শীতকালে স্নান করার সময়, এই ৫টি ভুল কক্ষনও করবেন না! এক্ষুনি বন্ধ করুন, এই ভুল কাজগুলো করা! নাহলেই সর্বনাশ

শীতকালে স্নান করার সময়, এই ৫টি ভুল কক্ষনও করবেন না! এক্ষুনি বন্ধ করুন, এই ভুল কাজগুলো করা! নাহলেই সর্বনাশ

শীতকালে স্নান করার সময়,
এই ৫টি ভুল কক্ষনও করবেন না!

এক্ষুনি বন্ধ করুন,
এই ভুল কাজগুলো করা!

নাহলেই সর্বনাশ!
বাঁচার রাস্তা পাবেন না!

হার্ট অ্যাটাক থেকে
চামড়ায় ক্যান্সার থাবা বসাবে শরীরে!

দেখুন এই ৫টি ভুল
কি কি

শীতকাল মানেই স্নান করা নিয়ে এক মহা যুদ্ধ! এক পক্ষ বলেন,, শীতকালে স্নান করবেন,,, আরেক পক্ষ বলেন শীতকালে স্নান করবেন না!! তবে শীতকালে স্নান করা নিয়ে যতই বাকবিতন্ডা থাকুক না কেন,,, বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু শীতকালে স্নান করেন!! গরমকালের মতন শীতকালেও ঝমঝমিয়ে জল ঢেলে অনেকেই গা ভেজান।। আর এখানেই ঘাপটি মেরে থাকে বিপদ! কিভাবে জানেন? তাহলে শুনুন, গরমকালে ও শীতকালের স্নান করার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। শীতকালে স্নান করার সময় পাঁচটি ভুল কোনোভাবেই করা যাবে না। অথচ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই শীতকালে স্নান করার সময় এই বিশেষ ৫টি মারাত্মক ভুল করে বসেন! যার খেসারতও সাংঘাতিকভাবে দিতে হয়। বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ শীতকালে স্নান করতে গিয়ে এই পাঁচটি ভুলের শিকার হয়ে প্রাণ পর্যন্ত হারান! চিকিৎসক থেকে শুরু করে গবেষকরা শীতকালে স্নান করার সময় এই পাঁচটি ভুল থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ঝটপট দেখে নিন ভুলগুলো কি কি

প্রথম ভুলটি হল স্নান করার সময় প্রথমেই মাথায় জল ঢালা –

অধিকাংশ মানুষ শীতকালে স্নান করার সময় এই ভুলটি করে থাকেন। বাথরুমে ঢুকে মাত্রই সটান মাথার উপর জল ঢেলে দেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে মানুষের শরীরের রক্ত অধিক গরম থাকে। শীতকালে এই গরমের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এই সময় স্নান করতে গিয়ে, যদি প্রথমেই মাথায় জল ঢালা হয়, সেক্ষেত্রে মাথায় রক্ত উঠে যেতে পারে। এর ফলে স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা শীতকালে স্নান করার সময় এই ভুলটি থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে যাদের বয়স ৪০ পার হয়ে গিয়েছে তাদের এই বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় ভুলটি হলো ঘন্টার পর ঘন্টা শরীর ভেজা রাখা –

শীতকালে এই ভুলটি অধিকাংশ মানুষই করে থাকেন। চিকিৎসকরা বলছেন শীতকালে মানুষের শরীরের আদ্রতা এমনিতেই কমে যায়। অত্যাধিক শীত মানুষের শরীরের জলের পরিমাণকে কমিয়ে দেয়। শরীরের রস শুষে নেয়। এরই মধ্যে যদি স্নান করতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা শরীর ভিজিয়ে রাখা হয়, থাকলে সাংঘাতিক বিপদ। এর ফলে চামড়ার আদ্রতা আরো কমে যায়। শরীর কুচকে থাকে। চামড়ায় টান পড়া, চামড়া ছিড়ে যাওয়া, চামড়া থেকে রক্ত পড়ার মতন সমস্যা দেখা যায়। এই ধরনের সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অবশ্যই শীতকালে অল্প জলে স্নান করুন , সেই সঙ্গে তোয়ালে দিয়ে শরীর দ্রুত মুছে নেয়ার চেষ্টা করুন।

এখন যে ভুলটির কথা বলব, সেটি বেশিরভাগ মানুষই করেন। আর এই মারাত্মক ভুলটি হল সালফেট যুক্ত সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার। সালফেট একটি উচ্চ ক্ষার যুক্ত রাসায়নিক পদার্থ। আজকাল বেশিরভাগ শ্যাম্পু,, সাবানে এই পদার্থটি ব্যবহার করা হয়। সালফেট আমাদের চামড়ার ক্ষতি করে। সালফেট যুক্ত সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আমাদের চামড়া এবং মাথার ত্বক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর যদি শীতকালে এই সালফেট যুক্ত সাবান শ্যাম্পু অধিক ব্যবহার করা হয় তাহলে তো বিপদের কোনও সীমা নেই। শীতকালে এই পদার্থের সংস্পর্শে এলে নানারকম চর্ম রোগের উপদ্রব দেখা যায়। মাইলড একজিমা থেকে শুরু করে এক্সট্রিম একজিমার মতন বিষাক্ত চর্মরোগ দেখা যায়।

চার নম্বর ভুলটি হলো ফুটন্ত গরম জল ব্যবহার করা –

শীতকালে অনেকেই ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে অত্যাধিক গরম জলে স্নান করে থাকেন। অধিকাংশ মানুষ মনে করেন গরম জলে স্নান করলে ঠান্ডাও কম লাগবে,,, সেই সঙ্গে স্নানটাও সম্পন্ন হয়ে যাবে। কিন্তু এই ধারণা ভুল। অত্যাধিক গরম জলে স্নান করা শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো নয়। অতিরিক্ত গরম জল মানব শরীরের হার্টের উপর চাপ তৈরি করে। একইসঙ্গে চামড়াই বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদানকে নষ্ট করে দেয়। তাই শীতকালে স্নান করার সময় অত্যাধিক গরম জল ব্যবহার না করে স্বল্প গরম জলে স্নান করার চেষ্টা করুন।

পাঁচ নম্বর ভুলটি হলো বডি স্ক্রাব ব্যবহার করা –

শীতকালে অনেকেই বডি ওয়াশের সাথে সাথে বডি স্ক্রাব ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আপনাদের জানিয়ে রাখি শীতকালের বডি স্ক্রাব ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ শীতকালে চামড়ার আদ্রতা এবং নমনীয়তা একেবারেই থাকে না। এই সময় গায়ের চামড়া অনেক বেশি স্পর্শকাতর এবং নাজুক হয়ে থাকে। ফলস্বর ূপ এমন পরিস্থিতিতে বডি স্ক্রাব ব্যবহার করলে চামড়ার লাভ তো হয় না বরং আরো বেশি ক্ষতি হয়। তাই শীতকালে বডি স্ক্রাব এড়িয়ে চলুন। আর যদি সম্ভব হয় বাজার চলতি নানারকম বডি বাটার ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলো কিনে এনে ব্যবহার করুন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *