গলায় কাঁটা বিঁধলে ভুলেও করবেন না পাঁচটি কাজ
গলায় কাঁটা বিঁধলে, ভুলেও
এই ৫টি কাজ করবেন না!
নাহলেই সর্বনাশ!
কাঁটা বেরোনোর বদলে
আরো গেঁথে যাবে!
গলায় পুঁজ পচে
ঘা হয়ে যাবে!
ব্যথায়, যন্ত্রনায়
ছিঁড়ে যাবে গলার নলি!
চিকিৎসকেরাও এই
কাজগুলো করতে নিষেধ করেছেন!
ঝটপট দেখে নিন
এই ৫টি কাজ কি কি
বাঙালি মানেই মাছ ভাত । মাছ ছাড়া বাঙ্গলিরা ভাতের পাত কল্পনাই করতে পারেন না । আর এই মাছ খেতে গিয়েই অধিকাংশ মাছপ্রেমীরা গলায় কাঁটা বিঁধিয়ে বসেন। এই ঘটনা প্রায়ই দেখা যায় । আর এই মাছের কাঁটা বার করতে গিয়ে বাঁধিয়ে বসেন আরো বড়ো ভুল । মাছের কাঁটা বের করার বদলে আরো বেশি করে গলায় গেঁথে ফেলেন । এমন অনেক ভুল কাজ আছে যেগুলো আপনারা গলায় কাঁটা আটকে গেলে প্রায়শই করে থাকেন। জানেন এই কাজ গুলির মাধ্যমে গলার নলি ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । অনেকসময় এই বিঁধে যাওয়া কাঁটা গলায় ক্ষতের সৃষ্টি করে , এই ক্ষতের প্রাথমিক চিকিৎসা বাড়িতে করতে গিয়ে ক্যান্সারের মত মারণ ব্যাধির সম্মুখীন হতে হয়। তাই ভুলেও পাঁচটি কাজ করবেন না। করলেই মহাবিপদ। কি এই পাঁচটি কাজ দেখে নিন ——–
প্রথম কাজটি হলো গরম জল :
অনেকেই আছেন যারা গলায় কাঁটা বাঁধার সঙ্গে সঙ্গে গরম জল খেয়ে নেন । কিন্তু এই কাজটি করা একবারেই ঠিক নয় । কারণ গলায় কাঁটা বিঁধলে অনেক সময় গলার নলীর আশেপাশে চিঁড়ে যায় । আর গরম জল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই জায়গাটি আরো স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। গলা থেকে কাঁটা বেরোনোর বদলে সেই স্থানটিকে আরো ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। তাই ভুলেও বাড়িতে এই ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন না।
দ্বিতীয় কাজটি হল নুন খাওয়া :
বাঙালিরা ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগ করতে পছন্দ করেন। অনেক সময় এই ঘরোয়া টোটকাই জীবনের উপর ভারী পড়ে। গলায় কাঁটা বিঁধলে নুন খেয়ে সেই কাঁটা বের করার ভ্রান্ত ধারনা অনেকেরই রয়েছে। মনে করা হয় নুন খেলে গলায় আটকে থাকা কাঁটা গলে যায় । কিন্তু আদৌতেও এমন কোনো কাজ হয় না । উল্টে দেখা যায় যে জায়গাটি কাঁটা বিঁধেছে সেখানে ইনফেকশন সৃষ্টি হয় । এই ইনফেকশনের ফলে গলায় পুঁজ জমে যায় । তাই নিজের গলার সাথে এমন ভুল কখনোই করবেন না ।
তৃতীয় কাজটি হল ভাতের মন্ড:
গলায় কাঁটা আটকে গেলে কলা দিয়ে ভাত খেলে কাঁটা নাকি গলা থেকে নেমে যায় , এমনটা অনেকেই মনে করেন । কিন্তু জানেন এই কাজটি করা মোটেও ঠিক নয় । কারণ অতিরিক্ত শক্ত ভাতের মন্ড গলায় গেলে কাঁটা বেরোনোর বদলে অন্য স্থানে গেঁথে যায় । এতে হীতে বিপরীত ঘটে । তাই ভুলেও এমন কাজ করবেন না
চতুর্থ কাজটি হল ভিনিগার :
গলা থেকে মাছের কাঁটা ঝটপট উগড়ে ফেলার জন্য অনেকে গরম জলে ভিনিগার পান করে থাকেন । কিন্তু এই ঘরোয়া উপায় মোটেও স্বাস্থ্যকর নয় । কারণ ভিনিগারে থাকা অ্যাসিড গলার ক্ষত হওয়া স্থানে গেলে সেই স্থানটিকে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি করে । এর ফলে অনেক সময় গলায় বীভৎস পরিমান যন্ত্রণা তৈরি হয় এমনকি কথা বলতেও সমস্যা দেখা যায়।
পঞ্চম কাজটি হলো গলায় আঙ্গুল ঢোকানো :
গলা থেকে কাঁটা বের করার জন্য অনেকেই আঙ্গুল ঢুকিয়ে কাঁটা বের করার চেষ্টা করেন । চিকিৎসকদের মতে, এই কাজ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন । কারণ বেশিরভাগক্ষেত্রে সকলে গলায় এমন ভাবে হাত ঢুকিয়ে কাঁটা বের করেন এতে করে গলার টনসিলে প্রভাব পড়ে । অনেকসময় এই প্রভাব ক্যান্সারের রূপ ধারণ করে বসে। তাই এই সমস্ত মারণব্যাধি থেকে বাঁচতে চাইলে এই কাজ গুলি করা অবশ্যই বন্ধ করুন ।
Leave a Reply