এবার কারখানায় তৈরি হবে ফুটফুটে বাচ্চা! যাকে জন্ম দেবে রোবট, কৃত্রিম গর্ভে বেড়ে উঠবে সেই বাচ্চা!
এবার কারখানায়
তৈরি হবে ফুটফুটে বাচ্চা!
যাকে জন্ম দেবে রোবট!
কৃত্রিম গর্ভে বেড়ে উঠবে সেই বাচ্চা!
১ টি বা ২ টি নয়,
একসাথে জন্ম নেবে ৩০ হাজার বাচ্চা!
হাঁস , মুরগির মতই
কারখানায় ফুটবে মানব ডিম!
তৈরি হল প্রথম বাচ্চা
তৈরির আস্ত কারখানা!
এখানে বাচ্চা জন্ম দিতে
না লাগবে মা, না লাগবে বাবা!
থাকবে না, “ন” মাসের কষ্ট!
পুরুষের সাহায্য ছাড়াই
অনায়াসেই তৈরি হবে জীবন্ত শিশু!
কেমন শিশু চাই আপনার?
যেমনটা চাইবেন তেমনটাই পেয়ে!
মনের মত কাস্টমাইজ করেই
বানিয়ে নিতে পারবেন আপনার পছন্দের শিশু!
ছেলে থেকে মেয়ে,
কালো থেকে ফর্সা,
লম্বা থেকে খাটো,
মেধাবী থেকে বুদ্ধিমান!
ঘরে ঘরেই তৈরি হবে এই সুপার বেবি!
এমন নজিরবিহীন শিশু চাইলে,
অনায়াসেই দিতে পারেন অর্ডার !
কত পরবে খরচা?
কত দিনই বা লাগবে তৈরি হতে?
কোথায় আছে এমন আজব কারখানা ?
জানুন
এবার শেষ হতে চলল মায়ের সঙ্গে সন্তানের নাড়ির টান। নিজের গর্ভে শরীরের রক্ত-মাংস নিয়ে তিলে তিলে সন্তান গড়ে তোলার দিন আর থাকবে না। বদলে যাচ্ছে ভবিষ্যতে সন্তান জন্ম দেওয়ার পদ্ধতি! বিজ্ঞানের দৌলতেই এবার পাল্টে যাচ্ছে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার চিরন্তন ধারণা! এবার থেকে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য আর দরকার পড়বে না মায়ের। এবার দরকার পড়বে কেবল প্রযুক্তির! সম্পূর্ন কৃত্রিম গর্ভেই বেড়ে উঠবে সন্তান। মায়ের শরীরের গন্ধ ছাড়াই এবার থেকে বাচ্চা জন্ম নেবে গবেষণাগারে। অর্থাৎ ‘বাচ্চা তৈরির কারখানায়’। যেখানে পেয়ে যাবেন মনের মত নিখুঁত ও রোগমুক্ত শিশু। বাবা মায়েরা চাইলে ইচ্ছামতো সেই সন্তানের রূপ বদলে দিতে পারবেন। আপনার পছন্দের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে শিশু। এই শিশুগুলোর থাকবে না কোনও অসুখ। জন্মের জন্য করতে হবে না কোনও প্রকার লড়াই। সম্প্রতি ৮.৩৯ এমনটাই দাবি করলেন বার্লিনভিত্তিক ইয়েমেনের বিজ্ঞানী ও কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র নির্মাতা মলিকিউলার বায়োটেকনোলজিস্ট হাশেম আল-ঘাইলি। তিনি একটি ভিডিওতে গোটা বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বর্ণনাও করেছেন। তার বর্ননা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে একটি বাচ্চা তৈরীর কারখানা নির্মিত হবে। যেখানে হাজার হাজার কাচের গোলকের মতো কিছু যন্ত্র থাকবে। আর তারই ভেতরে তৈরি হবে মানবশিশু। এটিই হবে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম প্রজনন কারখানা। নির্মাতা হাসেম তার কল্পনাপ্রসূত এই গবেষণাগারটির নাম রেখেছেন এক্টোলাইফ।
তিনি আরো জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে বাচ্চা জন্মানোর যে কারখানাটি তৈরি হবে, সেখানে থাকবে মোট ৭৫টি কক্ষ। প্রতিটি কক্ষে থাকবে ৪০০টি কৃত্রিম গর্ভ বা বেবি পড । গবেষণাগারটিতে একই সঙ্গে মোট ৩০ হাজার শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে। ৭৫টির বেশি ল্যাবরেটরিতে থাকবে চার শতাধিক কৃত্রিম গর্ভ বা গ্রোথ পড । গোল গোল কাচের বাক্সের মতো যন্ত্রই হলো সেই গর্ভ যেখানে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হবে। এই কৃত্রিম গর্ভের ভেতর আইভিএফ পদ্ধতিতে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে তৈরি করা হবে ভ্রূণ। জন্মের আগ পর্যন্ত শিশুর রক্তচাপ থেকে হৃদস্পন্দন, সবই মাপা যাবে এই যন্ত্রে। হঠাৎ কেন এই আবিষ্কার? বিজ্ঞানীর দাবি অনুযায়ী, প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে লাখ লাখ মহিলার প্রাণ যায় সন্তান প্রসব করতে গিয়ে। সেই সাথেই বিভিন্ন জটিলতায় প্রাণ ক্ষয় হয় বহু নবজাতকেরও। সেই লক্ষ্যেই এই নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার। এছাড়াও অত্যাধুনিক এই পদ্ধতির সাহায্যে নিজের সন্তানের মধ্যে বাবা-মা কোন কোন গুণ দেখতে চান তা-ও ঠিক করা যাবে শিশুর জন্মের আগেই। কৃত্রিমভাবে জিনগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ঠিক করা যাবে হবু সন্তানের গায়ের রং, উচ্চতা শারীরিক গঠন, গলার স্বর কিংবা বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়গুলো। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জিনগত রোগও নির্মূল করা যাবে এই পদ্ধতিতে।
জানিয়ে রাখি, নয়া এই শিশু জন্মের পদ্ধতিতে ভোগ করতে হবে না ন মাসের কাতর যন্ত্রণা। পুরোপুরি কৃত্রিম গর্ভ থেকেই বাচ্চাদের সরাসরি পৃথিবীর আলো দেখাবেন গবেষকরা। এখান থেকে জন্ম নেওয়া শিশুগুলোর এতটাই সুপার পাওয়ার সম্পন্ন হবে যা তাক লাগাবে গোটা বিশ্বকে। শিশু নয় এরা হবে একেকটা মেশিন! এদের বুদ্ধিমত্তাকে শান দিয়ে করা হবে প্রখর। মাত্র কিছু সময়! এরপরেই ঘরে ঘরে থাকবে এমন সুপার-বেবি। তবে গোটাই বিষয়টি নিয়ে সন্ধিহান একাংশ! অনেকেরই প্রশ্ন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সন্তান উৎপাদন , বিষয়টি যেমনটা কল্পনা করা হচ্ছে তেমনটা কি আদৌ বাস্তবায়ন সম্ভব?
Leave a Reply