়াই মিঠাই তৈরী করতে রাসায়নিক রোডেমাইন-বি নামক উপাদান ব্যবহার করা হয় । আর এই উপাদানটি শরীরে গিয়ে এমন ভয়ঙ্কর বিক্রিয়া করে যার ফলে ক্যান্সারের কোষ গুলো জাগ্রত হয়ে যায়। এভাবেই আপনাদের শরীরে ক্যান্সার থাবা বসায়। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে এখন ভারতের বহু সংস্থাই গবেষণা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে তামিলনাড়ু এবং পদুচেরিতে এই কটন ক্যান্ডি নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
Leave a Reply