জানেন কাদের অপকর্মে মুখ পুড়ছে মমতার? মান কমছে তৃণমূলের? ৫ ব্যাক্তির ৫ অপকর্মে, চুন কালি জোড়াফুলে
জানেন?
আজ কাদের অপকর্মে
মুখ পুড়ছে মমতার?
মান কমছে তৃণমূলের?
৫ ব্যাক্তির ৫ অপকর্মে
চুন কালি জোড়াফুলে
TMC’কে ধিক্কার
ছিঃ ছিঃ, ছ্যা ছ্যা!
তালিকায় রয়েছে তৃণমূলের
হেভিওয়েট নেতৃবৃন্দ!
যাদের নাম শুনলেই,
চমকে যাবেন!
চলুন দেরী না করে শুরু যাক!!
বাংলার হান্টের আজকের প্রতিবেদনের জানাব টিএমসির দুর্নীতিগ্রস্ত পাঁচ হেভি ওয়েট ব্যক্তির নাম –
২০২২ থেকে ২০২৩ সাল, তৃণমূলের জন্য সবচেয়ে অভিশপ্ত দুটি বছর। এই দু বছর একে একে জেলে ঢুকেছে ঘাসফুল শিবিরের একাধিক হেভিওয়েট নেতা। যারা বঙ্গ রাজনীতির বড় বড় মাথা হিসেবে পরিচিত! এই মানুষগুলোই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হয়ে এখন জেলের ঘানি টানছেন। এদের কারণেই TMC’র নাম ডুবতে বসেছে। অবশ্য ডুবতে বসেছে বললে ভুল হবে ,,, ইতিমধ্যেই শাসক শিবির টিএমসির মান সম্মান ধুলোয় লুটোপুটি খাচ্ছে!! বাংলার মানুষ বাংলার শাসকদলের উপর ভরসা ও বিশ্বাস হারিয়েছে,,,,, আর যারা এখনো বিশ্বাস হারায়নি তারাও বিশ্বাস হারানো পথেই এগোচ্ছেন!
আর এই সবের জেরে কটাক্ষের মুখ পড়ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এক নজরে দেখুন ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জেলে যাওয়া টিএমসির হেভিওয়েট ৫ ব্যক্তির তালিকা-
এক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ঃ ২০২২ সালের সবচেয়ে চর্চিত নাম। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। ২৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সে বছরই ২৩ জুলাই পার্থকে আটক করে গোয়েন্দা আধিকারিকেরা। শুধু পার্থই নয়, গ্রেপ্তার করা হয় তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতাকেও। দুজনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অগাধ কালো টাকা ও নিয়োগ পত্র। যেখান থেকে স্পষ্ট প্রমাণ মেলে যে নিয়োগ দুর্নীতিতে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত পার্থ ও অর্পিতা। আপাতত জেলেই রয়েছেন দুজনে। এখনও তদন্ত চলছে।
দুই, অনুব্রত মণ্ডলঃ ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর আটক হন বীরভূমের বাদশা ওরফে অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় ফেঁসে যায় তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। অবৈধ সম্পত্তি, বেহিসেবি লেনদেনের জেরে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি আধিকারিকেরা। বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে গ্রেফতার তার একমাত্র মেয়ে সুকন্যা। দুজনেই প্রাণপন লড়ছেন জেল থেকে ছাড়া পেতে।
তিন, জীবন কৃষ্ণ সাহাঃ ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল ইডির জালে ধরা পড়ে মুর্শিদাবাদের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। চাকরি দুর্নীতিতে বড়সড় মাথা এই মানুষটি। জীবন কৃষ্ণের বাড়ি থেকে প্রায় ৩,৪০০ চাকরি প্রার্থীর নথি উদ্ধার হয়। চাকরি প্রার্থীদের চাকরির লোভ দেখিয়ে নানাভাবে ঠকানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
চার, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রঃ কালী ঘাটের কাকু নামে পরিচিত। কিন্তু তার ভালো নাম সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। ইনি অবশ্য কোনও নেতা নন। তবে ওঠা বসা করতেন নেতাদের সঙ্গেই। নিয়োগ দুর্নীতিতে বেশ ভালো ভাবেই জড়িয়েছেন তিনি। এক সময় অভিষেক ব্যানার্জির সাথে লিপ্স এন্ড বাউন্স কোম্পানি পরিচলনা করতেন। যে কোম্পানির নামে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ রয়েছে। ইনিও নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হন। ২০২৩ সালের ৩০ মে ইডির জালে ধরা পড়েন সুজয় কৃষ্ণ।
পাঁচ, কুন্তল ঘোষঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি আটক হন কুন্তল ঘোষ। একাধিক অভিযোগ রয়েছে কুন্তলের বিরুদ্ধে। কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একাধিক স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির নথিপত্র। যার সঙ্গে তার আয়ের কোনও সঙ্গতি নেই। এছাড়াও তার বাড়ির সামসিট থেকে চাকরি প্রার্থীদের খাম , ও এম আর শিট পাওয়া যায়। যেখান থেকে ইডির হাতে প্রমাণ মেলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের যোগসূত্রের বিষয়টি।
Leave a Reply