আবারও মুসলিম দেশে তৈরি হবে হিন্দুদের মন্দির!!

আবারও মুসলিম দেশে তৈরি হবে হিন্দুদের মন্দির!!

আবারও মুসলিম দেশে তৈরি
হবে হিন্দুদের মন্দির!

এই মন্দিরের ইমারত
দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে!

রাম মন্দিরকেও টেক্কা
দেবে এই মন্দির !

২০২৪ সালটা যেনো ভারতের কাছে সুবর্ণ বছর। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেনো একের পর এক সুখবর আসছে ভারতীয়দের জন্য। অযোধ্যার রাম মন্দিরের পর বেশ কয়েকটি বড় বড় উদ্যোগে সামিল হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যে অন্যতম হলো আবুধাবির মাটিতে তিনি প্রথম হিন্দুদের জন্য মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন । আর এই মন্দির উদ্বোধনের শুভ কাজটি সম্পন্ন হয়েছে নমোর হাত ধরে। হিন্দুদের পাশাপাশি আবুধাবি পেয়ে গেল প্রথম হিন্দু মন্দির। তবে এই মন্দিরের উদ্বোধন শেষ হতে না হতেই আরো একটি খবর সামনে এলো । জানা গেছে আবুধাবির পর আবারো একটি মুসলিম দেশে তৈরি হতে চলেছে হিন্দুদের মন্দির। এই মন্দির আবুধাবির থেকেও কম কিছু নয় । যদিও মন্দিরের নকশা থেকে শুরু করে সমস্তটাই এখন ক্রমশ প্রকাশ্য। এই খবর সামনে আসতেই অনেকের মনে জানার আগ্রহ জেগেছে যে কোথায় এই মন্দির তৈরি হতে চলেছে ? কার দৌলতে এই মন্দির তৈরি হবে? নানা ধরনের প্রশ্ন উঠে আসছে।

বাংলা হান্টের আজকের প্রতিবেদনে সোজাসুজি বাংলায় তুলে ধরবো এই মন্দিরের খুঁটিনাটি সব তথ্য।

তথ্য সূত্রে জানা যায় , বাহরাইনে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে হিন্দু মন্দির। আবুধাবির মত এই দেশেও এর আগে কোনো হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়নি। কারণ এই দেশটিও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ । ফলত এখানে বসবাসকারী হিন্দুদের জন্য মন্দিরের কোনো ব্যবস্থা নেই বললেই চলে । এই বিষয় মাথায় রেখে সর্বপ্রথম এদেশে হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার, আর এই উদ্যোগ সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন খোদ বাহরাইনের রাজা । ইতিমধ্যেই মন্দিরের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়েছে । বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স সালমান বিন হামাদ আল খলিফা নিজের হাতে মন্দির নির্মানের জন্য এই জমি বরাদ্দ করেছেন । বছর দুয়েক আগেই জমি বরাদ্দের কাজ সম্পন্ন হয়েছে । এখন শুধু মন্দির নির্মাণের পালা । তথ্য সূত্রে উঠে এসেছে, ইতিমধ্যে মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি একবারে তুঙ্গে । আর এই মন্দির নির্মাণ দায়ভার পড়েছে BAPS সংস্থার ওপর । এই একই সংস্থা আবুধাবিতেও স্বামিনারায়ন হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠার কাজটি সম্পন্ন করেন । তাদের কাজে মুগ্ধ হয়ে ভারত সরকার আবারও বাহরাইন মন্দির নির্মানের গুরু দায়িত্ব এদের কাঁধে তুলে দেন । সংস্থা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বাহরাইনের রাজার সাথে এই বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন । আর কয়েক দিন পরেই শুরু করা হবে নির্মাণের কাজ । আশা করা যায় তিন চার বছরের মধ্যে এই মন্দির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে । তবে জানেন , এই মন্দির কোনো সাধারণ মন্দির নয় , এই মন্দিরে সকলে যেতে পারবেন , যেকোনো ধর্মের মানুষ নির্দ্বিধায় এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন, এই মন্দিরের মাধ্যমে সকলের মধ্যে আধ্যাত্মিকতা এবং সংস্কৃতির বাতাবরণ তৈরি করা হবে। নরেন্দ্র মোদির এই উদ্যোগে বাহরাইন এবং ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়ে উঠবে। এমনকি আশা করা যায় , হিন্দু মুসলিম ভাইয়েরা ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একে ওপরের সাথে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *