মোবাইল দেখার নেশা

মোবাইল দেখার নেশা সর্বনাশা! জানেন  বাচ্চাদের মোবাইলের নেশার আসক্তি কাটানোর এই মোক্ষম অস্ত্র গুলি সম্পর্কে? মোবাইল দেখে চোখের বারোটা বাজার সাথেই বাড়ছে ভার্চুয়াল অটিজমেরও সংখ্যাও! এখনই জানুন বিশেষজ্ঞদের দেওয়া বেশ কিছু মূল্যবান টিপস!

এখনকার দিনে আট থেকে আশি সকলেই বুঁদ এক  রঙিন দুনিয়ার নেশায়। আর এই নেশা কোন খাদ্য কিংবা পানিয় নয়, তাই মুঠোফোনের এই রঙিন পর্দার নেশা আরওই সর্বনাশা! আঙুলের একটা টাচেই বাচ্চাদের সামনে যে আশ্চর্য দুনিয়া খুলে যায় তার সামনে  দিনের পর দিন ফিকে হয়ে যাচ্ছে বাচ্চাদের রঙিন শৈশব। একটা সময় বাচ্চাদের শৈশব কাটতো খেলার মাঠে, ক্রিকেট-ফুটবল কিংবা অন্যান্য হরেক রকম খেলার মধ্যে।

কিন্তু এখনকার দিনে মোবাইল দেখার নেশায় হারিয়ে যাচ্ছে শিশুদের সুন্দর শৈশব। সেই সাথে প্রভাব পড়ছে বাচ্চাদের স্বাভাবিক কৌতুহল বুদ্ধিমত্তা এবং ক্রিয়েটিভিটির উপরেও। মোবাইল স্ক্রিনের টাইম বাড়ার সাথে সাথে এখন বারোটা বাজছে খুদেদের চোখের-ও। ভার্চুয়াল অটিজমেরও শিকার হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে বাচ্চাদের মধ্যে। তাই  বাচ্চাদের কিভাবে মোবাইল থেকে দূরে রাখা উচিত তা নিয়ে শুরু থেকে সতর্ক হওয়া উচিত প্রত্যেক অভিভাবকদের। আজকের প্রতিবেদনে থাকল এবিষয়ে  বিশেষজ্ঞদের দেওয়া বেশ কিছু মূল্যবান টিপস।

সন্তানকে সময় দিন

কর্মব্যস্ত জীবনে এখন সময়ের বড্ড অভাব। বিশেষ করে মা-বাবা দুজনেই অফিস কিংবা বাড়ির কাজে ব্যস্ত থাকলে সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। তাই বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখতে অনেকেই তাদের হাতে তুলে দেন মোবাইল। ব্যাস এটাই এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে সন্তানকে মোবাইলের নেশা মুক্ত করতে চাইলে বাবা মা’দেরই তাদের সাথে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে হবে।

বাড়ির কাজে ব্যস্ত করুন

বাচ্চাদের মোবাইলের স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য তাদের রান্নাঘরের ছোট খাটো কাজেও ব্যস্ত রাখা যেতে পারে। এমনকী নিজের সাথেই  রান্নার কাজেও  নিতে পারেন। আগুন থেকে দূরে যে কোনও রান্না যেমন স্যান্ডউইচ তৈরি বা বেসিক বেকিং খুদেকে সঙ্গে নিয়ে করলে তা তার মাইন্ড ডাইভার্ট করতে পারে।

দারুণ আকর্ষণীয় রঙ বেরঙের বই আনুন

মোবাইল থেকে বাচ্চা দের মন ঘোরাতে গেলে তাদের নিয়ে যেতে কল্পনার জগতে। এক্ষত্রে বরাবরের জন্য আদর্শ হল গল্পের বই। কিন্তু বাচ্চাদের মোবাইলের নেশা কাটানো সহজ নয় মোটেই,তাই বয়স অনুযায়ী এমন  বই বাছাই করতে হবে যা টানটান রোমহর্ষক গল্পের মতোই আকর্ষণীয় হবে। একবার আগ্রহ তৈরী হলে  অবসর সময়ে সে নিজে থেকেই গল্পের বই পড়বে।

হাতের কাজ

বাচ্চাদের মাথায় সারাক্ষণ গিজগিজ করছে ক্রিয়েটিভ আইডিয়া। তাই তাদের এই ক্রিয়েটিভিটিকে কাজে লাগানোর জন্যই বিভিন্ন ধরণের  DIY আর্ট প্রজেক্টের কাজে খুদেকে সাহায্য করতে পারেন বাবা-মায়েরা। যেমন খুদের সাহায্য নিয়েই বানানো যেতে পারে একটা টেবিল ক্যালেন্ডার। ক্রিয়েটিভিটিতে একবার আগ্রহ তৈরী হলে মোবাইলের প্রতি আকর্ষণ কমবে বাচ্চাদের।

খেলাধুলার প্রতি বাড়ান আকর্ষণ

খুদের প্রিয় জিনিস লুকিয়ে তাকে ট্রেজার হান্টের মতো ধাঁধাও সমাধান করতে দিতে পারেন। এতে প্রিয় জিনিস খোঁজার নেশায় পাজল সলভেও মাথা খাটাবে খুদে। এছাড়া বিভিন্ন বোর্ড গেম কিনে তাতেও শিশুর আগ্রহ তৈরী করতে পারেন।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *