শেখ সিরাজ কে এই ব্যক্তি ? তার পরিচয়ই বা কি ?কোথায় থাকেন তিনি ?
শেখ সিরাজ কে এই ব্যক্তি ?
তার পরিচয়ই বা কি ?
কোথায় থাকেন তিনি ?
কীভাবে সন্দেশখালিতে
এতো দাপট দেখাতেন তিনি ?
মা বোনদের সম্মান লুটতে
দাদার থেকেও কম যান না শেখ সিরাজ
সাধারণ মানুষদের মেরে কেটে
কত টাকা কামিয়েছেন তিনি?
খবরের শিরোনামে এখন শুধু সন্দেশখালি।
সন্দেশখালির সন্দেশ পৌঁছে গেছে গোটা দেশে। সন্দেশখালির এহেন পরিস্থিতিতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা বাংলা। আর তারই প্রতিবাদে আজ রাজ্য থেকে রাজনীতি কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে সন্দেশখালির হাহাকার, কান্না, আর্তনাদ। সন্দেশখালির প্রতিবাদে যে সমস্ত ঘটনা বার বার উঠে আসছে তা শুধু বাংলার নয় গণতন্ত্রের গায়েও বার বার কাদা ছোড়াছুড়ি করা হয়েছে। এতো দিন ধরে সন্দেশখালির ত্রিমূর্তিকে ঘিরেই হাজার হাজার অভিযোগ উঠে আসছে। কিন্তু হঠাৎই গর্ত থেকে বেরিয়ে এলো আরো বড় বাঘা। না এবার আর শিবু, উত্তম বা শাহজাহান নয় । এবার তীর বিঁধেছে সন্দেশখালির নতুন ত্রাস শেখ সিরাজউদ্দিনের গায়ে । সমস্ত রকমের অপকর্মে লিপ্ত এই ধূর্ত ব্যক্তি। দাদার মতোই নিজের চাহিদা মেটাতে অসহায় মেয়েদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পর্যন্ত ছাড়েননি , অন্যের পেটের ভাত মেরে নিজের থালা ভরিয়েছেন। বিঘের বিঘে জমি দখল করে নিজের আয়ত্বে এনেছেন তিনি । আর তার সমস্ত কুকীর্তি ফাঁস করেছে এই সন্দেশখালির ভুক্তভোগী, জর্জরিত বাসিন্দারা । এখন বাংলার মানুষ জানতে চায় কে এই শেখ সিরাজউদ্দিন ? কোথায় থাকেন এই স্বনামধন্য ব্যক্তি? কি তার বংশ পরিচয়? মা বোনদের সম্মানে হাত দেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে ? এই সব কিছুর জবাব চায় গোটা বাংলা ।
বাংলা হান্টের আজকের প্রতিবেদনে একেবারে সোজা বাংলায় শেখ সিরাজউদ্দিনের এ টু জেড কাহিনী তুলে ধরবো।
শেখ সিরাজউদ্দিন আর কেউ নয় শেখ শাহজাহানের মেজো ভাই। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন শেখ শাহজাহানের ভাই হলেন শেখ সিরাজউদ্দিন। শাহজাহানের কলিজা একেবারে হৃদয়ের টুকরো হলেন এই মেজ ভাই। আসলে ইংলিশে একেই বলে ক্রাইম পার্টনার।ভালবেসে ভাইকে ডাকেন সিরাজ। সোনার মানিক মেজো ভাইকে ছাড়া এক চুলও নড়তে পারেন না শেখ শাহজাহান। আর হবে নাই বা কেন, শাহজাহানের সকল অবৈধ কর্মের দোসর সঙ্গী যে সিরাজ। তথ্যসূত্রে জানা যায়, তিনি পেশায় একজন ডাক্তার। যদি ডাক্তারী ঠিক কতোটা রপ্ত করেছেন তা উনিই জানেন । সূত্রের খবর , শেখ শাহজাহানের বাড়ীতে তল্লাশি করতে গিয়ে ইডির ওপর যারা হামলা চালায় তার নেপথ্যেই রয়েছে এই সিরাজ ডাক্তার। যদিও ডাক্তারী , চিকিৎসা এখন এসব অতীত, এখন তার আসল পরিচয় তোলাবাজ, মস্তান, ডন এমনটাই দাবি গ্রামবাসীদের। আর তার এই অপকর্মের উত্থান তার দাদার হাত ধরে। শাসকদলের দাপুটে নেতা শেখ সিরাজউদ্দিন। যার নামে গোটা সন্দেশখালি থরথর করে কাঁপে। এমনকী এই দাপুটে নেতার সামনে দাড়িয়ে রা শব্দ টুকু উচ্চারণ করা যায় না। চোখের নিমিষে বিঘা বিঘা জমি দখল করে নেন সিরাজের লোকেরা । একে দাপুটে নেতা তার উপর শাহজাহানের ভাই হওয়ার দৌলতে গ্রামবাসীরা তার বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস টুকু পায় না। আর এই সুযোগেই সন্দেশখালির অসহায় মানুষদের ওপর শুরু করেন চোখ রাঙানি । কখনো জমি দখল, তো কখনো মাছের ভেঁড়ী দখল,,,,,,, এরকম নানা রকমের জোর জুলুমবাজি করে থাকেন তিনি । এই ভেঁড়ী গুলি পরবর্তীকালে চড়া দামে বিক্রি করেন । শুধু তাই নয় নিজেদের লালসা, তৃপ্তি মেটাতে সন্দেশখালির মা বোনদের সম্মান নিয়েও ছিনিমিনি খেলেন। এক কথায় বলা যায় দাদা শাহজাহানের সমস্ত রকমের দুর্নীতির সাথে যুক্ত শেখ সিরাজউদ্দিন। আর দুর্নীতির জেরেই বেড়েছে ভুরি ভুরি কালোধন । তথ্য সূত্রে জানা যায় সন্দেশ খালি আশেপাশে নজর রাখলে দেখা যাবে তিন থেকে চারটি বাড়ী শুধুমাত্র তারই নামে । যদিও তিনি থাকেন একটু ঘুপচি বাড়ীতে এর নেপথ্যে হয়তো কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে। এমনকি বিঘা বিঘা জমি রয়েছে সিরাজের নামে, বাজারে যার মূল্য আকাশছোঁয়া। এক কথায় বলা যায় সন্দেশখালির আরেক বাদশা শেখ সিরাজউদ্দিন ।
Leave a Reply