৯টি শৈল শহরের নাম

গেলেই পাওয়া যাবে বরফ! শীতকালে ভারতের এই ৯ জায়গায় গেলে আর নিরাশ হতে হবে না! বরফ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত! জানুন স্বর্গের মতো সুন্দর এই  ৯টি শৈল শহরের নাম!

ঘুরতে যাওয়া যদি বাঙালির নেশা হয়! পাহাড় তাহলে প্রেম! আর শীতকালে পাহাড় মানেই বরফ খোঁজেন সবাই। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না ঠিক কোন সময়ে, কোন শহরে গেলে মিলবে একটু বরফের দেখা! পেঁজা তুলোর মতো বরফ চাক্ষুষ দর্শন করার জন্যই চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় থাকেন পর্যটকরা। আজ আপনাদের জানাবো ভারতের এমনই ৯ টি শৈলশহরের নাম যেখানকার বরফের চাদরে ঢাকা তুষারপাত দেখলেই ভরে যাবে মন-প্রাণ!

বমডিলা: এখনকার দিনে অফবিটের হিড়িক! তুষারপাত উপভোগ করার জন্য এমনই একটি আদর্শ অফবিট জায়গা হল অরুণাচল প্রদেশের বমডিলা। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে তুষারপাত হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে। তবে এই  প্রত্যন্ত এলাকায় যাওয়ার আগে অবশ্যই আবহাওয়া, হোটেল এবং লোকাল ট্যুর গাইডের সঙ্গে কথা বলে যাওয়াই ভাল।

তাওয়াং : বমডিলা ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশের আরও একটি মনোরম সুন্দর জায়গা হল তাওয়াং ভ্যালি। যা বমডিলা থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই তাওয়াং ভ্যালিও তুষারপাতের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও এখানেই রয়েছে এশিয়ার সবথেকে পুরনো মনেস্ট্রি ‘তাওয়াং গান্দেন নামগিয়াল লাৎসে’।

স্পিতি ভ্যালি: শীতের দিনে হিমাচল প্রদেশের স্পিতি ভ্যালি যেন উইন্টার ওয়ান্ডারল্যান্ড। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি এখানে টানা তুষারপাত হয়। তাই এই তুষারপাতকে কেন্দ্র করেই স্পিতি ভ্যালিতে অনেক ধরনের  অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের ব্যবস্থা করা হয়। তাই অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য শীতকালে ঘুরতে যাওয়ার আদর্শ জায়গা হল এই স্পিতি ভ্যালি।

সিমলা: ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি শীতকালে পাহাড়ে যায়ই বরফ পাওয়ার আশায়। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে প্রত্যেকেরই প্রথম পছন্দের ডেস্টিনেশন  হল হিমাচল প্রদেশের সিমলা। তুষারপাতের আনন্দ পেতে চাইলে শীতকালে অন্তত একবার যেতেই হবে সিমলায়।

লাচুং: শৈল শহর সিকিমের লাচুং হল নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্যে মোড়া ভারতের আরও একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। উচ্চতার জন্য লাচুং-এর ঠান্ডা সমতলের তুলনায় অনেক বেশি। শীতকালে লাচুং-এর টেম্পারেচর একেবারে মাইনাসে নেমে যায়। তাই তুষারপাত উপভোগ করার জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা হল লাচুং।

 

আউলি – ট্রেকিং, হাইকিং-এর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি জায়গা হল আউলি।এখান থেকেই একটা গাড়ি করেই যাওয়া যায় জোশিমঠ। এই জোশিমঠ থেকেই  শুরু হয় ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স ট্রেক। তুষারপাতের জন্য বিশেষ করে স্কিং জাতীয় স্নো স্পোর্টসের জন্য আউলি একেবারে আদর্শ। আউলির ঢালু পাহাড়ি রাস্তা তুষারপাতের পর হয়ে ওঠে স্কি করার জন্য আদর্শ।

 

 

শ্রীনগর: ভূস্বর্গের ভেতরেই রয়েছে নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্যে মোড়া  শ্রীনগর। যার  সৌন্দর্য এককথায় অবর্ণনীয়। শীতকালে এখানে তুষারপাতের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

 

পহেলগাঁও: হাতে সময় থাকলে কাছে পিঠের পহেলগাঁও থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। প্রচন্ড তুষারপাতের কারণে পহেলগাঁও সাদা বরফের চাদরে মোড়া থাকে। পহেলগাঁও-এর এই অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখলেই জুড়িয়ে যায় প্রাণ।

 

মানালি: ভারতের বিখ্যাত পাহাড়ি রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম মানালি। শীতকালে এই মনালিই হয়ে ওঠে পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *