এবার মুসলমানদের দেশে, হিন্দুদের মন্দির উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদী! এটি রাম মন্দিরের থেকেও কম কিছু নয়, এই মন্দিরের ধারে কাছে নেই হিন্দু দেশেরও কোনও মন্দির!
এবার মুসলমানদের দেশে,
হিন্দুদের মন্দির উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদী!
এই মন্দির কোনও
সাধারণ মন্দির নয়!
এটি রাম মন্দিরের থেকেও কম কিছু নয়,
সাড়া পশ্চিম এশিয়ায় নেই এমন মন্দির!
১৮ লাখ ইট, সাত সাতটি চূড়া,
কোটি কোটি টাকা দামের বহুমূল্যের উপাদান!
এই মন্দিরের ধারে কাছে নেই
হিন্দু দেশেরও কোনও মন্দির!
কোন দেশে নির্মিত হচ্ছে এমন মন্দির?
কি নাম মন্দিরটির?
অযোধ্যার রাম মন্দিরের পর আরো বড় উদ্যোগে সামিল হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। এবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির আরো একটি সুবিশাল মন্দির উদ্বোধন করতে চলেছেন। তিনি এবার যে মন্দিরটি উদ্বোধন করতে চলেছেন সেটি পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মন্দির হতে চলেছে। যার ধারে কাছে পশ্চিম এশিয়ার আর কোনো মন্দির ঠাঁই পাবে না। অনেকেই এই মন্দিরটিকে পশ্চিম এশিয়ার সমস্ত মন্দিরের গডফাদার বলতে শুরু করেছেন। এই চোখ ধাঁধানো নজরকাড়া মন্দিরটি তৈরি হয়েছে ইসলামিক রাষ্ট্র অর্থাৎ মুসলমানদের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। আলোচিত এই মন্দিরটির নাম, স্বামী নারায়ণ মন্দির। চলতি মাসের ১৪ তারিখ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই মন্দিরটি উদ্বোধন করতে চলেছেন।
এই মন্দিরটি একেবারে অভিনব কায়দায় তৈরি করা হয়েছে। এর পেছনে অঢেল সময় এবং অঢেল টাকা ঢালা হয়েছে। প্রাচীন ভারতীয় মন্দিরের নকশার অনুকরণে এই মন্দিরটির নকশা নির্মাণ করা হয়েছে। যা এক কথায় অসাধারণ। এখনো পর্যন্ত পশ্চিম এশিয়ায় যতগুলো মন্দির তৈরি করা হয়েছে তার মধ্যে এই মন্দিরটি সবচেয়ে বড়। এটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে ভূমিকম্পও টলাতে পারবে না। হাজার হাজার হাতি দিয়ে এই মন্দিরকে ধ্বংস করাতে চাইলেও এটি ধ্বংস হবে না। ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছে। এই মন্দির তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে ১৮ লক্ষ ইটের টুকরো, গোলাপি রঙের বেলে পাথর, সেই সঙ্গে বহুমূল্যের মার্বেল পাথর। মন্দিরটির শোভা বাড়ানোর জন্য, মন্দিরের চূড়ায় সাত সাতটি শৃঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। যা একেবারে চোখে পড়ার মতন। মন্দিরটির ভেতরে রয়েছে সাদা মার্বেলের তৈরি ৪০২টি স্তম্ভ। এছাড়াও রয়েছে দুটি বড় বড় ডোমসহ বারোটি সমরণ। মন্দিরের ভেতরে বই প্রেমী দর্শনার্থীদের জন্য লাইব্রেরীও করা হয়েছে। যে সমস্ত দর্শনার্থীরা বই পড়তে ইচ্ছুক হবেন,, তারা সেখানে গিয়ে বইও পড়তে পারেন। এছাড়াও থাকছে ফুড কোডের ব্যবস্থা। খাদ্য প্রেমীরা চাইলে সেখান থেকে খাবার কিনেও খেতে পারবেন। সেই সঙ্গে থাকছে দুটি অনেক বড় বড় কমিউনিটি হল যেখানে একই সঙ্গে পাঁচ হাজারেরও বেশি লোক ঢুকতে পারবেন। এই মন্দিরটিতে পুজিত হবেন রাম, সীতা, কৃষ্ণ, আয়াপপান ও স্বামী নারায়ন। ভালোবাসা দিবসের দিন এই মন্দিরের দরজা গোটা বিশ্বের জন্য খুলে যাবে। এই মন্দির উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও বিশ্বের আরও ৪২ টি দেশের জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। রাম মন্দিরের পর এমন আরো একটি হাই ভোল্টেজ মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মীরা আবারও খুশির জোয়ারে ভাসছে।
Leave a Reply