শিবরাত্রিতে ভুলেও মহিলারা এই ৫টি কাজ করবেন না!! নাহলেই, সাংঘাতিক বিপদ! ভোলা নাথের অভিশাপে, ছারখার হবে গোটা জীবন!

শিবরাত্রিতে ভুলেও মহিলারা এই ৫টি কাজ করবেন না!!
নাহলেই, সাংঘাতিক বিপদ! ভোলা নাথের অভিশাপে,
ছারখার হবে গোটা জীবন!

শিবরাত্রিতে ভুলেও মহিলারা
এই ৫টি কাজ করবেন না!!

নাহলেই,
সাংঘাতিক বিপদ!

ভোলা নাথের অভিশাপে,
ছারখার হবে গোটা জীবন!

তিলে তিলে
ভুগতে হবে নরক যন্ত্রণা!

স্বামী ভাগ্য নিয়ে
পড়বেন টানাটানিতে!

মহিলারা সিঁথির সিঁদুর
অক্ষয় করতে চাইলে,
স্বামীর আয়ু বাড়াতে চাইলে,

এই ভুলগুলো থেকে
দয়া করে বিরত থাকুন

সনাতন ধর্মে যতগুলো ব্রত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো শিবরাত্রি ব্রত। এই ব্রতটি অত্যন্ত জাগ্রত এবং তাৎপর্যপূর্ণ। শাস্ত্র মতে শিবরাত্রি ব্রত পালন করলে মহাদেবকে ভালো মতন তুষ্ট করা যায়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী শিবরাত্রি ব্রত পালন করুন স্বামীর আয়ু ১০ গুন বেড়ে যায়। স্বামীর মঙ্গল ঘটে। প্রত্যেক আয়স্থি মেয়েই প্রাণপ্রিয় স্বামীর মঙ্গল কামনাই এই ব্রত পালন করে থাকেন। তবে এই ব্রত এতটাই জাগ্রত ও ফলপ্রদায়ক যে, এটি ছেলে, মেয়ে, বুড়ো, অবিবাহিত সক্কলেই পালন করেন। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, এই জাগ্রত ব্রত পালনের সময় ৫টি ভুল কোনও ভাবেই করা যাবে না! অনেকেই এই ব্রত পালন করতে গিয়ে ৫টি ভুল করে বসেন। এগুলো করলেই মহাদেবের অভিশাপে জীবন অভিশপ্ত হয়ে উঠতে পারে। মহিলারা বিশেষ করে এই ভুলগুলো থেকে বিরত থাকুন।

এক নজরে দেখুন এই পাঁচটি ভুল কি কি –

১) ভুলেও কালো পোশাক পড়বেন না:

পুরাণ শাস্ত্র অনুসারে , শিবরাত্রি হলো শিবকে সন্তুষ্ট করার দিন । তাই এই দিন মহিলারা ভুলেও কালো পোশাক পরিধান করবেন না। কালো রঙকে অশুভ রঙ মনে করা হয় । এই রঙের পোশাক পরিধান করে স্ত্রীরা যদি কোনো পূজোতে বসে তাহলে সেই পূজো সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় না। ফলে ভগবান রুষ্ট হয়ে অভিশাপ বর্ষণ করেন। তাই শিবরাত্রির মতো শুভ দিনে মহাদেবকে রুষ্ট করতে না চাইলে স্ত্রীরা কালো পোশাক পড়া থেকে বিরত থাকুন।

২) তামসিক খাবার গ্রহণ করবেন না:

শিবচতুর্দশীর দিন স্ত্রীরা ভুলেও আমিষ খাবার খাবেন না । এই দিন মাছ – মাংস খাওয়া মহাপাপ বলে বিবেচনা করা হয়। সনাতন ধর্ম মতে , শিব রাত্রির মতন পবিত্র দিনে আমিষ স্পর্শ করলে স্বয়ং দেবাদি মহাদেব ক্ষুব্ধ হন। ভুল করেও যদি কোনো স্ত্রী শিব ব্রত পালন করে আমিষ আহার করেন তাহলে মহাদেবের রোষানল থেকে তাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। শুধু আমিষই নয় মশাল জাতীয় কোনো খাবারও খাওয়া যাবে না এইদিন । প্রয়োজনে মহিলারা ফল, মিষ্টি , সাবু , সিদ্ধ ভাত খান তাও মঙ্গল কিন্তু ভুলেও পাতে আমিষ বা মশলা জাতীয় খাবার রাখবেন না।

৩) ভোলা মহেশ্বরকে কখনোই সিঁদুর নিবেদন করবেন না:

শিবরাত্রি দিন মহেশ্বরের মাথায় দুধ ও জল অর্পন করার পর , শিবলিঙ্গের সিঁদুরের তিলক লাগাবেন না । হিন্দু ধর্ম অনুসারে , সিঁদুর মেয়েদের সৌন্দর্য্যের প্রতীক , স্বামীর মঙ্গল কামনার জন্য সকল স্ত্রীরা সিঁদুর পড়ে থাকেন , তেমনি মা দুর্গাও ভোলা মহেশ্বরের জন্য সিঁদুর পড়ে থাকেন , আর সেই সিঁদুর যদি মহাদেবকে নিবেদন করা হয় তাহলে মহাদেবের সাথে দেবী দুর্গাও রুষ্ট হন। বিশেষ করে মায়েরা এই বিষয়ে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে শিবলিঙ্গে সিঁদুরের তিলক দেওয়ার বদলে চন্দনের তিলক অর্পন করতে পারেন ।

৪) খুদযুক্ত বেলপাতা দিয়ে কখনোই শিবপুজো করা উচিত নয়:

সকল মহিলারা চান মহাদেবকে প্রসন্ন করতে,,,, তাই এই দিন অনেক কিছু নিয়ম পালন করে থাকেন। । কিন্তু জানেন মহাদেবকে প্রসন্ন করার জন্য বেশি কিছু প্রয়োজন পড়ে না,,,,শুধু জল আর বেলপাতা অর্পণ করলেই প্রভু তুষ্ট হন। কিন্তু এই বেলপাতা হতে হবে অবশ্যই ত্রিমুখী বেলাপাতা অর্থাৎ তিনটে পাতা যুক্ত বেলপাতা । এবং এই বেলপাতা যেনো পোকা লাগা অথবা বিকৃত না হয় । এই ধরনের বেলপাতা প্রভুর নামে নিবেদন করলে প্রভু রুষ্ট হন । তাই স্ত্রীরা অবশ্যই মহাদেবকে প্রসন্ন করতে চাইলে খুদযুক্ত বেলপাতা ব্যবহার করবেন না ।

৫) শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করার সময় লোহা বা স্টিলের পাত্র ব্যবহার করবেন না:

মহা শিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গে দুধ ওজল অর্পণের সময় কখনই লোহা বা স্টিলের ঘটি ব্যবহার করবেন না। পৌরাণিক শাস্ত্র অনুযায়ী দেব-দেবীদের যেকোনো জিনিস নিবেদন করার সময় তামা ,কাঁসা বা পিতলের পাত্র ব্যবহার করা হয় , এতে করে নাকি দেব-দেবীরা তুষ্ট হন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *