ক্যানসারের ঝুঁকি কাদের বেশী ছেলেদের নাকি মেয়েদের!!!!!

ক্যানসারের ঝুঁকি কাদের বেশী ছেলেদের নাকি মেয়েদের!!!!!

পুরুষদের জন্য ক্যান্সার
হয়ে উঠেছে ভয়ানক

মহিলারা নয়
ক্যান্সার আক্রান্তে এগিয়ে পুরুষরা !!!

এই মারণ রোগের ছোবলে
প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার পুরুষ!!!

পৃথিবীতে সবথেকে ভয়ঙ্কর রোগ হলো ক্যান্সার। এই মারণ ব্যাধি কখন যে কার শরীরে বাসা বেঁধে ফেলে তা কেউ টের পায় না। আর যারা এর কবলে একবার পরে তারাই বুঝতে পারে এর জ্বালা কতোটা যন্ত্রণাদায়ক । বিশ্বের সিংহ ভাগ মানুষ এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। তাই বিশ্বের বড় বড় ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা প্রতিনিয়ত এই মারণ রোগ নিয়ে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন । সম্প্রতি ক্যান্সার নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য । তথ্যে জানা গেছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ক্যান্সার আক্রান্তের প্রবণতা অনেক বেশী। এবং এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও মেয়েদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা, ৫০-৭১ বছর বয়সী বেশ কিছু পুরুষ ও মহিলাদের ওপর গবেষনা করেন । আর গবেষনার সময় ২১ ধরণের ক্যান্সার নিয়ে পরীক্ষা – নিরীক্ষা শুরু করেন । এবং তাতে দেখা যায় স্ত্রীদের তুলনায় পুরুষদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুন বেশি । শুধু তাই নয় ঠিক কি কি কারণে কোন কোন ক্যান্সারের ঝুঁকি ছেলেদের সব থেকে বেশি সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন গবেষকরা। ২১ রকেমের ক্যান্সারের মধ্যে বিশেষ কিছু ক্যানসারের নাম গবেষকরা বলেছেন যা একমাত্র পুরুষদের শরীরের অত্যাধিক বেশি দেখা যায়। কোন কোন ক্যান্সারের ঝুঁকি কি কারণে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি তা একঝলকে দেখে নিন —–

১) পাকস্থলীতে ক্যান্সার:

গবেষকরা জানিয়েছেন, মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি ১০.৮ গুন বেশি।এর কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, ছেলেদের খাদ্যাভ্যাসে বিশৃঙ্খলা করা । বেশিরভাগ ছেলেরা কাজের চাপে খেতে ভুলে যান । সকালের জলখাবার থেকে শুরু করে রাতের খাবার সবেতেই অবহেলা লেগেই থাকে তাদের । সময়ের খাবার সময় মতো পেটে না যাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে পরিপাক ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। দিনের পর দিন একই কাজ চলতে থাকার ফলে একসময় পাকস্থলীর মধ্যে থাকা রস যার দ্বারা খাবার পরিপাক হয় তা নিঃসরণ করা বন্ধ হয়ে যায়, ফলে পাকস্থলিতে ক্যান্সার দেখা দেয়। এদিকে মহিলারা বরাবরই নিজেদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সচেতন যদিও আজকালকার বেশিরভাগ মহিলারা বিভিন্ন কাজে যুক্ত ,,,,,,পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারাও অফিসের জন্য ছোটে,,,, কিন্তু তাই বলে ছেলেদের মত খাবারে অনিয়ম এরা করে না,,,,,,যার ফলে এদের শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে না। আর পুরুষদের নিত্যদিনের এই বদ অভ্যাসই শরীরে ক্যান্সার ডেকে আনে।

২) গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার :

এই ক্যান্সারেও ছেলেরা মেয়েদের থেকে এগিয়ে । নারীদের থেকে ছেলেদের শরীরে প্রায় ৩.৫ গুন বেশি গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের প্রবনতা রয়েছে। গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার তখনই হয় যখন পেটে খাবারের হজম ক্ষমতা কমে যায় । পুরুষদের হজম ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণ হলো অত্যাধিক বাইরের খাবার গ্রহণ করা। বিশেষ করে কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করা পুরুষ বা অত্যাধিক পরিশ্রম করা পুরুষরা স্ট্রেস রিলিফ নেওয়ার জন্য ফাস্টফুড খেয়ে থাকে। তবে এক দুদিন বাইরের খাবার খেলে খুব একটা অসুবিধা না হলেও , দিনের পর দিন ফাস্টফুড খেতে থাকলে একসময় তা শরীরে গিয়ে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। গবেষকদের মতে ফাস্টফুড শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর, কারণ এই খাবার গুলোতে যে সব মশলা মেশানো হয় তা শরীরে গিয়ে বিষক্রিয়া শুরু করে, এবং ধীরে ধীরে পেটের হজম ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, এবং শরীরে পুষ্টি গ্রহণ ক্ষমতাও হ্রাস পায়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে অধিকাংশ পুরুষরা বেশিরভাগ সময় বাইরে খেয়ে কাটিয়ে দেন ।যার ফলে পুরুষদের শরীরে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অন্যদিকে মেয়েরা এই বিষয়ে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করে , বাইরের খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে , বিশেষ করে যারা নিজেদের স্বাস্থ্য এবং ওজন নিয়ে ভীষণ সচেতন তারা তো বাইরের খাবার খায় না বললেই চলে , মেয়েরা ঘরের খাবারকেই প্রাধান্য দেয় , ফলস্বরূপ এদের হজম ক্ষমতা সবসময় ঠিক থাকে এবং ক্যান্সার হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায়। মহিলাদের সাথে পুরুষদের খাদ্যাভ্যাসে পার্থক্য থাকার জন্যই ছেলেরা সহজে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।

৩) ফুসফুস ক্যান্সার:

যে সমস্ত পুরুষরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাদের মধ্যে অধিকাংশ পুরুষই ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। স্ত্রীদের তুলনায় ছেলেদের এই ক্যান্সারের প্রবনতা ৩.২ গুন বেশি। এই ক্যান্সারের মূল কারণ হলো অত্যাধিক ধূমপান। আর এই অত্যাধিক ধূমপানের অভ্যাস পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। মহিলাদের মধ্যে এই স্বভাব খুব একটা দেখা যায় না। ছেলেরা নিজেদের মানসিক চাপ দূর করার জন্য ঘন ঘন ধূমপান করতে থাকে । বিশেষজ্ঞদের মতে ঘন ঘন ধূমপান শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক । কারণ সিগারেটের মধ্যে যে বিষাক্ত পদার্থ থাকে তা ফুসফুসে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি করে । আর পুরুষদের এই অত্যাধিক ধূমপানের ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।

৪) প্রোস্টেট ক্যান্সার:

এই ক্যান্সারটি মূলত ছেলেদের শরীরেই দেখতে পাওয়া যায়। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি ৫০ বছর বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে । ছেলেদের লজ্জাস্থানে এই ক্যান্সারটি দেখা যায় । এই ক্যান্সারের সঠিক কোন কারণ গবেষকরা না দিতে পারলেও,,,,, তাদের ধারণা অনুসারে , পুরুষদের দৈনন্দিন জীবনে অনিয়ম এবং প্রতিনিয়ত উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার এবং ফ্যাট যুক্ত খাবার গ্রহণ করা এই ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনকি জিনগত বা বংশগত কারণেও এই রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *