ভারতের এই ১টি মন্দিরটিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হার্ট! এখানে গেলেই শোনা যায় শ্রী কৃষ্ণের হার্ট বিট

ভারতের এই ১টি মন্দিরটিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হার্ট! এখানে গেলেই শোনা যায় শ্রী কৃষ্ণের হার্ট বিট

ভারতের এই ১টি মন্দিরটিতে রয়েছে
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হার্ট!

এখানে গেলেই শোনা যায়
ভগবান শ্রী কৃষ্ণের হার্ট বিট!

এখানেই জীবন্ত রয়েছে
মথুরা মোহনের হৃতপিন্ড!

এই মন্দিরে পুজো দিলেই
সেরে যায় বড় বড় রোগ-বালাই!

দূরে পালায় যাবতীয়,
শোক – দুঃখ!

ভারতের কোথায় রয়েছে
এই মন্দির?

কিভাবে যাবেন সেখানে?

দেখুন বিস্তারিত

ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে তৈরী হয়েছে একের পর এক কাহিনী। শ্রীকৃষ্ণের প্রেম থেকে শুরু করে বাল্য বয়সের দুষ্টুমির সমস্ত কথাই আমরা জানি । কিন্তু আজও শ্রীকৃষ্ণের হার্ট বিট শোনা যায় এ কথা অনেকেই জানেন না। কাহিনীটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। আর এই হার্টবিট শোনা যায় ভারতের একটিমাত্র মন্দিরে । যেখানে গেলে শ্রী কৃষ্ণের দর্শন পাওয়া যায় এবং সাথে শুনতে পাওয়া যায় শ্রী কৃষ্ণের হৃদস্পন্দন। ভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই মন্দিরেই যত্ন সহকারে রাখা কৃষ্ণের হৃদয়। আর এই মন্দিরেই প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড় জমে। এমনকি এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে একাধিক অলৌকিক কাহিনী ।

আর এই মন্দিরটি হল ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মন্দির পুরীর জগন্নাথ মন্দির। আর এই মন্দিরকে ঘিরে অলৌকিক কাহিনীর শেষ নেই , তারই মধ্যে অন্যতম হলো শ্রীকৃষ্ণের হৃদস্পন্দন এর কাহিনী। হাজার হাজার পুণ্যার্থী এই মন্দিরে দর্শন করেও এই অলৌকিক কাহিনীর কথা আজও জানেন না। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে শ্রীকৃষ্ণের অন্য আরেক রূপ হল জগন্নাথ। আর এই জগন্নাথ দেবের মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত আছে শ্রী কৃষ্ণের হার্ট। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে গান্ধারীর অভিশাপ পান শ্রী কৃষ্ণ। সন্তানহারা গান্ধারী রেগে শ্রীকৃষ্ণকে অভিশাপ দেন যেভাবে কুরুবংশ শেষ হয়েছে সেভাবেই শেষ হবে যদু বংশ। আর এই অভিশাপ অক্ষরে অক্ষরে যায় মহাভারত শেষ হবার ঠিক ৩৫ বছর পর। যদু বংশের পতন হয় , সেই সাথে শ্রী কৃষ্ণ প্রাণ ত্যাগ করেন । শ্রীকৃষ্ণের দেহ দাহ করেন পাণ্ডব বংশ । কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হলো পুরো দেহ ভষ্মিভূত হলেও শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় অবিকল একই রকম থেকে যায় । আগুনের ছোঁয়া বিন্দুমাত্র আঁচড় তৈরি করতে পারে না শ্রীকৃষ্ণের হৃদয়ে। সেইসময় আকাশবাণী জানান দেয়, এই হৃদয় ব্রহ্ম হৃদয়। আগুনে পুরো দেহ ভস্মিভূত হলেও হৃদয় ভস্মিভূত হবে না। আদেশ অনুসারে এই হৃদয়ের টুকরো নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। জলের ছোঁয়া পেতেই হৃদয়ের টুকরো নরম পদার্থে পরিণত হয়ে যায় । আর এই পদার্থটি পায় জগন্নাথের পরম ভক্ত ইন্দ্রদ্যুম। নদীতে স্নান করার সময় তিনি এই পদার্থটি পান । আর এটি পাওয়ার পর ইন্দ্রদ্যুম শ্রীকৃষ্ণের স্বপ্নাদেশ পান। স্বপ্নতে শ্রীকৃষ্ণ তার ভক্তকে আদেশ দেন এই পদার্থটি যে কোন কাঠের দেব- দেবীর মূর্তিতে যেনো প্রতিষ্ঠা করা হয় । আর এই আদেশ মেনে তিনি পুরীর জগন্নাথ দেবের মূর্তিতে এই পদার্থটি প্রতিষ্ঠা করেন। আর এই ভাবেই জগন্নাথ দেবের মূর্তির মধ্যে প্রাণের সঞ্চার ঘটে। অবশ্য জগন্নাথ দেবের মূর্তিও কাঠ দিয়ে তৈরি। প্রতি ১২ বছর অন্তর এই মূর্তি তৈরি করা হয়। আর এই মূর্তি তৈরির পর, শ্রীকৃষ্ণের ব্রহ্ম হৃদয় স্থানান্তর করার সময় সকল পুরোহিতরা নিজের চোখ কাপড়ে বেঁধে নেন এবং হাতে দস্তানা পড়ে নেন । প্রচলিত কথা অনুসারে যারা এই ব্রহ্মা হৃদয় দর্শন করেন তাদের হয় মৃত্যু ঘটে নয় তো তাদের চোখ নষ্ট হয়ে যায়। তাই আজও কেউ এই ব্রহ্ম হৃদয়ের দর্শন পায়নি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *