দোলের দিন ঘরের বৌরা ভুলেও এই ৫টি কাজ করবেন না! তাহলেই সব্বনাশ, জলে পুড়ে ছাই হবে গোটা জীবন

দোলের দিন ঘরের বৌরা ভুলেও এই ৫টি কাজ করবেন না! তাহলেই সব্বনাশ, জলে পুড়ে ছাই হবে গোটা জীবন

দোলের দিন ঘরের বৌরা ভুলেও
এই ৫টি কাজ করবেন না!

তাহলেই সব্বনাশ!!

জলে পুড়ে ছাই হবে
গোটা জীবন!

রসাতলে যাবে স্বামী সৌভাগ্য!

অলক্ষ্মীর রোষে পড়ে
ধবংস হবে সাজানো গুছানো সংসার!

কি এই ৫টি ভুল?

দোল মানেই আনন্দ……!! সনাতন হিন্দু শাস্ত্রে দোল পূর্ণিমার তাৎপর্যপূর্ণতা অনেক বেশি। বিশেষ এই দিনটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মানা হয়। এই দিন ভক্তিভরে বেশ কিছু শাস্ত্রীয় আচার মেনে চলতে পারলে শ্রী শ্রী মথুরা মোহনের কৃপা লাভ করা যায়। দোলের মতন পবিত্র দিনটি ঘরের বউদের পূণ্য অর্জনের জন্যও উপযুক্ত একটি দিন। তবে হিন্দু শাস্ত্রে,, দোলের দিন মহিলাদের বিশেষ ৫টি কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দোল পূর্ণিমার দিন এই কাজগুলো করলে সংসারের অমঙ্গল ঘটতে পারে। যেহেতু আয়স্থি মহিলা অর্থাৎ ঘরের বউরা মা লক্ষ্মী সম ,,, তাই তাদের মধ্য দিয়ে এই ধরনের কাজ সম্পন্ন হলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অভিশাপ লাগার সম্ভাবনা থাকে। এই নিষিদ্ধ কাজগুলোর কারণে মা লক্ষ্মী ও ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এক সঙ্গে চটে যান। এই কারণেই সনাতনী জ্যোতিষ শাস্ত্রে মহিলাদের এই কাজগুলো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । এই পাঁচটি নিষিদ্ধ কাজ কি কি ঝটপট দেখে নিন ——

তালিকায় প্রথমে রয়েছে কালো পোশাক :

ঘরের বউরা ভুলেও এই বিশেষ দিনটিতে কালো পোশাক পরিধান করবেন না। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, কালো হল অশুভ শক্তির বাহক। এই বিশেষ দিনে কালো রংয়ের পোশাক পড়লে ঘরে নেতিবাচক শক্তির আবির্ভাব ঘটে। এমনকী লক্ষ্মীর বদলে ঘরে অলক্ষ্মীর আগমন ঘটে। আর সংসারে অলক্ষ্মী ঢুকলে সংসারের সুখ, শান্তি সব ধ্বংস হয়ে যায়। তাই ঘরের স্ত্রীরা এদিন কালো রঙের পোশাক পরিধান করা থেকে বিরত থাকুন।

দ্বিতীয় কাজটি হলো আমিষ ভক্ষণ:

দোল পূর্ণিমার দিন গৃহিনীরা আমিষ আহার করবেন না। সনাতন ধর্ম অনুসারে, এদিন আমিষ আহার করা গুরু পাপ বলে মনে করা হয়। আর ভুল করেও ঘরের মহিলারা যদি তামসিক আহার করেন তাহলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অত্যন্ত রুষ্ট হন। শ্রীকৃষ্ণের অভিশাপে আপনি স্বামী সুখ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

তৃতীয় কাজটি হলো কটূক্তি কথা:

ঘরের স্ত্রীরা এদিন ভুলেও কারোর সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না। আর কাউকে কোনো কটুক্তি পূর্ণ কথা বলবেন না। মনে রাখবেন এদিন কাউকে কথার দ্বারা যদি আঘাত করেন তাহলে আপনার কপালে মা লক্ষ্মীর অভিশাপ জুটবে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, মা লক্ষী শান্ত এবং কোলাহল বিহীন পরিবেশ পছন্দ করেন । তাই কারোর সাথে খারাপ ব্যবহার করে কিংবা কটুক্তি পূর্ণ কথা বলে বাড়ীর পরিবেশ অশান্ত করবেন না।

চতুর্থ কাজটি হলো হোলিকা দহন:

যারা পুরনো বিবাহিত রয়েছেন তাদের পাশাপাশি নব বিবাহিত মহিলাদের জন্যও বেশ কিছু সতর্কবাণী রয়েছে । জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, নববিবাহিত মহিলারা প্রথম হোলিকা দহন শশুর বাড়িতে কাটাবেন না। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এতে করে সংসারে আগুন লাগে এবং সংসারের আয় উন্নতিতে বাধা আসে। তাই
নতুন বউরা এই কাজটি করা থেকে বিরত থাকুন।

শেষ কাজটি হলো তুলসী পাতা:

এই বিশেষ দিনটিতে ঘরের বউরা তুলসী পাতা ছিঁড়বেন না। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, তুলসী গাছে স্বয়ং মা লক্ষ্মীর বাস। তুলসী পাতা ছেড়া মানে মা লক্ষ্মীকে আঘাত করা। তাই ভুলেও তুলসী পাতা ছিঁড়ে মা লক্ষ্মীকে আঘাত করবেন না। নাহলে মা লক্ষী রুষ্ট হন।

আশা করি বুঝতেই পারলেন দোলের দিন এই পাঁচটি কাজের মাধ্যমে কি কি ক্ষতি হতে পারে।
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন….


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *