ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে ওয়ো রুমে গিয়ে এই ৫টি ভুল কক্ষনও করবেন না! কাপলরা এক্ষুনি সাবধান হয়ে যান, নাহলে আর কাউকেই মুখ দেখাতে পারবেন না
ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে ওয়ো রুমে গিয়ে
এই ৫টি ভুল কক্ষনও করবেন না!
কাপলরা এক্ষুনি
সাবধান হয়ে যান!
নাহলেই সাড়ে সর্বনাশ!
সঙ্গীকে নিয়ে লজ্জায় পড়ে যাবেন!
গোপনীয়তার ১২টা বেজে যাবে!
মান সম্মান যা আছে,
সব হারাবেন!
আর কাউকে মুখও
দেখাতে পারবেন না!
চলুন,,,,
আর দেরী না করে,,,, বাংলা হান্টের আজকের প্রতিবেদনে দেখে নিন,, ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে ওয়ো রুমে গিয়ে কোন ৫টি ভুল করা যাবে না –
সামনেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। আর ভ্যালেন্টাইন্স ডে মানেই কাপলদের জন্য বিশেষ একটি দিন। প্রতিটি কাপলই চায় এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে। আর তাই,, এই দিন অনেক কাপলরাই ওয়ো রুমে যান। সঙ্গীকে কাছে পেতে, অন্তরালে সময় কাটাতে, একান্তে দুজন দুজনকে উপভোগ করতে এই সময় ওয়ো রুমই হয়ে ওঠে একমাত্র ভরসা। কমবেশি অধিকাংশ তরুণ প্রজন্ম ভালোবাসা দিবসে ওয়ো রুম বুক করে থাকেন। তবে কেউ কেউ লজ্জায় এই কথা স্বীকার করেন না। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের কাছে
ওয়ো রুম বিষয়টি যথেষ্ট স্পর্শকাতর এবং লজ্জার। যে কারণে তারা বেশ রাখঢাক রেখেই ওয়ো রুমে যান। কিন্তু এই রাগ ঢাক রেখে ওয়ো রুমে যাওয়ার কারণে আজকালকার ছেলেমেয়েরা উল্টে বেশি করে বিপদে পড়ছে। দেখা যাচ্ছে, বর্তমানের তরুণ প্রজন্মরা ওয়ো রুমে যাচ্ছে ঠিক, কিন্তু তারা ওয়ো রুমে গিয়ে ৫টি মারাত্মক ভুল ঘটিয়ে ফেলছে। এই ভুলগুলোর কারণে পরবর্তীতে তরুণ প্রজন্মকে সাংঘাতিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই পাঁচটি ভুল কি কি দেখে নিন ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে ওয়ো রুমে যাওয়ার আগে এই ৫টি ভুল থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন —
১, ওয়ো রুম বুক করার সময় বৈধ নথি জমা দেওয়া –
আজকাল শহরের আনাচে কানাচে একাধিক ওয়ো দেখা যায়। তবে সব ওয়ো নিরাপদ নয়। এমন কিছু ওয়ো রয়েছে, যা অবৈধ এবং বেআইনিভাবে চলছে। এই ধরনের ওয়ো থেকে অবশ্যই সাবধানে থাকুন। এছাড়াও ওয়োতে রূম বুক করার সময় নিজের বৈধ পরিচয় পত্র দাখিল করুন। অনেকেই পরিচয় গোপন করে ওয়ো বুক করেন। এতে করে বিপদের মাত্রা আরো বাড়ে। অনেক সময় ভুল তথ্য দিয়ে ওয়ো বুক করার কারণে সাংঘাতিক বিপদেও পড়তে হয়।
২, সিসিটিভি আছে কি না খতিয়ে দেখুন –
অধিকাংশ ছেলেমেয়ে এই ট্র্যাপে ফেঁসে যান। আজকাল অনেক ওয়ো রুমে, ওয়ো মালিকেরা গোপন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখেন। সেই ক্যামেরার সাহায্যে তরুণ ছেলেমেয়েদের গোপন মুহূর্ত ধারণ করে। আর তারপর সেগুলো দুষ্টু ভিডিওর সাইটে মোটা অংকের বিনিময়ে বিক্রি করেন। আবার কখনো কখনো সিসিটিভিতে ধারণ করা সেই গোপন ভিডিও দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাপলকে ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনাও দেখা গিয়েছে। এই ধরনের ঝামেলা থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই ওয়ো রুমে ঢুকে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি না যাচাই করুন। ভালো করে রাম সার্চ করুন। তারপর নিজেদের গোপন মুহূর্ত উপভোগ করুন।
৩, ওয়ো রুমে যাওয়ার আগে ওয়োর রেটিং দেখুন –
আজকাল ইন্টারনেটে যে কোনো ওয়োর রেটিং দেওয়া থাকে। রেটিং দেখে ওয়ো বুক করুন। তাহলে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
৪, বয়সের প্রমাণপত্র –
সাধারণত, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের ওয়ো রুম দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে নানা রকম জটিলতা দেখা যায়। তবে অনেক ওয়োতে আবার অপ্রাপ্তবয়স্কদের অনায়াসে ওয়ো
রুম দিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে একটু সচেতন হতে হবে। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক কাপল তারা অবশ্যই বয়সের সত্যতা স্বীকার করে তারপর রুম বুক করুন। নইলে আচমকা ধরা পড়লে মান হানি পর্যন্ত হতে পারে।
৫, সুরক্ষিত মেলা মেশা সংক্রান্ত ধারণা – আজকালকার ছেলে মেয়েরা ওয়েস্টার্ন কালচারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে ওয়েস্টার্ন কালচারের সঙ্গে জড়িত থাকলেও তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাববোধ রয়েছে। বিশেষ করে বয়সন্ধিকালের ছেলে মেয়েদের মধ্যে, সঙ্গীর সঙ্গে মেলা মেশা করার নিরাপদ দূরত্ব বা সুরক্ষিত মেলামেশা সম্পর্কে ধারণা অনেক কম। তাই বয়সন্ধিকালের যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা ওয়ো রুমে যাবে, বা যাওয়ার পরিকল্পনা করছ তারা অবশ্যই সুরক্ষিত মেলামেশা সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করবে। প্রত্যেক তরুণ ছেলে মেয়েকে মনে রাখা উচিত একদিনের আনন্দের জন্য যেন গোটা বছর কষ্ট পেতে না হয়।
Leave a Reply