রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকছে বিশেষ ব্যক্তিরা,,, কারা তা জানেন শুনলে আপনি অবাক হবেন
খুশির সাগরে ভাসছে রাম ভক্তরা। আর কয়েকটা দিন বাকি তারপরই বহু প্রতীক্ষিত অপেক্ষার অবসান । কিন্তু রামভক্তদের যেন আর ত্বর সইছে না,, সকাল সন্ধ্যা তাদের মুখে শুধু একটি বাণী কবে সেই সময়টি আসবে। যতদিন এগোচ্ছে ততই যেন রাম ভক্তদের মধ্যে আরো কৌতুহল সৃষ্টি হচ্ছে ,,,,, আর এই কৌতূহল মাত্রা বাড়লো যেদিন থেকে শোনা গেছে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকবে বিশেষ কিছু ব্যক্তিরা।
তাদের মধ্যে এখন একটাই প্রশ্ন কারা সেই বিশেষ ব্যক্তি অমিতাভ বচ্চন নাকি রণবীর কাপুর ,,, নাকি অন্য কেউ। না না এরা কেউ নয়,,, এদের সকলকে ছাপিয়ে উপস্থিত থাকবে কিছু স্পেশাল ব্যক্তি । হয়তো এই বিশেষ ব্যক্তিদের পরিচয় শুনলে আপনিও অবাক হবেন।
চলতি মাসের ২২ শে জানুয়ারি দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের দিন। এই দিন বিশাল করে আয়োজন করে রাম মন্দির উদ্বোধন করা হবে। আর এই বিরাট অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছে বাচ্চান থেকে রণবীর সচিন থেকে বিরাট,,, দেশের শিল্পপতি আম্বানি থেকে আদানি এমনকি রতন টাটা থেকে শুরু করে রামায়ণ সিরিয়ালের অভিনেতা অভিনেত্রী পর্যন্ত উপস্থিত থাকছেন। এছাড়াও থাকছে হাই ভোল্টেজ রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বড় মানের লেখক ,,, এমন কোন পেশার লোক বাদ পড়েনি এই দিন উপস্থিত থাকার জন্য। বলা যায় হাজার হাজার লোককে আমন্ত্রণ করা হয়েছে ,,,,,তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভিআইপি। কিন্তু এই বিশেষ দিনে আকর্ষণ করার জন্য রয়েছে আরও বিশেষ কিছু ব্যক্তি। যাদের পরিচয় শুনেই আপনারাও হবেন হতবাক। তারা আর কেউ নয় কিছু ভিক্ষুকগণ । হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন এই রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকছে ৩০০ জন ভিক্ষুক । যারা হয়তো আর পাঁচটা ভিআইপি লোকেদের মতো অতটাও মূল্যবান নয়। কিন্তু তাদের কাছে মন্দিরে আসাটা অনেক মূল্যবান। হয়তো এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এই বিশেষ দিনে কেন তাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে । যেখানে সাধারন মানুষেরাই বাইশে জানুয়ারি উপস্থিত থাকতে পারছে না সেখানে এরা কিভাবে সম্ভব ? হ্যাঁ, হয়তো এই হাইফাই মন্দিরে হাইফাই মানুষেরা সেদিন উপস্থিত থাকবেন ,,, আর সেখানে এই ভিক্ষুকরা তো চুনোপুটি মাত্র । এদের কোন চাল নেই চুল নেই না আছে কোন সম্বল না আছে কিছু। তারপরও এদের ডাক পড়েছে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধামে। কেন পড়বেন তা বলুন তো ডাক,,,,,, যেখানে ওরা নিজেদের কথা না ভেবে লাখ লাখ টাকা ভগবানের পায়ে বিলিয়ে দিতে পারে সেখানে এই আমন্ত্রণ তো কিছুই না। যাদেরকে দেখলে আমরা দুর ছাই করি আর দুটো টাকা চাইলে দিতে চাই না মুখ ঘুরিয়ে চলে যাই সেই ভিক্ষুকরাই আজ কোন পিছুটান না ভেবে তাদের বেঁচে থাকার সম্বল টুকুও মন্দির নির্মাণের কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। যেখানে আচ্ছা আচ্ছাসা লোক দান করার জন্য দুবার ভাবে সেখানে এই ভিক্ষুক রাই নিজেদের কথা না ভেবেই মন উজাড় করে দান করেছে। যারা সাধারণ পাঁচটা মানুষের মতো দুবেলা খেতে পায় না ,,,মাথা গোঁজার জন্য ঠাই পায় না , এমনকি বড়লোকেদের মত পাঁচ তারা হোটেল বা কোন ক্লাব বা ডিস্কে যেতে পারে না। তাদের এই মহান কাজ দেখে আমাদের সকলের স্যালুট করা উচিত। তাই এই নিমন্ত্রণ তো এই ৩০০ ভিক্ষুকের প্রাপ্য।
Leave a Reply