শুভশ্রী গাঙ্গুলীর সতীনকে চেনেন? যিনি রূপে, গুনে শুভশ্রীকে দশ গোল দেবেন, বিচ্ছেদের পর এখন কোথায় আছেন তিনি?

শুভশ্রী গাঙ্গুলীর সতীনকে চেনেন? যিনি রূপে, গুনে
শুভশ্রীকে দশ গোল দেবেন, বিচ্ছেদের পর এখন কোথায় আছেন তিনি?

শুভশ্রী গাঙ্গুলীর
সতীনকে চেনেন?

যিনি রূপে, গুনে
শুভশ্রীকে দশ গোল দেবেন!

ইনিই ছিলেন রাজের
জীবনের প্রথম নারী!

যার হাত ধরে
গরীব থেকে রাজা হয়েছেন রাজ চক্রবর্তী!

বিচ্ছেদের পর
এখন কোথায় আছেন তিনি?

কিভাবে চালাচ্ছেন সংসার?

টলিউড মানেই এখন রাজ চক্রবর্তী! বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে যতজন নামী পরিচালক রয়েছে তাদের মধ্যে রাজ অন্যতম। সারা বছরই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়ায় রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত সিনেমা। পরিচালক ছাড়াও রাজ চক্রবর্তীর আরো একটি পরিচয় হলো তিনি সুন্দরী অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীর প্রাণপ্রিয় স্বামী। বর্তমানে তিনি দুই সন্তান নিয়ে শুভশ্রীর সঙ্গে ভালই সংসার করছেন। তবে শুভশ্রী কিন্তু রাজ চক্রবর্তীর জীবনে প্রথম নারী নন। শুভশ্রীর আগেও আরো এক মহিলার গলায় তিনি মালা দিয়েছিলেন।

তিনি হলেন শতাব্দী মিত্র। পরিচালক রাজের প্রথম বউ। রাজের জীবনে টিকে থাকার লড়াইয়ে সাক্ষী ছিলেন এই মানুষটি। তাদের গল্পের শুরু ২০০০ সালে,,, দুজনেই তখন অল্প বয়সী। একটি টেলিভিশন শোতে দুজনের প্রথম দেখা,,,, সেই থেকে বন্ধুত্ব আর ধীরে ধীরে প্রেম । শতাব্দী এতোটাই সুন্দরী ছিলেন যে তরুণ রাজ এক দেখাতেই তার প্রেমে পড়ে যায় । যদিও রাজ চক্রবর্তী তখন একজন বেকার ছেলে টলিপাড়ায় নিজের মাটি শক্ত করার জন্য অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। না আছে মাথার ওপর ছাদ,,, না আছে পকেটে পয়সা তা সত্বেও এই সব কিছুকে পাত্তা না দিয়েই তার সাথে ঘর বাঁধার প্রতিশ্রুতি নেয় এই তরুণী ।

শতাব্দী ছিলেন বেহালার সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে,, রাজ থাকতো তখন টালিগঞ্জের একটি এক কামরার ফ্ল্যাটে তাও আবার বন্ধুর ফ্ল্যাট। রাজকে দেখার জন্য বেহালা থেকে টালিগঞ্জ অবধি ছুটে আসতেন এই তরুণী, সেই সময় দুজনের মাখো মাখো প্রেম । অনেক সময় অর্থের অভাবে দোটানায় পড়তে হতো রাজকে,, আর সেই অর্থের যোগান দিতেন শতাব্দী, এমনকী প্রেমিকের প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় সব জিনিস বলার আগেই হাতের সামনে ধরিয়ে দিতেন তিনি । কিন্তু রাজের সাথে এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি শতাব্দীর পরিবার,, কারণ তখনো রাজের সঠিক কোনো আয় উৎপত্তি ছিলো না । একপ্রকার মেয়ের জেদের কাছে নত হতে হয় তার পরিবারকে। এরপর ২০০৬ সালে দুজন নিজের পরিবারের মতে বিয়ে করেন । বিয়ের পর যেনো রাজ চক্রবর্তীর কপাল খুলে যায় , বিয়ের ঠিক দু – বছরের মাথায় প্রথম পরিচালক হিসেবে কাজ করেন “চিরদিনই তুমি যে আমার ” মুভিতে। আর প্রথম সিনেমায় তিনি তার সাফল্যের প্রথম ধাপ পার করেন । এরপর চ্যালেঞ্জ, লে ছক্কা ,দুই পৃথিবী , প্রেম আমার সিনেমায় পরিচালক হিসেবে একের পর এক সফলতা অর্জন করেন । আর এই সফলতা পাওয়ার পরই যেনো বদলে যায় দুজনের সম্পর্কের সমীকরণ। তথ্য সূত্রে জানা যায়,,একের পর এক সম্পর্কে জড়াতে থাকেন রাজ।কখনো পায়েল তো কখনো মিমি , আবার কখনো শুভশ্রী। রাজের এই ভোলবদল শতাব্দীর মনে দাগ কাটে। রাজের সাথে এই নিয়ে কথা বলতে গেলেই বাকবিতণ্ডা শুরু হয় । স্বামীর এই বিশ্বাসঘাতকতা মানতে পারে না সরল সাদা সিধে শতাব্দী। শেষ পর্যন্ত ২০১১ এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দুজনে ডিভোর্স দেয়। রাজের সাথে বিচ্ছেদের পর তিনি পাড়ি দেন বিদেশে । তারপর থেকে তাঁর সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি ।

কিন্তু অন্যদিকে শতাব্দীর সাথে ছাড়াছাড়ির পর রাজ শুভশ্রীকে বিয়ে করেন । পাঁচ বছর হতে যায় এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তারা সংসার করছেন ,,,টলিপাড়ায় তারা দুজন এখন হ্যাপি কাপেল ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *