ভারতের এই এমন একটি জায়গা যেখানে রয়েছে অদ্ভুতুড়ে মন্দির,,,কোথাও এমন মন্দির খুঁজে পাবেন না!!!

ভারতের এই এমন একটি জায়গা যেখানে রয়েছে অদ্ভুতুড়ে মন্দির,,,কোথাও এমন মন্দির খুঁজে পাবেন না!!!

এই মন্দিরের নাম শুনলে
আঁতকে উঠে গ্রামবাসীরা!!

এই মন্দিরের ছায়া দেখতেও
ভয় পায় গ্রামবাসীরা!!

মন্দিরের আশপাশ থেকে
ভেসে আসে ভয়ানক আওয়াজ!!

চলুন জেনে নিই সেই বিষয়

হিন্দুরা তেত্রিশ কোটি দেব-দেবীর আরাধনা করে থাকেন । তাই গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে মন্দিরের অভাব নেই । আর সেই ভারতে এমনই একটি মন্দির আছে যেখানে মানুষ যেতে ভয় পায় । মন্দিরের নাম শুনলে সেই গ্রামের লোকদের পা কাঁপতে থাকে । এই মন্দিরের কথা শুনলে আপনার শিরদাঁড়া দিয়েও ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাবে । সকাল হলে এই মন্দিরের সামনে দিয়ে যাওয়া গেলেও রাতের বেলা যে এই মন্দিরের সামনে দিয়ে যায় সে সুস্থ ভাবে ফিরে আসে না । রাতের বেলা এমন ভয়ঙ্কর সব আওয়াজ ভেসে আসে যা শুনলে গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যায় । এমনকি জানা যায়, এই মন্দিরের সামনে কেউ মাথা উঁচু করে পর্যন্ত তাকাতে পারে না, এমনই ভয়ঙ্কর মন্দির। এই মন্দিরে এইসব অলৌকিক কান্ড এমনি এমনি ঘটে না , এর পিছনে রয়েছে পুরোনো দিনের ইতিহাস। যা শুনলে আপনিও অবাক না হয়ে থাকতে পারবেন না । চলুন জেনে নিই সেই গল্প ——-

এই সব অদ্ভুতরে কাণ্ড ঘটে মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসের দূর্গামন্দিরে। এই মন্দির প্রায় দীর্ঘবছরের পুরোনো। এই মন্দির এতটাই পুরোনো যে দেখলে মনে হবে একটি নর কঙ্কাল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে , মন্দিরের গা থেকে খসে পড়ছে চুন , সুড়কি । আগেকার দিন রাজকুমারীদের প্রেমের গল্প অনেকেই শুনেছেন । এই মন্দির ঘিরেও তেমনি এক প্রেমের গল্প জড়িয়ে রয়েছে । দুর্গামন্দিরটি তৈরি করেছিলেন দেওয়াসের রাজা । রাজা খুবই ধার্মিক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন,,, ঈশ্বরের প্রতি ছিল অগাধ বিশ্বাস ,,,বিশেষ করে মা দুর্গার ভক্ত ছিলেন তিনি । তাই ওনার স্মরণে সকল গ্রামবাসীর জন্য তিনি এই মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন । মন্দির নির্মাণ হয়ে গেলেও মন্দিরের পুজো সম্পূর্ণ হয়েছিল না। তার আগেই ঘটে যায় একটি আশ্চর্য্যজনক ঘটনা । এই ঘটনার সাথে জড়িয়ে ছিলো রাজকুমারী। সেই সময় রাজকুমারীর হৃদয় হরণ করেছিল রাজার বিশ্বস্ত সেনাপতি। রাজার অগোচরেই তাদের প্রেমালাপ ঘটে । সেনাপতি ছিলেন অত্যন্ত সাহসী , বুদ্ধিদীপ্ত এবং সুন্দর। তাই রাজকুমারীর এক দেখাতেই তাকে মন দিয়ে বসে , এদিকে রাজকুমারীকেও মনে ধরে সেনাপতির । কিন্তু তাদের প্রেমের কাহিনী শুরু হওয়ার আগেই শেষ করে দেন রাজা । রাজা এই প্রেমের কথা জানতে পেরে,কন্যার অপরাধের জন্য কারাগারে বন্দী করে রেখে দেন। রাজকুমারী এই সব কিছু সহ্য করতে না পেরে কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেন । রাজকুমারীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সেনাপতি নিজেকে আটকে রাখতে না পেরে রাজার বানানো সেই মন্দিরে আত্মহত্যা করে ফেলে। আর তারপর থেকেই শুরু হয় মন্দিরে অদ্ভুতুড়ে সব কান্ড । কখনো কখনো মন্দির থেকে পাওয়া যায় কান্নার আওয়াজ আবার কখনো হেঁটে চলার আওয়াজ, কখনো বা হাসির আওয়াজ। এই সব কান্ডই গ্রামবাসীদের মনে ভয়ের সঞ্চার ঘটায়, আর মন্দির যাওয়া তাদের বন্ধ হয়ে যায়। রাজা এই সব দেখে মন্দির থেকে দুর্গা মুর্তি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করে । কিন্তু দিনের পর দিন এই উপদ্রব বাড়তে থাকে, ফলে রাতেরবেলা ওই মন্দিরের সামনে যাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে । সেই জন্য গ্রামের লোকেরা নানা ধরনের পুজো- অর্চনা করে এই মন্দির বন্ধ করে দেয় । সেইথেকে আজও গ্রামবাসীদের মনে বিশ্বাস যে এই মন্দিরে একই ঘটনা এখনও ঘটে। তাই মন্দির দেখা তো দুর মন্দিরের যাওয়ার কথাই তারা ভাবেন না । যেখানে মন্দির হয় আশীর্বাদের জায়গা, সেখানে এই গ্রামে দুর্গা মন্দির হলো অভিশপ্ত জায়গা । যদিওবা বৈজ্ঞানিকরা এই বিষয়টির জন্য এখানে এসে নানা ধরনের পরীক্ষা – নিরীক্ষা পর্যন্ত করে , কিন্তু তাতে এমন কোনো কার্যকলাপ ধরা পড়েনি যেখান থেকে এই মন্দিরটিকে ভূতুড়ে মন্দির বলা চলে। বৈজ্ঞানিকদের মতে, গ্রামবাসীরা কিছু ভ্রান্ত ধারনা এবং ভয় মনে পুষে রেখে এইসব কথা বলছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *