রোজ এই ২টি কাজ করলেই, হার্ট এ্যাটাক উধাও!
হার্ট অ্যাটাক এই রোগটির নাম শুনলেই সকলেরই জান- প্রাণ যায় যায় অবস্থা । সুস্থ সবল মানুষ কখন যে হার্ট এ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে যান তা টেরই পাওয়া যায় না । এই রোগের চিকিৎসা করতে যদি একটু উনিশ বিশ হয়ে যায় তাহলে রোগীকে বাঁচানো দায়ের হয়ে পড়ে। হাসপাতালের অধিকাংশ বেডই হার্টের রোগীতে ভর্তি। কালের নিয়মে চিকিৎসা পদ্ধতিতে উন্নতি ঘটলেও অনেক সময় দেখা যায় হার্ট এ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে রোগী প্যারালাইজড হয়ে পড়েছেন।
তাই এই রোগকে জব্দ করার জন্য ঔষধের থেকেও কার্যকরী দুটি ব্রক্ষ্মাস্ত্র রয়েছে। এই ব্রহ্মাস্ত্র দুটিকে ঠিকঠাকভাবে কাজে লাগাতে পারলে হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগকেও কাবু করা যাবে । এর জন্য তেমন কিছুই না কেবল মাত্র দুটি কাজ করতে হবে। চিকিৎসকদের দাবি এই দুটি কাজ করলে হার্ট অ্যাটাকের থেকে রেহাই মেলার সম্ভাবনা থাকে।
আপনারা ভাবছেন নিশ্চয়ই , যেখানে এত ক্যাপসুল ট্যাবলেটে কাজ করে না সেখানে কিভাবে এই দুটি নিয়ম পালন করলে হার্ট অ্যাটাক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই বিষয়ে মতামত দিয়েছেন হার্ট বিশেষজ্ঞরা এবং এই দুটি নিয়ম সঠিকভাবে পালন করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা ।
চলুন দেখে নিই এই দুটি কাজ কিকি —–
প্রথম কাজটি হলো নুন খাওয়া:
নুন ছাড়া যেকোনো খাবার স্বাদহীন লাগে। তাই খাবারের পাতে নুন চায়ই চাই। কারোর কারোর তো আবার খাবারে স্বাদের তুলনায় বেশি নুনের দরকার পড়ে । শরীরে সোডিয়ামের অভাব হলে যেমন নুনের প্রয়োজন পড়ে তেমনিই শরীরে নুনের পরিমান বেশি হলে হার্ট এ্যাটাক ঘটে। এবার নুন কীভাবে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে সে সম্বন্ধে জানাই। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, বেশি নুন খেলে প্রেসার বেড়ে যায় । আর প্রেসার বেড়ে যাওয়াই হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। তাই স্বাদ মত নুন খান তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশী নুন খাবেন না।
দ্বিতীয় কাজটি হলো গ্রিন টি :
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিন টি নাকি হার্টের মোক্ষম ওষুধ। গ্রিনটির শুধু ওজন কমানোর জন্য কিংবা রূপচর্চার জন্যই কাজে লাগে এমনটা নয় । হার্ট ভালো রাখতে গ্রিন টিয়ের বিরাট অবদান । চিকিৎসকদের মতে গ্রিনটি পান করলে হার্টের রক্ত সঞ্চালন খুব ভালোভাবে হয় । ফলে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো ভয় থাকে না, এবং হার্টের গতিবেগও ভালো থেকে । অবশ্য অত্যাধিক গ্রিন টি পান করা যাবে না। একদিন ছাড়া ছাড়া সকালে গ্রিন টি পান করুন এতে করে হার্ট এ্যাটাক থেকে বাঁচা যায় ।
Leave a Reply