মিঠুন চক্রবর্তী TIA নামক মারাত্মক অসুখে আক্রান্ত! এই ভয়ঙ্কর যখন তখন ছোবল মারতে পারে!!

মিঠুন চক্রবর্তী TIA নামক মারাত্মক অসুখে আক্রান্ত! এই ভয়ঙ্কর যখন তখন ছোবল মারতে পারে!!

মিঠুন চক্রবর্তী
TIA নামক মারাত্মক
অসুখে আক্রান্ত!

এই রোগটি ব্রেনের
ভিতরে হয়!

এটি অত্যন্ত সাংঘাতিক ও
প্রাণঘাতী সম্পন্ন একটি রোগ!

একবার এই রোগের কবলে
পড়লে প্রাণে বাঁচা মুশকিল!

ভাগ্য ক্রমে বেঁচে ফিরেছেন
এম এল এ ফাটা কেষ্ট!

আপনি কি এই রোগের হাত
থেকে বাঁচতে চান?

আপনি কি চান মিঠুন চক্রবর্তীর
মতন পরিস্থিতিতে না পড়তে?

তাহলে এই রোগটির
যাবতীয় খুঁটিনাটি এক্ষুনি জেনে নিন

দেরি করলেই
মহা বিপদ

গুরুতর অসুস্থ মিঠুন চক্রবর্তী। আচমকাই সুস্থ সবল অভিনেতা এমন একটি ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গেছে । কারণ এম জির জনপ্রিয়তা শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় ভারত তথা বিশ্বের নানা প্রান্তে। মিঠুন চক্রবর্তীর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়া সত্যিই যথেষ্ঠ চিন্তা ও উদ্বেগের। কারণ তিনি এমন একটি রোগে আক্রান্ত হয়েছে যেটি সত্যি মারাত্মক ভয়ঙ্কর একটি রোগ । এই রোগটি সচারচর কারোর হয় না, এটি মাঝারী বিরল একটি রোগ। মিঠুন চক্রবর্তীর যে রোগটি হয়েছে তা মস্তিস্ক সংক্রান্ত একটি রোগ। এই রোগটির বিজ্ঞান সম্মত নাম হল টি আই এ অর্থাৎ ট্রানসিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক। এই রোগে রোগীকে বাঁচানো দায় হয়ে পড়ে। মিঠুন চক্রবর্তী বড় মাপের অভিনেতা হওয়ায়, তার অর্থের জোর থাকায় তিনি এই রোগের ছোবল থেকে বেঁচে ফিরেছেন । তার থেকে বড় কথা সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা হওয়ার দরুন তিনি এখন সুস্থ । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে এই রোগটি আসলে কি? আমাদের মত সাধারণ মধ্যবিত্তরা যদি এই রোগে আক্রান্ত হন তাহলে তারা কি করবেন ? এই রোগের সঠিক লক্ষন গুলি কী? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বাংলা হান্টের আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরবো টি আই এই রোগের বিস্তারিত তথ্য।

টি আই এ রোগটি আসলে কি ?

এই রোগটির নাম হলো ট্রান্সিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক। এটি মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রোগ । ডাক্তারী ভাষায় একে বলা হয় মিনি ব্রেন স্ট্রোক। স্ট্রোকের অনেকগুলো ধরন আছে , তার মধ্যে এটি অন্যতম। মূলত মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে অথবা মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাঁধলে মাথার সেই অংশটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়,,,, ফলে টি আই এ রোগটি দেখা যায়। এই রোগটি একবার হলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

এই রোগের লক্ষণ গুলি কি কি ?

চিকিৎসকদের মতে , এই রোগের লক্ষণ আগে থেকে বোঝা যায় না। কারণ এটি ক্ষণস্থায়ী একটি রোগ। ফলত এই রোগটিতে আক্রান্ত হলে আগে থেকে কোনো কিছু টের পাওয়া যায় না । তবে অনেকসময় হাত পা অবশ হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরানো, শরীরের ভারসাম্য হারানো এগুলোই এই রোগের পূর্ব লক্ষন হিসেবে ধরা হয় । কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেকোনো একটি অঙ্গ অকেজো হয়ে যায়, অনেক সময় স্মৃতি শক্তিও লোপ পায়। এই রোগটি বিশেষ করে দেখা যায়, ডায়াবেটিস, হাইপ্রেসারের রোগীদের মধ্যে। এমনকী যারা অতিরিক্ত চিন্তা করেন তাদেরও এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এই রোগের চিকিৎসা কি ?

এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন । চিকিৎসা করতে দেরী হলে রোগীর ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে যায়, অনেক সময় রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়না। টি আই এ আক্রান্ত হলে চিকিৎসকরা সর্বপ্রথম দেখেন রোগী কোলেস্টরেল, ডায়াবেটিসের মত কোনো রোগে আক্রান্ত কী না । তার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসকেরা ওষুধ দিয়ে থাকেন। যেহেতু এটি মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রোগ তাই ডাক্তাররা কয়েকদিন রোগীকে নিজেদের অবজারভেশন রাখেন । যাতে করে পরবর্তীকালে কোনো সমস্যা না হয় । এবং এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকরা ফিজিওথেরাপি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

এই রোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রাথমিক উপায়:

এই রোগে আক্রান্ত হতে না চাইলে অবশ্যই প্রতি মাসে নিজের সুগার লেভেল , ব্লাড প্রেসার লেভেল পরীক্ষা করুন । এবং খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ খেয়াল রাখুন । আর পুরুষরা ধুমপান করা থেকে বিরত থাকুন। তাহলেই এই রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব।

মিঠুন চক্রবর্তীর এই রোগটি সত্যি আমাদের ভাবিয়ে তুলল। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমন অনেক রোগ আছে যেগুলি সম্পর্কে আমরা আজও অজ্ঞাত। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ এই নতুন নতুন রোগ গুলিতে আক্রান্ত হয় আর তখন সেই বিষয় আমরা জানতে পারি। তাই আপনারা সকলে সতর্ক থাকুন এবং সাবধানে থাকুন। এবং এ ধরনের আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে বাংলা হান্টের ভিডিও পেজে চোখ রাখুন। বাংলা হান্ট মানে বাংলার খবর!!!


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *