কোন কোন লক্ষণগুলি পুরুষদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় !!

কোন কোন লক্ষণগুলি পুরুষদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় !!

পুরুষদের শরীরে এই পাঁচটি লক্ষণ
ক্যান্সারের অন্যতম কারণ

ভুলেও এগুলিকে
অবহেলা করবেন না

না হলে জীবনে
ধেয়ে আসবে বিপদ

ক্যান্সার এমন একটি মারণ ব্যাধি যার নাম শুনলে সকলের হাড় হিম হয়ে যায়। এই মারণব্যাধির সঠিক কোন উপশম এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এমনকি মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। যদিবা প্রথম থেকে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারলে এই রোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দেরি হয়ে গেলে আর ডাক্তারদের কিছু করার থাকে না । তাই প্রথম থেকেই ক্যান্সার নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত । অনেকে ক্যান্সারের লক্ষণ গুলিকে প্রথম থেকে গুরুত্ব দেন না। বিশেষ করে পুরুষরা এই বিষয়ে গুলিকে অবজ্ঞা করে থাকেন । ক্যান্সারের লক্ষণ গুলিকে দেখেও সাধারণ লক্ষন ভেবে অবহেলা করেন । কিন্তু এই সাধারণ লক্ষনই পুরুষদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় । বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন পুরুষদের ক্ষেত্রে এই পাঁচটি লক্ষণ দেখা দিলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা থাকে । এই পাঁচটি লক্ষন কি কি দেখে নিন ——-

প্রথম লক্ষণটি হল দীর্ঘক্ষণ ধরে কাশি হওয়া:

অনেক সময় দেখা যায় , অনেকক্ষণ ধরে কাশি শুরু হয়েছে কিন্তু থামার নাম নেই । কাশতে কাশতে পেটেব্যথা,বুকেব্যথা শুরু হয়ে যায় । অনেকদিন ধরে এমন কাশি চলতে থাকলে ডাক্তারী পরামর্শ নেওয়া উচিত। অনেকে সাধারণ ঠান্ডার কাশি বলে অগ্রাহ্য করেন , কিন্তু এই লক্ষন অনেকসময় ক্যান্সারের লক্ষন হয়ে দাঁড়ায় । বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের কাশি ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ। বিশেষ করে যারা ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।

দ্বিতীয় লক্ষণটি হল লজ্জা স্থানে পরিবর্তন:

এই বিষয়টি বিশেষ করে নজরে রাখা উচিত কারণ অনেকে পুরুষই লজ্জার কারণে তাদের নিচের অঙ্গের পরিবর্তনের কথা প্রকাশ করতে পারে না । অনেক সময় তাদের লজ্জাস্থানে অতিরিক্ত মাংসপিন্ড সৃষ্টি হয় । এবং এর ফলে তাদের সেই স্থানের আকারের পরিবর্তন ঘটে। যা মোটেও ভালোলক্ষণ নয়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে এই পরিবর্তন আসলে ক্যান্সারের আভাস।

তৃতীয় লক্ষণটি হল অত্যাধিক ক্লান্তি :

এমনিতেই পুরুষেরা শক্ত সবল প্রকৃতির হয় তাই হাজার কাজ করেও এদের মধ্যে ক্লান্তি কম আসে । কিন্তু গবেষকদের মতে যে সমস্ত পুরুষদের শরীরে ক্লান্তির ভাব বেশি তাদেরর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা সাধারণ কিছু কাজ করেও হাঁপিয়ে যাচ্ছে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে এমনকি ধীরে ধীরে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ছে চোখের তলায় কালি পড়তে শুরু করেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই লক্ষণ গুলি শরীরে দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারী পরামর্শ নেওয়া উচিত ।

চতুর্থ লক্ষণটি হল ত্বকের পরিবর্তন:

হঠাৎই মুখে কালচে কালচে দাগ সৃষ্টি হওয়া, এলার্জি ছাড়াই মুখ লাল হয়ে যাওয়া এগুলি ক্যান্সারের লক্ষণ। ত্বকের পরিবর্তন হচ্ছে বলে তা শুধু ত্বকের ক্যান্সার হবে এমনটা কখনো নয় । কারণ অনেক সময় এই লক্ষণ গুলি শরীরে অন্য কোনো অঙ্গের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

পঞ্চম লক্ষণটি হল মুখে অরুচি ভাব :

খেতে অরুচি অনেক রোগের কারণ হলেও,, এই লক্ষণ অনেক সময় ক্যান্সারের মত মরন ব্যাধির কারণ হয়ে ওঠে । বিশেষজ্ঞদের মধ্যে পাকস্থলীতে ক্যান্সার হলে এই লক্ষণটি দেখা যায়। যে কোন খাবার দেখলেই রোগীরা নাক সিটকাতে থাকে এবং বমির প্রবণতাও দেখা যায় তাদের মধ্যে । একমাসের ওপর এই লক্ষণ দেখা দিলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

এই পাঁচটি লক্ষণ দেখা মাত্রই অবশ্যই চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন এবং চিকিৎসকদের এই সমস্ত লক্ষন গুলোর কথা জানান। অনেকে আতঙ্কে চিকিৎসকদের কাছ থেকে শারীরিক লক্ষণ গুলি লুকিয়ে রাখেন। তাই এই আতঙ্ককে দূরে রেখে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন। এই বিষয়গুলিকে যদি আপনি অবহেলা করেন তাহলে আখের আপনারই ক্ষতি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *