৮টি সরকারি স্কিম

কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত! এবার আপনার চিন্তা দূর করতে হাজির ৮টি সরকারি স্কিম! কন্যা সন্তানের জন্য বিনিয়োগ করা এখন আরও সহজ! ৯৯% মানুষই জানেন না এই  ৮টি সরকারি স্কিম সম্পর্কে!

কন্যা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আজও চিন্তিত থাকেন অনেক অভিভাবক। বিশেষ করে ভবিষ্যতে তাঁদের উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি থাকে বিয়ে দেওয়ার চিন্তাও। তাই কন্যা সন্তানদের অভিভাবকদের চিন্তা দূর করতেই বিনিয়োগের জন্য রয়েছে একাধিক স্কিম ৷ এই সমস্ত স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারলে ভবিষ্যতে আসবে মোটা টাকা ৷ আসুন দেখে নেওয়া যাক কেন্দ্র সরকারের এমনই ৮ টি জনপ্রিয় সরকারি প্রকল্প।

পোস্ট অফিস সেভিং অ্যাকাউন্ট: পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ৪ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। যে সমস্ত কন্যা সন্তানের বয়স ১০ বছরের নিচে, তাঁরাই এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। তবে এই অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করার কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই। তবে এই অ্যাকাউন্টে সবসময় ৫০ টাকা মিনিমাম ব্যালেন্স রাখা যায়। আর এই অ্যাকাউন্টের সব থেকে বড় সুবিধা হল যে কোনও সময় টাকা তোলা যায়।

 

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড: মেয়ের জন্য টাকা জমানোর খুবই ভালো একটি স্কিম এই পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। এই স্কিমে সর্বনিন্ম  ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করা যায় । এক্ষেত্রে ১৫ বছরের ফিক্সড বিনিয়োগে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়।

রেকারিং ডিপোজিট: কন্যাসন্তানের জন্য অত্যন্ত ভাল একটি  স্কিম এই রেকারিং ডিপোজিট। প্রতি মাসে এই স্কিমে কম টাকা বিনিয়োগ করা যায়।এই স্কিমে ন্যূনতম ১০০ টাকা বিনিয়োগ করা হয়। এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে প্রতি বছর ৫.৮ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। ৫ বছরের জন্য এই স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করা যায়। সময় শেষ হওয়ার পরেই এই স্কিমের টাকা তোলা যায়।

সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: কন্যাসন্তানের জন্য এটি একটি খুবই জনপ্রিয় স্কিম। এই স্কিমে ৭.৬ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। এই স্কিমে ন্যূনতম ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হয় এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হলে এই টাকা তোলা যায় না। সন্তানের বয়স ২১ বছর হলে এই স্কিমের টাকা ম্যাচিওর করে।

 

কিষান বিকাশ পত্র: পোস্ট অফিসের এই স্কিমে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায়। এই স্কিমে ৩০ দিনের জন্য মিনিমাম ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তবে  এই স্কিমে পাওয়া সুদের ওপর কর প্রযোজ্য।

 

পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট: এই স্কিমে ন্যূনতম ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। এই স্কিমে বিনিয়োগ  করলে ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। বিনিয়োগকারীরা এই স্কিমের সুদ ৫ বছরের জন্য রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। এই স্কিমে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য অভিভাবকদের ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করতে হয়।

 

 

ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট: এই স্কিমে বার্ষিক ৬.৮ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। মোট পাঁচ বছরের জন্য এই স্কিমে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। ন্যূনতম ১০০ টাকা বিনিয়োগ করা যায় এই স্কিমে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকার ট্যাক্স ছাড় পেতে পারেন।

 

পোস্ট অফিস মাসিক ইনকাম স্কিম: বার্ষিক ৬.৬ শতাংশ হারে  সুদ পাওয়া যায় এই স্কিমে। ন্যূনতম ১০০০ টাকা বিনিয়োগ আর সর্বোচ্চ ৪.৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা যায় না এই স্কিমে। যার সময়সীমা মোট ৫ বছর। তবে ১ বছর পরেই স্কিম থেকে টাকা তুলতে পারেন  বিনিয়োগকারীরা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *